গত বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী
রাশমিকা মান্দানার একটি ডিপফেক ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রযুক্তির কারসাজিতে
তৈরি ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরে লিফট থেকে বেরিয়ে আসছেন রাশমিকা মান্দানা।
তাতে অভিনেত্রীর বক্ষযুগল স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর ঊরুও স্পষ্ট বোঝা যায়। মুহূর্তেই
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও।
এ ঘটনায় রাশমিকার পাশে দাঁড়ায় দিল্লি পুলিশ।
নায়িকার ‘আপত্তিকর ভিডিও’র বিরুদ্ধে এফআইআর
দায়ের করেন তারা। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে স্পেশাল সেল পুলিশ স্টেশনে একটি ফার্স্ট
ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) দায়ের করা হয়।
জানা যায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারা
ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় ৬৬ সি, ৬৬ই ধারায় মামলা দায়ের হয়। এরপর থেকেই মূল অভিযুক্তকে
খুঁজছিল দিল্লি পুলিশ। শেষে শনিবার (২১ জানুয়ারি) উত্তর প্রদেশ থেকে মামলার প্রধান
অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রযুক্তির কারসাজি করে ব্রিটিশ-ভারতীয়
ইনফ্লুয়েন্সার জারা প্যাটেলের ভিডিওতে রাশমিকার মুখ ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপরই ওই ডিপফেক
ভিডিওর নেপথ্যের ঘটনা উদ্ঘাটনে নামে দিল্লি পুলিশ।
রাশমিকার ডিপফেক ভিডিও ইস্যুটি শোবিজের
পাশাপাশি রাজনৈতিকমহলেও বেশ আলোচিত হয়। কেনান সে সময় ক্যাটরিনা কাইফ, আলিয়া ভাট, কাজলের
মতো একাধিক বলিউড তারকার ডিপফেক ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদে সরব
হন রাশমিকা মান্দানাও।