ঢাকা দক্ষিণ সিটি
করপোরেশন এলাকায় রিকশার নিবন্ধনের পাশাপাশি প্রকৃত রিকশাচালকদেরও নিবন্ধনের আওতায় আনতে
যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নগর ভবনে সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ১২তম বোর্ড
সভায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রিকশার শৃঙ্খলা দূরীকরণে
দীর্ঘদিন পরে যেহেতু রিকশা নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, সেজন্য আমাদেরকে নতুন করে
সফটওয়্যার করতে হয়েছে। তারপর নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করতে হয়েছে।
সেজন্য কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু এখন এই কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই কার্যক্রম
শেষ করে আমরা প্রকৃত রিকশাচালকদের নিবন্ধনের আওতায় আনব।
অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে
কাউন্সিলরদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে আমরা
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। কিন্তু আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের মাত্র দুজন
ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ঢাকা শহরের কোন দিকে যাবে? তারপরও তারা বলিষ্ঠভাবে অবৈধ রিকশার
বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে চলেছে। কিন্তু আমাদের আরও অনেক বিষয় দেখতে হয়। বাস
রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম থেকে শুরু করে অবৈধ উচ্ছেদও তাদের করতে হয়।
কাউন্সিলরদের
চলমান খাল পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা দিয়ে ডিএসসিসি বলেন, জানুয়ারি থেকে
আমাদের খাল পরিষ্কার কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে। যে যে এলাকায় খাল পরিষ্কার কার্যক্রম
চলছে, আপনারা অবশ্যই এই কার্যক্রম তদারকি করবেন। আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের
সাথে সমন্বয় করে সঠিকভাবে, সুষ্ঠুভাবে ও পরিপূর্ণভবে যেন খালগুলোর পরিষ্কার কার্যক্রম
সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এছাড়াও আমরা আগামী মাস থেকে নর্দমাগুলো পরিষ্কার
কার্যক্রম শুরু করব। সে কার্যক্রমেও আপনারা গতবারের চেয়ে অধিক পরিমাণে তদারকি করবেন।
কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে এ দুটো কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের
যে লক্ষ্যমাত্রা অতি ভারী বৃষ্টি হলে, বৃষ্টির পানি এক ঘণ্টার মধ্যে নিষ্কাশন করা।
বোর্ড সভার শুরুতে
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ইতোমধ্যে গঠিত পাঁচটি স্থায়ী কমিটির জন্য
নগর ভবনে বরাদ্দকৃত পাঁচটি কক্ষের চাবি হস্তান্তর করেন। মেয়র স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের
নিকট এসব চাবি হস্তান্তর করেন।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।