আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

রবিবার রোজিনার জামিন না হলে সাংবাদিকদের কঠোর কর্মসূচি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মে 20২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ মে 20২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রোজিনা ইসলামের জামিন রবিবার (২৩ মে) যদি না হয় তবে সব সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে সাংবাদিক রোজিনাকে নির্যাতন ও গ্রেফতারের ঘটনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিবাদী সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে।

সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও নাগরিক টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক আজাদ বলেন, আমি সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই। বিশেষ করে সরকারের চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বলেছেন রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায় বিচার পান, তারা তা দেখবেন। কিন্তু আমি তাদের কার্যক্রম নিয়ে সন্দিহান। কেননা জামিন যোগ্য মামলায় একটি মামলা হলো, অথচ তাকে এতটা বেগ পেতে হচ্ছে।

আমি দাবি করেছিলাম একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করুন। নতুন একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু এটি অত্যন্ত হাস্যকর। কেননা যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি। আমরা চাই এ কমিটিতে সাংবাদিকরা থাকবে, সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবে, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি হবে।

তিনি বলেন, তথ্য আইনে বলা হয়েছে অন্য যেকোনো আইনে যাই থাকুক না কেন এখন থেকে এটি বিধানযোগ্য। অথচ রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা হল একটি ব্রিটিশ আমলের আইনে। এটিতো প্রথম দিনই খারিজ হওয়ার কথা ছিল। শাহবাগ থানার কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের ওপর চাপ আছে, তাহলে কি আইন তার নিজের গতিতে চলছে?

ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, রোজিনা আপাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হয়, তবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।  ডিআরইউর সহ-সভাপতি ওসমান গণি বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, নারী সম্পাদক রীতা রাহাত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কারা বরণ করা বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, সিনিয়র সাংবাদিক আশীষ কুমার দে প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এ সমস্যার সমাধান না হলে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চাই। জনগণের তথ্য জনগণকে দিয়ে যদি আমরা অপরাধ করি, তবে আমরা এ অপরাধ করে যাব। আমরা বুঝে গেছি এ ন্যায় বিচারটি সহজতর হবে না। কেননা যারা বিচার করছেন তারাই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আমলারা সুপরিকল্পিতভাবে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আমরা চাই তথ্যমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে রোজিনা ইসলামকে ছাড়িয়ে আনা হোক। তাকে সব প্রকার মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন দ্রুত বাস্তবায়ন হোক, সংবাদকর্মীদের কর্মক্ষেত্র সুরক্ষিত থাকুক।

তারা বলেন, জব্দ তালিকায় যেসব জিনিস দেখানো হয়েছে সেগুলো জব্দ করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অথচ এ কাজ পুলিশের। এ থেকেই বোঝা যায় যে কর্মকর্তারা তাদের ডেস্ক থেকে এসব কাগজ এনে রোজিনা ইসলামকে ফাঁসিয়েছেন। আর মামলাটা যে ভুয়া, সেটিও তথ্য প্রমাণসহ গণমাধ্যম প্রমাণ করেছে।

বক্তারা বলেন, গত ২০ বছরে 'অফিস সিকিউরিটি অ্যাক্ট' আইনে ভারতসহ উপমহাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছে তার সবগুলোই খারিজ করা হয়েছে। বরং সাজা হয়েছে ওই অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগে। তাহলে রোজিনা ইসলাম এখনো কারাগারে কেন! এ মন্ত্রণালয়ের একজন গাড়ি চালকের যদি কোটি কোটি টাকা থাকে তাহলে অন্য কর্মকর্তাদের কি অবস্থা তা সবাই জানেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এ প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনও এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করেন।


আরও খবর



সাভারে পাঁচটি গাড়িতে আগুন, প্রাণ গেল ১ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকার অদূরে সাভারের জোরপুল এলাকায় একটি তেলের লরি- পিকআপ ভ্যানে সংঘর্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তেলের লরি- পিকআপ ভ্যানসহ আগুনে পুড়ে যায় আরও তিনটি গাড়ি। এসময় একজন নিহত ও  তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি গাড়ি চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে একজনের মৃত্যু ও দুজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল। তার বাড়ি যশোরের চৌগাছায়। তিনি সিমেন্টের ট্রাকের লোড আনলোডের কাজ করতেন।

সাভার ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আসাদ গণমাধ্যমকে জানান, পাঁচটি গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে তাৎক্ষণিক-ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।


আরও খবর



শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনের এক অনন্য হাতিয়ার পানি: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যক্তি হতে বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে পানি এক অনন্য হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব সংকট বাড়ছে, তার অন্যতম সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূ-উপরস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির গুণগত মান বজায় রাখা, জলাধারের পানি প্রবাহ অটুট রাখা, পানির বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহার ও সামাজিকভাবে পানি সংরক্ষণ এবং পানির অপচয়রোধে সচেতনতার প্রসার সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক-আঞ্চলিক-জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিতকরণে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর পানি ভবনের হলরুমে বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন। শান্তির জন্য পানি’ প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসের শুরুতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি পানি ভবন হতে সার্ক ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা শেষে একটি ভার্চুয়াল স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানের আলোকে পানি খাতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ বাস্তবায়নের সবাইকেই সচেষ্ট হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার হাত ধরে স্মার্ট  বাংলাদেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা। আলোচনা করেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক, রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান। দিবসের প্রতিপদ্যের ওপর আলোচনা করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডাব্লিউএম) নির্বাহী পরিচালক মো. জহিরুল হক খান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।


আরও খবর



রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান: গ্রেফতার ২৯

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছে থেকে ১০৭৭ পিস ইয়াবা, ৩৮ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা, ১ গ্রাম হেরোইন, ১৭০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ছয়টা থেকে সোমবার (০১ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা হয়েছে।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যে, কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির কারণে দেশের বাজারে দাম কমেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও মাছ ও মুরগির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবারও দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমায় খুচরা বাজারে দাম কমেছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ব্যবসায়ী আব্দুল রহমান। তিনি বলেন, দুইদিন আগেও আমরা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ দাম কমায় ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়,  শশা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি  শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