আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনা সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ডিবি হেফাজতে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আনিসুল হক।

ডিএমপি নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার (পাপশ বিক্রেতা) শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে। পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মামলা তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের অপরাধ শুধু পুলিশ কেইসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শেয়ারবাজারসহ অনেক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সালমান এফ রহমান। সরকারের অনেক অপকর্মকে আইনি বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছেন আনিসুল হক। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হত্যা মামলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও আইনগত বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই রিমান্ডে হত্যা মামলার পাশাপাশি বিগত সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা দিচ্ছেন অজানা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা এখন ডিবি হেফাজতে আছেন। রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরির জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওপর।

জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হক বলেন, দেশে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আমি একটি সমাধানের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আন্দোলন দমনে তারা খুবই এগ্রেসিভ ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বাস্তবতা বোঝানো যাচ্ছিল না। এ কারণে আন্দোলন এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ডিবির এক কর্মকর্তা দুজনের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশের এই অবস্থা। এ সময় তারা ছিলেন নির্বিকার।

বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। তারা বিশ্বাসই করতে চাচ্ছেন না যে এত তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।

এদিকে যে মামলায় সালমান-আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সেই মামলায় আসামি হিসাবে তাদের নাম নেই। যাদের অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে এজাহাদের তাদের বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক বলা হয়েছে। তাহলে কী সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হক বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট?

এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, মামলা হলো ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। তদন্তের পরই প্রকৃত সত্য উঠে আসবে। যিনি এফআইআর করেন তিনি তার মতো করে ঘটনা বর্ণনা করেন। ওনি যা জানেন তাই প্রাথমিকভাবে উল্লেখ করেন। এজন্যই সেটির নাম প্রাথমিক তথ্য বিবরণী। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো এমনিতেই হয়নি। কী কারণে ঘটেছে, কেন ঘটেছে সবই তদন্তে উঠে আসবে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করা হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফি মাদরাসা পরিদর্শন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা একটি বিতর্কিত ইস্যু। এটি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছুতে আমরা হাত দেবো না।

তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে যুক্ত নয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে যা প্রমাণিত। বরং তারা জাতীর দুর্দিনে সবার আগে এগিয়ে আসে। জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের এখন বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদ, মন্দির এবং মাজারে হামলা গর্হিত কাজ। ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দেশে বিক্ষিপ্তভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। একাধিক দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে গুমবিরোধী সনদে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার তাগিদ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা এড়িয়ে যাচ্ছিল। তবে আগামী ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী দিবসের আগেই বাংলাদেশ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো শর্ত ছাড়াই ওই সনদে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গুমবিরোধী সনদে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ। সনদটি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের, তাই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব চিঠিটি জেনেভায় মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরে পাঠাবেন।

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে কোনো আপত্তি ছাড়াই গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে সরকারি সংস্থা কর্তৃক বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের একটি প্ল্যাটফর্ম মায়ের ডাকমায়ের ডাক-এর তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ৭ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। অনেকে প্রাণে বাঁচলেও এখনও দেড় শতাধিকের খোঁজ মিলছে না।

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হয়েছে। এই সনদটি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পরে ২০১০ সালে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া।

রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে চায়। এ লক্ষ্যেই গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত। সনদ সই করার পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের জন্য সরকার বা এর যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ৯টি সনদের ৮টিতে সই করেছে। কিন্তু সনদে সমর্থন করেনি।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কাপড়ের কনটেইনারে এলো মদ, খোঁজ রাখেনি কাস্টমস

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করা হয়েছে কনটেইনারভর্তি মদের চালান। মদভর্তি কনটেইনারটি ৯ মাসের বেশি সময় বন্দর অভ্যন্তরে পড়েছিল। চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এট্রিও সাবমিট করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের ফেব্রিক্স ঘোষণায় মদের এ চালান আমদানির মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে জানায় কাস্টমস।

অভিযোগ উঠেছে, ৯ মাস ধরে বন্দরের অভ্যন্তরে মদভর্তি কনটেইনার পড়ে থাকলেও দীর্ঘ সময়েও কেন কাস্টমস বিষয়টি শনাক্ত করতে পারেনি। কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত চার মাস আগেই চালানটির শুল্কায়ন হয়েছে। একই সঙ্গে কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমেও ফেব্রিক্স ঘোষিত চালানটি খালাস দেখানো হয়েছে। কাস্টমসের ভাষায় এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম থেকেও চালানটি এক্সিট দেখানো হয়েছে। তবে বন্দর থেকে বের না হওয়ায় বন্দরের সিটিএমএস (কনটেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) থেকে কনটেইনারটির অবস্থান শনাক্ত হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার ফাইজুর রহমান বলেন, পুরো মদের চালানটি আমদানি থেকে শুল্কায়ন পর্যন্ত একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে। আমাদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তারা বন্দর থেকে চালানটি খালাস নিতে পারেনি।

কাস্টমস কমিশনারের দাবি, চালানটি শুল্কায়নের ক্ষেত্রে কাস্টমসের এক কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয়েছিল। পাসওয়ার্ড হ্যাক করে শুল্কায়ন করা হলেও চালানটির অ্যাসেসমেন্ট ফি ও ভ্যাট হিসেবে সরকারি পাওনা কাস্টমসের ব্যাংক হিসেবে জমা হয়েছে।

তবে ৯ মাস আগে চালানটি বন্দরে আসা এবং চার মাস আগে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলেও চালানটি চিহ্নিত ও আটকাতে এত সময় কেন লাগলো জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। চালানটি আমদানিতে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের সবাইকে আমরা জনসম্মুখে হাজির করবো।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আটক মদের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর। গার্মেন্টস ফেব্রিক্স হিসেবে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজি ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেডের নামে চালানটি আমদানি করা হয়। আমদানিকারকের পক্ষে চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর গোলবাগ এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।

২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ওই সিঅ্যান্ডএফের নামেই চালানটি ফেব্রিক্স ঘোষণা দিয়ে কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। যাবতীয় শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষে গত মে মাসের মাঝামাঝি চালানটি কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে খালাস দেখানো হয়।

এদিকে দীর্ঘ ৯ মাসেরও বেশি সময় পরে মদের চালানটি আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে ফেব্রিক্স ঘোষণায় শুল্কায়ন হওয়া কনটেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করে। এরপর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে এআইআর টিম। বৃহস্পতিবার সকালে কায়িক পরীক্ষা শেষে ২০ ফুটের কনটেইনারটিতে ১ হাজার ১১৪ কার্টনে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ উদ্ধারের বিষয়টি জানানো হয়। এতে ১১ ব্রান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ পাওয়া যায়।

মদের চালান আটকের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার একেএম খাইরুল বাশার বলেন, গার্মেন্টস ফেব্রিক্সের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নারায়গঞ্জের আদমজি ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড চালানটি আমদানি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদের চালানটি আটক করা হয়। পরে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে এতে ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে।

কাস্টমস জানায়, চালানটির রপ্তানিকারক দেশ, ওয়েবসাইট, পণ্য তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার মদের চালান আমদানির বিষয়ে ধারণা করে এআইআর টিম। আটক মদের চালানটিতে জ্যাক ডেনিয়েলস, টিচার্স, স্মিরনফ, ব্যালেন্টাইনস, পাসপোর্ট স্কচ, সিভাস রিগাল, ফোর্ট স্ট্রিট, হান্ড্রেড পিপার্স, রেপেডস, অ্যাবসিলুউট ভদকা এবং ব্ল্যাক লেবেল ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়।

সূত্র জানায়, আটক মদের চালানের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এর বিপরীতে সরকারি প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব রয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় ওই ১২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়। চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সময় উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মুহাম্মদ মাহফুজ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত নন বলে জানান।

মূলত বন্দর কর্তৃপক্ষের সতর্কতার কারণে মদের চালানটি বের করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলেও আটক হওয়ার আগে চালানটি বন্দর থেকে ছাড়ানোর জন্য কেউ আসেনি। কাস্টমসের শুল্ককর পরিশোধের পরে বন্দরের কয়েকটি চার্জ ও ফি রয়েছে। এগুলো পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু ওই চালানটির ক্ষেত্রে তাও পরিশোধ করা হয়নি।


আরও খবর



বাতিল হচ্ছে ১৫ আগস্টের ছুটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৫ আগস্টের এই ছুটি বাতিল হবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের এই সাধারণ ছুটি দেওয়া হতো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের প্রজ্ঞাপন তারা প্রস্তুত রেখেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মঙ্গলবারই (১৩ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। কোনো কারণে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামীকাল হবে।

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ১৫ই অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় ড. ইউনূস বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেন। এরপর একে একে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথেও বৈঠক করেন।

১৫ই আগস্টের বিষয়ে দলগুলোর মতামত জানতে চাইলে একমাত্র বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালনের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেছেন, ১৫ অগাস্ট সর্বজনীন।

যতটুকু শ্রদ্ধা পাওয়া উচিত, ততটুকু শ্রদ্ধাই যেন পায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজ মঙ্গলবার পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্যদের খোঁজ-খবর নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আজ বিকেলে উপদেষ্টাদের বসার কথা রয়েছে। সেখানে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ১৫ আগস্ট মাঠে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

কেউ যাতে কোনো ধরনের গণ্ডগোল করতে না পারে তা নজরদারি করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুলিশ থাকবে, বিজিবি র‌্যাব থাকবে। হয়তো সেনাবাহিনীও থাকবে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিগত সময়ে অন্যায়কে ন্যায় বানিয়ে ফেলা হয়েছিল: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিগত সময়ে অন্যায়কে ন্যায় বানিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সোমবার (১২ আগস্ট) শপথ নেয়ার পর প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টে এসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখন থেকে কোনো ধরনের অন্যায় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে বিজয় এসেছে, তার প্রতি সম্মান রেখে আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।

সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছে তারা ন্যায়বিচারের জন্য তাকিয়ে আছে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আপিল বিভাগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এর আগে সকাল ৭টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরে সাভার থেকে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে জাতীয় শহিদ মিনারে পৌঁছান। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একইসঙ্গে জাতীয় শহিদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর