ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছি। রাশিয়ার আক্রমণে
এখন পর্যন্ত ১৩৭ জন সেনা ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমগুলোকে
জানিয়েছেন তিনি।
এএফপি’র বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, রাশিয়ার
অযাচিত আক্রমণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩১৬ আহত হয়েছে বলেও জেলেনস্কি জানান। একটি ভিডিও
বার্তায় তিনি এসব তথ্য দেন।
জাতির উদ্দেশ্যে
প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের রাষ্ট্রকে প্রতিরোধ করতে আমাদের একাই লড়তে হচ্ছে। আমাদের
পাশে থেকে আর কে লড়াই করতে প্রস্তুত? আমি কাউকেই দেখছি না।
জেলেনস্কি আরও প্রশ্ন তুলে বলেন, কে ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যভুক্ত হবার নিশ্চয়তা দিতে পারবে? প্রত্যেকেই ভয় পাচ্ছে। রাশিয়ার সৈন্যদল যুদ্ধাস্ত্রসহ রাজধানী কিয়েভে প্রবেশে করেছে, সেজন্য তিনি দেশের নাগরিকদের সতর্ক থেকে কারফিউ মানতে অনুরোধ করেছেন।
রাশিয়ার টাগের্ট লিস্টে প্রথমেই তিনি রয়েছেন জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, তিনি ও তার পরিবার এ অবস্থাতেও ইউক্রেনে থাকবেন। তিনি আরও জানান, তারা (রাশিয়া) দেশের প্রধানকে হত্যার মাধ্যমে ইউক্রেনকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করতে চায়। ইউক্রেনের শহরগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে নাগরিকরা মাটির নিচে বিভিন্ন স্থাপনায় আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন
কতৃপক্ষের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ
নিয়েছে। চেরনোবিল কিয়েভ থেকে ৮০ মাইল উত্তরে উত্তর ইউক্রেনে অবস্থিত।।
১৯৮৬ সালের
২৬ এপ্রিল চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময়
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু
হয় ৩১ জনের। এটিকে মানব ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা বলে বিবেচনা করা
হয়।
রাশিয়া তার
হামলা অব্যাহত রাখলে এ ধরনের দুর্ঘটনা আবার ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেন
প্রেসিডেন্ট।
গত বৃহস্পতিবার
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন শহরে
হামলার খবর পাওয়া যায়। রাশিয়া হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো,
বিমান প্রতিরক্ষা ও বিমান বাহিনীর উন্নত অস্ত্রকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয়
সংবাদ সংস্থাকে আরআইএকে জানায়।
আজ রাশিয়ার
ইউক্রেন আক্রমণের দ্বিতীয় দিন চলছে।