আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রিফাত হত্যা: অপ্রাপ্তবয়স্ক ৩ জনের জামিন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ

বরগুনায় আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক দণ্ডিত তিনজনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জামিন দেন।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন জানান, এসব অপ্রাপ্তবয়স্কদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে সম্প্রতি তাদের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের মধ্যে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেন। পরে দণ্ডিতরা হাইকোর্টে আপিল করেন।


আরও খবর



২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, গবেষণায় সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জন্মহার এতোটাই কমে যাবে যে দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বড় এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে গত সোমবার এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টি দেশের জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হবে। আর সেসময বেশিরভাগ শিশু জন্মের ঘটনা দরিদ্র দেশগুলোতেই দেখা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে বিশ্বে জন্ম নেওয়া প্রতি দুই শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর সেসময় কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া এবং তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির ধারা) বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

আইএইচএমই-এর সহ-প্রধান লেখক এবং প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী নাটালিয়া ভি ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রাপ্ত ফলাফলের অর্থগুলো অপরিসীম। জন্মহার এবং জীবিত জন্মের এই ভবিষ্যৎ প্রবণতাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করবে এবং সমাজগুলোকেও পুনর্গঠন করতে হবে।’

গবেষণার লেখকরা বলেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সেসময় দেশগুলোকে বেবি বুম’ এবং বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়াই করবে।

গবেষণার সহ-প্রধান লেখক এবং আইএইচএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অস্টিন ই শুমাখার বলেছেন, সর্বোচ্চ জন্মহারের কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা।’

তিনি আরও বলেন, জন্মের সংখ্যার এই বিশাল পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস অব্যাহত রাখা, পরিবার পরিকল্পনা এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি প্রতিটি সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য এবং ১৯৫০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডির অংশ হিসাবে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দশক-ব্যাপী হওয়া এই গবেষণায় বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন।


আরও খবর



তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে, রয়েছে তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রকৃতিতে চলছে পাতা ঝরার দিন। বসন্ত বাতাসে গাছের শাখায় নতুন পাতা আর আমের মুকুলে সেজেছে প্রকৃতি। মধ্যফাল্গুনে এসে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া চলতি মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। মার্চের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এ মাসেই দেশে কয়েকটি কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, চলতি মাসে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ১-২টি মৃদু বা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি থাকতে পারে। 

আরও পড়ুন>> জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী

থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে গত ফেব্রুয়ারি মাসের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গেছে, মে মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৩৬ ভাগ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। মার্চ মাসেও সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

জানুয়ারি মাসে ৩ ধাপে দেশের অনেক জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। গত ২৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসেও দুই ধাপে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

এদিকে রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। একদিন আগে যা চুয়াডাঙ্গা ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজও অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ১৮৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে শহরটি।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ২১২, ১৮১ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



সিরিজ জিততে স্বাগতিক বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩৬

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

লংকানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলংকা জানিথ লিয়ানাগের অপরাজিত সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করেছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলছে দুদল। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস।

প্রথমে ব্যাট করতে নামা লংকান শিবিরে শুরুতেই জোড়া আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। দলীয় দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে (১) এলবির ফাঁদে ফেলেন এই ফাস্ট বোলার। নিজের পরের ওভারে আভিস্কা ফার্নান্দোকে (৪) উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে ফেরান।

একাদশে ফিরেই সাফল্য পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই ১৪ রানে থাকা সাদিরা সামারাবিক্রমাকে উইকেটকিপার মুশফিকের ক্যাচে বিদায় করেন তিনি।

দলীয় ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের বল খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটকিপার মুশফিকের ক্যাচে পরিণত হন লংকান অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস। তিনি ৫১ বলে ২৯ রান করেছেন। এরপর লংকান শিবিরে নিজের দ্বিতীয় আঘাত করেন মোস্তাফিজ। ২৫তম ওভারের শেষ বেলে উইকেটে সেট হওয়া চারিথ আসালাঙ্কাকে ফেরান তিনি। চারিথ ৪৬ বলে ৩৭ রান করেন।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে শ্রীলংকা। এই অফস্পিনার দুনিথ ওয়াল্লালাগেকে ফেরানোর পর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ব্যক্তিগত ১১ রানে বোল্ড করেন।

অন্যদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখেন লিয়ানাগে। অষ্টম উইকেট জুটিতে মহেশ থিকশানার সঙ্গে ৭৮ বলে মূল্যবান ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অবশেষে জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার থিকশানাকে ১৫ রানে ফেরান তিনি। তবে অসাধারণ ব্যাট করা ডানহাতি লিয়ানাগে নিজের নবম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ১০২ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এছাড়া ২টি করে উইকেট দখল করেন মোস্তাফিজ ও মিরাজ।

এই ম্যাচটি দুদলের জন্য অলিখিত ফাইনাল। কেননা প্রথম দুই ম্যাচে ১-১ ব্যবধানে সমতা রয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দাপুটে ৬ উইকেটে জিতে নেয়। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে বসে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ একাদশে আজ ৩টি পরিবর্তন এসেছে। লিটন দাস দল থেকেই বাদ পড়েছেন। তাইজুল ইসলাম জায়গা হারিয়েছেন। আর তানজিত হাসান সাকিব ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। তাদের পরিবর্তে এনামুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন এসেছেন।

অন্যদিকে লংকান দলে একটি পরিবর্তন এসেছে। দিলশাস মাদুশঙ্কার পরিবর্তে মহেশ থিকশানা এসেছেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




এমভি আবদুল্লাহ এখনও অপহরণকারীদের নিয়ন্ত্রণে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ায় জলদস্যুর হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি এখনও অপহরণকারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২৩ জন নাবিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাহাজটি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। আমরা জাহাজটি উদ্ধার করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে। ফলে অপহরণকারীদের পরিচয়ের বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। এরা কোন দেশের নাগরিক, সেটি সম্পর্কে আমরা এখনও কোনো তথ্য পাইনি।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি ভারত মহাসাগরে ঘটেছে। আমরা ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। তবে এখনও অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর