আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘রাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রত্যেক কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রত্যেক কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে যেকোন সংকট মোকাবেলা করতে হবে। গুণগত মানসম্পন্ন কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ৩৮তম বিসিএস (মৎস্য) ও বিসিএস (লাইভস্টক) ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী নবীন কর্মকর্তাদের মন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।

তিনি অরো বলেন, দেশের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অনেক অবদান আছে। পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি করা, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি, গ্রামীন অর্থনীতিকে সচল রাখাসহ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাতের ভূমিকা রয়েছে। দেশের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। এ খাতে কর্মকর্তাদের কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ অনেক বেশি।

নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, দেশের সেবায় নিজেদের নিবেদন করতে হবে। সব সময় নিজের মধ্যে দেশাত্মবোধ ধারণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে দেশ আমাদের আনেক কিছু দিয়েছে। এ রাষ্ট্রের কৃষক, শ্রমিক, মজুর ও মেহনতি মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা লেখাপড়া করেছেন। সে মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। এ মানুষদের জন্য, দেশের জন্য কাজ করা আপনাদের দায়িত্ব।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখতে জঙ্গীবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী চিন্তা-চেতনা, অনৈতিকতা ও অনিয়মের সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। দেশ স্বাধীন না হলে আপনারা কর্মকর্তা হতে পারতেন না। নিজের মধ্যে দেশপ্রেম রাখতে গেলে আসম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে ধারণ করতে হবে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, ত্রিশ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধারা দেখেছিলেন। এ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সকলকে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা ধারণ করতে হবে। সাম্প্রদায়িকদার বিষবাষ্প যারা ছড়ায়, যারা অনিয়ম করে, যারা দুর্নীতিবাজ তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। পেশাগত জীবনের ভিত্তি স্থাপনে ইস্পাতকঠিন মানসিকতা ধারণ করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নবীন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে লাইভস্টক ক্যাডারের ডা. মোঃ মামুনুর রহমান এবং মৎস্য ক্যাডারের কে এম মাহফুজুর রহমান ও শতাব্দী রায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য ৩৮তম বিসিএস এ মৎস্য ক্যাডারে ১৯ জন এবং লাইভস্টক ক্যাডারে ৮৩ জন কর্মকর্তা যোগদান করেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা ইসির নজরদারিতে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। প্রার্থী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব মন্ত্রী-এমপির ওপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পাশাপাশি বেপরোয়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও যে কোনো সময় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা আজ সোমবার রাতে শেষ হচ্ছে। এসব এলাকার প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী বুধবার (৮ মে) উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন কেন্দ্রে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।

জানা গেছে, প্রথম ধাপের ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৪১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পরবর্তী ধাপগুলোর জন্যও একইভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবে ইসি।

নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। সে অনুযায়ী আজ সোমবার মধ্যরাতেই প্রথম ধাপের প্রচার শেষ হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচার ঘিরে অনেক উপজেলায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীরাও এরই মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোট নিয়েও অনানুষ্ঠানিক প্রচারে রয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। আর নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো উপজেলায় সংঘাত-সহিংসতা এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। আর নানা ঘটনার প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন ও অভিযোগ আসছে নিয়মিত। এর মধ্যে অনেক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসিতে। ইসি থেকে বারবার বিধি মেনে প্রচারের কথা বলা হলেও মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই তা অবজ্ঞা করে চলেছেন। ভোটারদের মন জয় করার পরিবর্তে পুলিশ প্রশাসন ও মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া প্রভাবশালীরা।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অভিযোগ উঠেছে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে। রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর পক্ষে সরাসরি মাঠে রয়েছেন মন্ত্রিপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল। ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রার্থী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর মন্ত্রী ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন।

মাদারীপুরে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, এমপি তার ছেলেকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

অভিযোগ এসেছে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য এ ডি এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই উপজেলার অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য ঝিনাইগাতী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায়ের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছেন।

