আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আজ ১৬১তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ২৫ বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের (৭ মে ১৮৬১ খিষ্টাব্দ) এ দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের অনন্য ব্যক্তিত্ব ও কালজয়ী এ কবি।

মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে এ বছর জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাদের একজন। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে যার অবদান অসামান্য। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য পায় নতুন রূপ। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতা দিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে বিরল সম্মান আর্জন করেন তিনি।

বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার অভিলাষ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।

১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।

রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।

ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন।

পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন- রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন।

রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত আমার সোনার বাংলাজনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত। এছাড়া শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতের কথাও তার গানের অনুবাদ।


আরও খবর



হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আধুনিক হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লি হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (০১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আধুনিক হামদর্দ কারখানার মিলনায়তনে আনন্দঘন আয়োজনে উদযাপিত হয় দিনটি।

এ সময় হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তরভাবে চেষ্টা করে আমরা আজ এ পর্যায়ে পৌঁছেছি। মাত্র ৫০ হাজার টাকার মূলধন এবং প্রায় ৬ গুণ দায়-দেনা থেকে হামদর্দ আজ পরিণত হয়েছে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোঘরে। ভবিষ্যতেও মানবসেবার কাজে আমরা এগিয়ে যাবো এবং সফল হবো, ইনশাআল্লাহ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্ত্রী, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (ইউনানি) লক্ষ্মীপুরের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক হাকিম কামরুন নাহার হারুন বলেন, হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার ধ্যান-জ্ঞান এবং মননে কেবলই হামদর্দ। সব সময় তিনি মানুষের কল্যাণ কামনা করেন বলেই আজ তার নেতৃত্বে হামদর্দ এত দূর আসতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া, হামদর্দ এবং ইউছুফ হারুন ভূঁইয়াকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন হামদর্দের পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিরুল মোমেনীন মানিক।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনহামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ঢাকা রেলওয়ে জেলার এসপি আনোয়ার হোসেন, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনানি চেয়ার ভারতের প্রখ্যাত গবেষক অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমি, সিনিয়র পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আনিসুল হক, পরিচালক (উৎপাদন) বশির আহম্মদ, পরিচালক (বিপণন) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, হামদর্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাকিম আবু ইউছুফ আব্দুল হক, হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মেজর (অব.) ডা. হারুন আল রশীদ এবং হামদর্দ পাবলিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।


আরও খবর



ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না: রাজউক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুন গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কেড়ে নিয়েছে ৪৬টি তাজা প্রাণ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে, ওই ভবনে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না।

আজ শুক্রবার রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ওই ভবনে সব মিলিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। এছাড়াও ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকান। এর মধ্যে ভবনের নিচতলায় দুটি ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান ও একটি জুসবার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ছিল। দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ইলিয়ন নামের একটি পোশাকের ব্র্যান্ডের দোকান, চতুর্থ তলায় খানাস ও ফুকো নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় পিৎজা ইন নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় জেস্টি ও স্ট্রিট ওভেন নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে অ্যামব্রোসিয়া নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই। এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও অনেকে।


আরও খবর



শাকিব ‘রাজকুমার’ হলে আমি রাজা: জায়েদ খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রায় এক যুগ পর ঈদে মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত-সমালোচিত জায়েদ খান অভিনীত নতুন সিনেমা সোনার চর। জাহাঙ্গীর সিকদারের প্রযোজনায় এটি নির্মাণ করেছেন জাহিদ হোসেন। সিনেমার মুক্তিকে সামনে রেখে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে এর সংবাদ সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা।

সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খান বলেন, ‘‘আমার অভিনয় ক্যারিয়ারে অন্তর জ্বালাসোনার চর সিনেমা দুটি আলাদা। এই দুই সিনেমায় অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করেছি, নায়ক নয়। আর সোনার চরর জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। যার কিছুটা প্রমাণ ইতিমধ্যেই আপনারা দেখেছেন। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাদাপানিতে শুটিং করেছি।’’

এসময় আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমার পোস্টার ও ট্রেলার উন্মোচন করা হয়।

এদিকে, আসন্ন ঈদে শাকিব খানের রাজকুমারও মুক্তি পাচ্ছে। তাহলে কী এবার ঈদে দুই খানের লড়াই হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘‘একটা যদি রাজকুমার হয়, এটা আমার রাজা। সেটা বড় কথা না; ফাইট বা টক্কর দেওয়ার বিষয় না। একটা সময় ঈদে অনেকগুলো ছবি মুক্তি পেত। এখন না হয় হলের কারণে তা কমে গেছে। সিনেমা যার যার মতো আসবে, তিনি (শাকিব) হয়তো আমার সিনিয়র দেখে কয়টা হল বেশি পাবেন। কিন্তু দর্শক দিন শেষে কোনটা গ্রহণ করবেন, সেটা দর্শকের ব্যাপার। কারো সঙ্গে ফাইট করার জন্য আমরা ছবিটা রেডি করিনি, আমরা এরকম চিন্তাও করিনি।’’

সিনেমাটি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, সোনার চর দেখে কেউ হতাশ হবেন না। ছবিটির জন্য যে কষ্ট করেছি, তাতে নিন্দুকেরা চুপ হয়ে যাবে। নির্মাতা যত্ন করে, সুন্দর করে আমাকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন। তিনি আমার কাজে সন্তুষ্ট। বাকিটা আমাদের ভাগ্য, আল্লাহর রহমত আর আপনাদের (সাংবাদিক) প্রচারণা। যত ভালো কিছুই করি, আপনারা পৌঁছে না দিলে, আল্লাহর রহমত না থাকলে সেই ছবি সফল হওয়া কঠিন।’’

প্রসঙ্গত, সোনার চর সিনেমায় জায়েদ খানের বিপরীতে আছেন স্নিগ্ধা। এছাড়াও অভিনয় করেছেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন, আবুল হোসেন মজুমদার, শাওন আশরাফ, পাপিয়া মাহিসহ অনেকে। এটি প্রযোজনা করেছে এক্সেল ফিল্মস।


আরও খবর



এমপির লোকজনের বিরুদ্ধে নৌকার সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. নান্নু (৪৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নান্নু একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত নান্নু ইফতার শেষ করে নিজবাড়ি থেকে কেশবপুরে তার ইজারা নেওয়া দিঘিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে তার গতিরোধ করে জোরপূর্বক পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।

স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ গ্রুপের মধ্যে বিরোধে চলছিল। নান্নু নৌকা প্রতীকে ভোট করেন। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পরও দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

এ বিষয়ে সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ জানান, নান্নু নৌকা প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনের পর থেকে তারা (বর্তমান এমপি) আমার সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে। আমি যেহেতু ঢাকায় রয়েছি তাই নিহতের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বর্তমান সংসদ সদস্যের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কুষ্টিয়া

আরও খবর



আড়াইহাজারে বাসের ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দায়িত্ব পালনকালে বাসের ধাক্কায় আব্দুল গফুর নামের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছনপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মান্নান নামে আরও এক পুলিশ সদস্য আহত হন। নিহত আব্দুল গফুরের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। তিনি নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ছনপাড়ায় দায়িত্ব পালনকালে নরসিংদী থেকে ঢাকামুখী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস পুলিশ সদস্য গফুর ও মান্নানকে ধাক্কা দেয়। তাদের উদ্ধার করে রূপগঞ্জের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে গফুরের মৃত্যু হয়।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর