সিলেটে আলোচিত
রায়হান উদ্দিন (৩০) হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো
অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (৫ মে)
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআিইর পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।
এরপর দুপুর ১২টায়
অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয় নিয়ে প্রেসব্রিফিং করেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ
উজ জামান।
ব্রিফিংকালে তিনি
বলেন, অভিযোগপত্রে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেনসহ
৫ পুলিশ সদস্য ও কথিত সাংবাদিক পলাতক আব্দুল আল নোমানকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত
অন্য ৪ পুলিশ সদস্যরা হলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক টুআইসি এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই
আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস। তবে কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ
আল নোমান ব্যাতিরেকে আসামিদের ৫ জনই কারাগারে আছেন।
তিনি বলেন, আমরা
১৯৬২ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছি। এতে সাক্ষী রাখা হয়েছে ৬৯ জনকে। এরমধ্যে ১০ জন
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ৭ জন পুলিশ আদালতে সাক্ষি দিয়েছেন।
চার্জশিট দিতে
গিয়ে বিলম্বের কারণ ব্যাখায় বলেন, আমরা সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়েছি, তা পর্যালোচনা
করেছি, সিভিআর পর্যালোচনা করেছি। রায়হানকে নির্যাতনে এসআই আকবর হোসেন, এএসআই আশেকে
এলাহী, হারুনুর অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাসের সংশ্লিষ্টতা ও ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ
গায়েবে এসআই হাসান উদ্দিন ও কোম্পানীগঞ্জের কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সংশ্লিষ্টতা
মিলেছে।
এছাড়া তদন্তভার
পাওয়ার পর রায়হান ও এসআই আকবরের মোবাইল ফোনের সিভিআর পর্যবেক্ষণ করা হয়। রায়হান গ্রেফতারের
পর টিম বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে আসা পূর্ব বিরোধ থেকে নয়। ইয়াবা ব্যবসার সংশ্লিষ্টতায়
তাকে ফাঁড়িতে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদকালে মারধরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতাল নেওয়ার
পর রায়হান মারা যান।
আর ঘটনার পর ছিনতাই
সাইদুল শেখের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে কারণ সাইদুল সঙ্গীয় রনি শেখসহ ওইরাতে কাস্টঘর এলাকায়
যান ইয়াবা কিনতে। ইয়াবা নিয়ে আসে এক শিশু। কিন্তু নকল ইয়াবা দেওয়ায় টাকা ফেরত চান।
তখন শিশুটি যে লোকগুলোকে ডেকে আনে, তাদের একজন রায়হানও ছিল বলেও জানান পিবিআই’র পুলিশ সুপার।