চাঁদপুরের মতলব উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত দিয়েছেন ওই উপজেলার একজন প্রার্থী।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিমকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও সভায় সরাসরি ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম। এ-সংক্রান্ত একাধিক অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং স্থির চিত্রসহ নির্বাচন কমিশন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাফর আলম।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার ওসির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী (সেলিম)। অভিযোগে তিনি বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে চেয়ারম্যান আতাহার ইশরাক চৌধুরী সাবাব ওরফে সাবাব চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। আর এ কাজে ওসি সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। তার এমন অভিযোগের পর শনিবার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যেই বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ও বিতর্ক ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বর্তমান কমিশন। ওই নির্বাচনে সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় দেয়নি ইসি। শোকজ, তলব, তিরস্কার ও মামলা করা হয় তাদের অনেকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কঠোর পদক্ষেপের পরও বাগে আনতে না পারা এমপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের মতো সর্বোচ্চ পদক্ষেপও নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এবারের উপজেলা নির্বাচনেও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে। গোয়েন্দা রিপোর্টেও উঠে আসছে মাঠের সেসব তথ্য। ফলে বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় নির্বাচনের সেই ফর্মুলাই বেছে নিচ্ছে কমিশন। সম্প্রতি ডিসি-এসপিসহ মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটি। ওই বৈঠকে ডিসি-এসপিসহ অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নির্বাচনী মাঠের চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় বেশিরভাগ বক্তাই মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বেপরোয়া এমপিদের লাগাম টানতে এরই মধ্যে সংসদ সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরও অনেকেই কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার তথ্য আসছে। এ অবস্থায় মাঠ প্রশাসনের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তার কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণসহ অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে এবার ৪৭৪টিতে চার ধাপে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন জমা ও প্রত্যাহার শেষে দ্বিতীয় ধাপের ১৬০ উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনের জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শেষ হয়েছে। এ ধাপের তপশিল অনুযায়ী, গতকাল রোববার মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আজ সোমবার থেকে ৮ মে পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল চলবে। আপিল নিষ্পত্তি হবে ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ২৯ মে এ ধাপের ভোট গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলার ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৫ জুন। তপশিল অনুযায়ী, শেষ ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে।


আরও খবর



হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজে জানার পাশাপাশি অপরকেও এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানো জরুরি। কারও হিট স্ট্রোক হয়েছে মনে হলে তাকে দ্রুত কিছু সেবা দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস এবং সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর কড়া নজর রাখুন। যদি তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তবে অবিলম্বে সিপিআর শুরু করুন এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান। সেজন্য আপনাকে সিপিআর জেনে রাখতে হবে। এটি অনেক জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানীয় পান : হিট স্ট্রোকের প্রভাব এড়াতে ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খেলে তা কাঁপুনির কারণ হতে পারে, যা শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকির দিকে এটি বেশি ব্যবহার করুন। কারণ এসব স্থান শরীরের প্রধান তাপ-বিনিময় অঞ্চল।

শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে রাখুন : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত রোদ থেকে সরিয়ে শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে। এমন পরিবেশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

পোশাক ঢিলে করে দিন : এই গরমে ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদেরও একই পরামর্শ দিন। যতটা সম্ভব হালকা ও প্রশান্তিদায়ক রং বেছে নিন। এই গরমে কালো রঙের পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। আবার কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তার পরনের পোশাক ঢিলে করে দিন।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ধোঁয়া দেখলেই পানি স্প্রে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন নেভানোর কাজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন বনবিভাগ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এখন শুধুমাত্র কোথা থেকে সামান্য ধোঁয়া বের হলে ওই স্থানটি দেখা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম।

এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব জানান, গত রাত ১টা পর্যন্ত বনবিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বনবিভাগের সহায়তায় কাজ শুরু করেছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগামী আরও দুইদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ, আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রোববার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হয়েছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০ সদস্যের সমন্বয়ে পৃথক ২টি টিম করে দেন। আর তারই পরামর্শে রাতে আগুন নেভাতে পানি স্প্রে করে বনবিভাগ। কারণ, রাতে আগুন ভালো দেখা যায়, তাই আগুন দেখে দেখে পানি দেওয়ায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় আকস্মিক এ আগুন লাগে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর



ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখের ইউনিয়নে মিনারা বেগম ও সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ইসালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার ঈশানা।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নামলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মাঠে গরু আনতে যাবার সময় মাহিয়া আক্তার শিশু নিহত হয়। সদর উপজেলায় ঝড় বৃষ্টি চলাকালে মিনারা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমের মৃত্যু হয়।

ওসি আরও বলেন, সকালে তাণ্ডব চালানো এই বজ্রসহ ঝড়ে ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর ভেঙে পড়েছে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। দুপুর দেড়টায় ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুৎ আসলেও রাজাপুর ও কাঠালিয়াসহ অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


আরও খবর



দেশের সব আদালতে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।


আরও খবর