আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাংস উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ’

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
"দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী করায় মানুষের মধ্যে প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা, সৃষ্টি হয়েছেঅনুপ্রেরণা। এটা সম্ভব হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতবান্ধব সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কারণে।"

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মাংস উৎপাদনে এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরস্থ পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত 'প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, ২০২২' এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও টাংগাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, মহাপুলিশ পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা ও খামারিগণ সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে মাংস উৎপাদনে এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাংস আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে যাচ্ছি। এখন ভারত-মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আমদানি করতে হয় না। বেকাররা এখন খামার করে গর্বের সাথে বলেন আমরা খামারি"।

তিনি আরো বলেন, "দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী করায় মানুষের মধ্যে প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা,  সৃষ্টি হয়েছেঅনুপ্রেরণা। এটা সম্ভব হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতবান্ধব সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কারণে"।

মন্ত্রী আরো বলেন, "একটা সময় মানুষ সপ্তাহে একবার মাংস খেতে পারত না। এখন কোন কোন পরিবার দিনে তিন বেলা মাংস খায়। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তন। এ পরিবর্তনের সূচনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সর্বপ্রথম বিদেশ থেকে উন্নত জাতের গবাদিপশু দেশে নিয়ে এসেছেন। গবাদি পশুতে কৃত্রিম প্রজনন প্রবর্তন করেছেন"।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, "বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর কৃষি,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সামনের দিকে নিয়ে আসার জন্য সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। কারণ তিনি কৃষক ও কৃষি বান্ধব সরকার প্রধান। একটা সময় বিদ্যুতের দাবিতে কৃষকদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আর এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি, লাইভস্টক ও ডেইরি খাতে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা দিচ্ছেন। এর ফলে আজ বিকশিত বাংলাদেশ। এর ফলে আজ প্রাণিসম্পদের বিশাল সম্ভাবনাময় জগৎ আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি"।

প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যমান সব সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী দিনব্যাপী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যালু চেইনভিত্তিক ১১০টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল গবাদিপশুসহ বিভিন্ন প্রাণী তথা গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগী, হাঁস, দুম্বা, কবুতর ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রদর্শনীতে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধ সামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম, মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও স্থাপন করা হয়।

প্রদর্শনীতে বিচারক প্যানেলের সামনে র‌্যাম্পের উপর দিয়ে গবাদিপশুর হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য ছিল দেখার মতো। গুণ, মান, জাত, স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য্য, আকার, অবদান, নিরাপদতা, কর্মসংস্থান, বাজারজাতকরণ, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক প্রভাবসহ সার্বিক পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় ১১টি ক্যাটাগরিতে খামারিদের মোট ৩১টি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়।


আরও খবর



মসজিদের ভেতর ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজস্থানে মসজিদের ভেতর ঢুকে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে আজমিরের মোহাম্মাদি মাদানি মসজিদের এ ঘটনায় তিন মুখোশধারী অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

নিহত মাওলানা মোহাম্মাদ মাহির মসজিদের মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর রয়েছে। পরিবারের দাবি, মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামগঞ্জ থানার রবীন্দ্র খিঁচি। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই রাতে মাওলানা মাহির একটি কক্ষে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে শিশুরা চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন তিনজন ইমামের ফোনটি নিয়ে গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

মাহিরের ভাই মোহাম্মাদ আমির বলেন, তারা তিন ব্যক্তির নাম পুলিশকে জানিয়েছে। মাহির তাকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তার মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে কিছু ব্যক্তি অসন্তুষ্ট। তারা মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে তিনি কখনও আজমিরে থাকতে পছন্দ করতেন না। গেল অক্টোবরে তার গুরু মাওলানা জাকির হোসাইন মারা গেলে তাকে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই করছে। মসজিদের কাছ থেকে দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এই লাঠিগুলো হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশের ডগ স্কোয়াড টিম।

সাত বছর আগে উত্তর প্রদশের রামপুর থেকে আজমিরে আসেন মাহির। তার মরদেহ রামপুরে দাফন করা হয়েছে।


আরও খবর



ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক নিতে (আমদানি) ব্রাজিলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (এপ্রিল ৮) সকালে গণভবনে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে তৈরি পোশাক রফতানি করছে। ব্রাজিল যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করে সেটা তাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে। দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য বিশেষ করে পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দেশটির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাজিল সফরে সম্মত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ব্রাজিল তার আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল উভয় দেশই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন ইস্যুতে একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বৈঠকে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে সেটা গণহত্যা।

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত ব্রাজিলের একটি জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

আরও খবর



১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর



‘বুবলীর আগের সংসারে একটি মেয়ে আছে’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী সবসময় থাকেন আলোচনায়। এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তার সিনেমা দেয়ালের দেশ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি পারিবারিক জীবন নিয়েও বেশ সমালোচিত। বুবলীর অতীত নিয়ে কথা বললেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।

ঈদ উপলক্ষে টিভি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি (বুবলী) এখনও শাকিব খানের স্ত্রী। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আলাদা থাকছেন। বীরের কথা ভেবে তারা সময় নিচ্ছেন।

বুবলী জানান, শাকিবের বাসায় গেলে অপু-জয়ের সঙ্গে দেখা হয় বুবলী ও বীরের। একবার বীর ও শাকিবের সাথে রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন বুবলী, এ সময় জয়কে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। বুবলীর এমন মন্তব্যে নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর শুনে নাকি বিরক্ত শাকিব ও অপু।

একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি। তিনি বলেন, বর্তমানে শাকিব-অপু দুজনেই ভালো আছে, তাদের মধ্যে বুবলী ঢুকে সবকিছু নষ্ট করতে চাইছে।

তিনি আরও বলেন, বুবলী শাকিব খানের লেজ ধরে এই পর্যন্ত আসছে। তাকে ধরে ১০টি ছবিও করেছে। তাকে শাকিবই উপরে উঠাইছে। আর বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত, এটা শাকিব জানতো না। তার আগের ঘরে একটি মেয়েও আছে। এটা পরে জানতে পেরে শাকিব তাকে এড়িয়ে চলেছে। কিন্তু বীরতো শাকিবের রক্তের তাই শাকিব বীরকে কখনওই ফেলে দেবে না।

বুবলীকে নিয়ে সুরুজ আরও বলেন, বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে। যেখানে শাকিব-অপু এখন এক হয়ে গেছে তখন তার এর মধ্যে নাক গলানোর কি দরকার?

শবনম বুবলী ২০১৬ সালে বসগিরি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ নবীনশিল্পী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে বুবলী জনপ্রিয় সব সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন দর্শকদের।


আরও খবর



কোরবানির ঈদে পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সাভারের বিপিএটিসি'তে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খামারিদের উৎসাহ প্রদান করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তারা যাতে উৎপাদনটা আরও বেশি করতে পারেন সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পশুর দাম যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবাদি পশু যেমন, গরু ছাগল ইত্যাদির নানা ধরনের রোগ বালাই আসে। রোগ বালাই প্রতিরোধে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য ভেটেনারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা এবং সেগুলোকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো যেন ভালোভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পে খামারিরা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে সেখানে আমরা ৬০ টাকা দেব। নামমাত্র সুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে খামারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি। এতে নিশ্চয়ই খামারিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং উৎসাহিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর