আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

রিবন্ডিং চুলের জন্য চাই বাড়তি যত্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বর্তমানে রিবন্ডিং করা চুলের কদর বেড়েছে অনেক বেশি। এ জন্য পার্লারে চুল সোজা করতে ভিড় বেড়েছে। অনেকেই কোঁকড়া চুল পছন্দ করেন না তাই রিবন্ডিং করান। চুল রিবন্ডিং করালে অন্তত ছয় মাস বা এক বছর চুল সোজা থাকে। স্ট্রেইট চুলের সুবিধা হলো,খুব সামান্যতেই দেখতে গোছানো লাগে।

চুল রিবন্ডিং করালেই কিন্তু কাজ শেষ নয়,রিবন্ডিং চুলের জন্য চাই বাড়তি যত্ন। সুন্দর চুল আরও বেশি সুন্দর রাখতে দরকার সঠিক যত্নের।

চলুন জেনে নিই কীভাবে রিবন্ডিং করা চুলের যত্ন নেওয়া যায় সেই সম্পর্কে।

১- রিবন্ডিং করানোর পর দুইতিন দিন পর্যন্ত চুল ভেজাবেন না। কোনো শ্যাম্পু বা প্যাক ব্যবহার করবেন না এ সময়। কারণ,তা ক্ষতিকর।

২- চুল রিবন্ডিং করানোর তিন দিন পর অবশ্যই হেয়ার ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিন। এরপর থেকে প্রতি মাসে একবার ট্রিটমেন্ট করান। রিবন্ডিং চুলের জন্য অ্যারোমা ট্রিটমেন্ট সবচেয়ে ভালো।

৩- রিবন্ডিং করা চুলের যত্নে অয়েল ম্যাসাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে চুলে অয়েল ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

৪- গোসলের আগে গরম পানিতে তোয়ালে চুবিয়ে আধা ঘণ্টা চুল পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।

৫- রিবন্ডেড চুলের জন্য হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। আজকাল মার্কেটে রিবন্ডেড হেয়ারের জন্য ভালো মানের শ্যাম্পু পাওয়া যায়।

৬- শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। রিবন্ডিং করা চুলের জন্য আলাদা শ্যাম্পু কন্ডিশনার পাওয়া যায়।

৭- চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মসৃণ করতে শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার অথবা এক চামচ মধু মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

৮- দিনে তিনবার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন, এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। তবে ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।

৯- অনেকেই চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। রিবন্ডিং করা চুলে এটা ব্যবহার করা যাবে না। চুল তাপ থেকে দূরে রাখতে হবে। অতিরিক্ত তাপে চুল ভেঙে যাবে।

১০- চুল শুকানোর জন্য তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। তবে তোয়ালে দিয়ে চুল জোরে জোরে ঘষা যাবে না।

১১- চুল সোজা ও মসৃণ রাখতে রিবন্ডিং করানোর পর কমপক্ষে এক মাস চুল বাঁধা যাবে না। কারণ রিবন্ডিংয়ের পর চুল দুর্বল থাকে।

১২- চুলের আগা রেগুলার ট্রিম করতে হবে। এতে আগা ফেটে গিয়ে আপনার চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না এবং দেখতেও ভালো লাগবে। এ ছাড়া রিবন্ডিং দীর্ঘ সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়।

১৩- চুলের আগা কেটে ফেলার পর চুলে প্রোটিন প্যাক,ডিপ কন্ডিশনিং কিংবা হেয়ার স্পা করতে পারেন। যেমন ডিম একটি,ক্যাস্টর অয়েল এক চামচ,লেবুর রস এক চামচ ও মধু এক চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে স্কাল্পে লাগান। এরপর শাওয়ার ক্যাপ বা তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।

১৪- অনেকেরই অভ্যাস গরম পানিতে গোসল করার। তবে রিবন্ডিং চুলে হট শাওয়ার নেওয়া যাবে না।

১৫- নিয়মিত হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। নিয়মিত হেয়ার সিরাম ব্যবহার চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে।

১৬- বাইরে বের হলে সঙ্গে হ্যাট অথবা ছাতা রাখুন। কারণ,সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। কারণ,বৃষ্টির পানির সঙ্গে থাকা ধুলোময়লা ও লবণ চুলের ক্ষতি করতে পারে।

১৭- চুল রিবন্ডিং করানোর পর নিয়মিত ডায়েটে থাকা উচিত। নিয়মিত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ চুলের যেকোনো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। বেশি করে ফল ও সবজি, আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, প্রোটিন, ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত এবং যথাসম্ভব জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

নিউজ ট্যাগ: রিবন্ডিং চুল

আরও খবর



রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছিল। তবে ঈদের আগে কিছুটা চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তাই ফের কিছুটা বেড়েছে রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী- রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমকি ১০  বিলিয়ন) পৌঁছেছে। যেখানে গত মাসের ২৭ মার্চেও ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কিছুটা চাঙ্গা।

তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এটি প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন অনেকটা শেষ প্রান্তে রয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল, ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া গত মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।


আরও খবর
হজ প্যাকেজের খরচ কমল

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




‘ইসরায়েল হামলা চালালে সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইসরায়েলকে আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেবে ইরান।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাঘেরি বলেন, ইসরায়েলের যে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। ইরান এবার জবাব দেওয়ার জন্য ১২ দিন অপেক্ষা করবে না; এমনকি, এক ঘণ্টাও দেরি করবে না।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ইরান প্রমাণ করেছে যে তারা যুদ্ধবাজ নয় ও যুদ্ধের বিস্তার চায় না। তবে ইসরায়েল যদি প্রতিশোধ বা উসকানিমূলক কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে ইরান আরও শক্তিশালী জবাব দেবে।

গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান। দামেস্কে ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।


আরও খবর



ধেয়ে আসছে যুদ্ধ, প্রস্তুতি নেই ইউরোপের : ডোনাল্ড টাস্ক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউরোপ বর্তমানে যুদ্ধপূর্ববর্তী সময়ে অবস্থান করছে। দিনকে দিন এই মহাদেশে যুদ্ধ ধেয়ে আসছে। তবে এই যুদ্ধ হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপের কোনো প্রস্তুতিই নেই।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিভিন্ন ইউরোপীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। তিনি এমন একসময়ে এই সতর্কবার্তা দিলেন যখন ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, আমি কাউকে ভয় দেখাতে চাই না। তবে যুদ্ধ এখন আর অতীতের কোনো বিষয় নয়। এটি এখন বাস্তব। বলতে গেলে এটি দুই বছর আগেই শুরু হয়েছে। ইউরোপ এখন যুদ্ধপূর্ব যুগে অবস্থান করছে। তবে আসন্ন এই হুমকি মোকাবিলার জন্য আমাদের আরও দীর্ঘ পথ যেতে হবে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আর হয়নি।

পোলিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি আমি যা বলছি তা ভয়ংকর শোনাচ্ছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। কিন্তু আমাদের মানসিকভাবে নতুন যুগের আগমনে অভ্যস্ত হতে হবে। আর সেটা হলো যুদ্ধপূর্ব যুগ। আমি বাড়িয়ে বলছি না। এটা দিনকে দিন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউরোপকে এখনো অনেক পথ যেতে হবে। এ জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোকে ন্যাটোর বেঁধে দেওয়া প্রতিরক্ষা বাজেটের টার্গেট পূরণ করা। দেশের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে।

ডোনাল্ড টাস্ক আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য যতটা সম্ভব যুদ্ধ সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ কিনতে হবে। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পর আমরা এখন সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে বসবাস করছি। আগামী দুই বছর সবকিছু নির্ধারণ করে দেবে। আমরা যদি ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তা না করতে পারি, যদি যুদ্ধে ইউক্রেন হেরে যায়, ইউরোপের কেউ নিরাপদ বোধ করবে না।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর থেকেই পশ্চিমা মিত্র ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা এই যুদ্ধ ইউরোপের অন্য দেশে ছড়িতে পারতে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বলে আসছেন, সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশে তিনি আক্রমণ করবেন না।


আরও খবর



ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের দিল্লি। আর দূষণমাত্রার দিক থেকে তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

বুধবার ১৯৫ স্কোর নিয়ে তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয় এবং বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর।

বৃহস্পতিবার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৭৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭০ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা এবং ঢাকার স্কোর হচ্ছে ১৬৯। এর অর্থ দাঁড়ায় এখানকার বায়ুর মানও আজ অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



থমথমে রুমা ও থানচি, পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এসব শাখার গ্রাহকরা অন্য শাখা থেকে লেনদেন করতে পারবেন। পরপর দুদিন অস্ত্রধারীদের হামলার পর বুধবার (৩ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান সদর শাখা ছাড়া অন্যগুলো বন্ধ ছিল।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করে। তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে হেঁটে হেঁটে দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।

এদিকে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৩ এপ্রিল দুপুরে আবারো অস্ত্রধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর রুমা ও থানচি উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।

প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংকে হামলার এমন ঘটনায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ, আর এমন পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বান্দরবানের ৭ উপজেলার মধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি সোনালী ব্যাংকের ৩ শাখার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ওই ঘটনার পর পুরো বান্দরবান জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।


আরও খবর