আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

রমজান গুনাহ মাফ ও তাকওয়া অর্জনের মাস। এ মাসে বেশি বেশি আমল করে পরকালের পুঁজি সংগ্রহ করা উচিত। মুমিনদের জন্য রমজানে অফুরন্ত সওয়াব অর্জনের সুযোগ দিয়ে রেখেছেন আল্লাহ তায়ালা। এ মাসে অল্প আমলেই অনেক বেশি ফজিলত।

সাধারণভাবে তাহাজ্জুদ বলতে আমরা কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর জাগ্রত হয়ে যে নামাজ আদায় করি সেটিই তাহাজ্জুদ হিসেবে আখ্যায়িত। এসময় একনিষ্ঠ মুমিনগণ বিছানা ও নিদ্রা ত্যাগ করে মালিকুল আমলাক, সমস্ত মানুষের রিজিকদাতা, রাজাধিরাজ মহান প্রতিপালকের দরবারে দাঁড়িয়ে যায়।

উল্লেখ্য, প্রাক ইসলামী যুগে তাহাজ্জুদের বিধান ছিলো ফরজ। পরবর্তীকালে এই বিধানটি বিলোপ হয়ে যায়। অধিকাংশ ফকিহগণের মতে, তাহাজ্জুদের নামাজ নফলের অন্তর্ভুক্ত। তবে নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) এই নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন।

রমজানে সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার গুরুত্ব অশেষ। আবার যেহেতু মুমিনগণ সাহরী খাওয়ার জন্য রাতে উঠতে হয় সেজন্য এই নামাজ আদায়ের বিশেষ সুযোগও রয়েছে। দোজাহানের বাদশাহ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত। [সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ২৮১২]

আরও পড়ুন > রোজার নিয়ত কখন ও কীভাবে করতে হয়

হাদিসের সবথেকে বিশুদ্ধ ছয়টি গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম দুটি গ্রন্থ আবু দাউদ ও নাসাঈ। এ দুটি গ্রন্থে নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ সেই ব্যক্তির উপর রহমত নাযিল করেন, যে ব্যক্তি রাতে নিদ্রা থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তার স্ত্রীকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দেন। এরপর তিনি ও তার স্ত্রী তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করেন। এমনকি যদি তিনি অর্থাৎ স্ত্রী ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না চান, তবে তার মুখে যেন পানি ছিটিয়ে দেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বিনা ওজরে কখনো তাহাজ্জুদের নামাজ ছাড়তেন না।কেননা এসময় মহান আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে আসেন এবং মুমিনের কর্মকাণ্ড শোনেন। আল্লাহ এবিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) কে উদ্যেশ্য করে পবিত্র কুরআনে বলেন, রাতের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ কায়েম করবেন, এটি আপনার অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রশংসিত স্থানে (মাকামে মাহমুদে) প্রতিষ্ঠিত করবেন।

আরও পড়ুন >>  রোজা সংক্রান্ত নিয়মাবলী ও মাসয়ালা

শুরুতেই বলেছি তাহাজ্জুদের নামাজ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার এক অসাধারণ মাধ্যম। অপর হাদিসে সুপথের দিশারী, মানবতার মুক্তির মহান বাতিঘর নবী করীম (সা.) বলেন, মুসলিমদের মধ্যে পবিত্র কুরআনে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি বিরাট সম্মানের অধিকারী হবেন।

তাহাজ্জুদের বিষয়ে আসাদুল্লাহ তথা আল্লাহর সিংহ হযরত আলী (রা.) বলেছেন, ইবাদতে যারাই আধ্যাত্মিক জগতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছেন, তাঁরাই রাত জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েছেন। [দিওয়ানে আলী]

পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, আমরা যেন রমজানের প্রতি রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহিমান্বিত, রহমত, বরকত ও নাযাতের এই সময়টাতে জান্নাতের পথ সুগম করতে পারি। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে কবুল করুন। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন। আমীন


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই কোটি টাকার টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন বৃদ্ধির ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্র জানায়, রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০ যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা।

এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৫ হাজার ৮৫ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০ এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬৯৪ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকা। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে দুই হাজার ৭১০।

এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮ টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েছে।


আরও খবর



খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলেছে স্কুল-কলেজ। এই সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম। এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক পালায় (শিফটে) পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই পালায় বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় পালা সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

চলমান দাবদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শনিবার থেকে ক্লাস হবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ, শনিবার আগের মতোই সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে।

এদিকে, তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটির পর মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও আজ থেকে খুলছে। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। এছাড়া দাবদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে শিখনঘাটতি পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর



ডিজির অনুপস্থিতিতে এডিজি সাত দিনে হাতিয়ে নিলেন সাড়ে ৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অসুস্থতার কারণে গত বছরের ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। সেই ৯ দিন অধিদপ্তরের শীর্ষপদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু। এর মধ্যে অবশ্য দুদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করেন সাত দিন। আর এটুকু সময়েই আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বকালে এক দিনেই ছাড় করেন মাল্টিপল পাসপোর্টের ৫০০ ফাইল। নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা প্রতিটি ফাইল অনুমোদনের জন্য নিয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে। সব মিলিয়ে এই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) সরাসরি কর্মকর্তা সেলিনা বানু পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা এডিজির দায়িত্বে রয়েছেন। প্রশাসন বিভাগের এডিজির পদটি শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই বিভাগের এডিজির দায়িত্বও পালন করছেন। পুরো অধিদপ্তরে তার ওপরে শুধু প্রেষণে আসা মহাপরিচালক রয়েছেন। অধিদপ্তরে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তার কথাতেই চলে সবকিছু। অনিয়ম-দুর্নীতিতে এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের নির্দেশনাও অমান্য করে নিজের মতো ডিআইপির কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পেয়েই দীর্ঘদিন আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের ফাইলগুলো ছাড় করাতে তোড়জোড় শুরু করেন। অধিদপ্তরে তার সিন্ডিকেটে থাকা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ফাইলগুলো অনুমোদন দিয়ে পাসপোর্ট প্রিন্ট করতে পাঠানো হয়। প্রতি পাসপোর্ট থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিয়ে তা সিন্ডিকেটে ভাগবাটোয়ারা হয়। কথিত আছে, ওই সময়ে পাসপোর্ট ভবনের তলায় তলায় কোরবানি ঈদ’ চলেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত হলেও বিষয়টি রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ রয়েছেন।

এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্টকে মাল্টিপল পাসপোর্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনেকেই বিদ্যমান পাসপোর্টের তথ্য গোপন রেখে নতুন করে পাসপোর্টের আবেদন করেন। তবে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় মেশিনে মেলানোর সময় তা আটকে যায়। আবার অনেকে প্রকাশ্যেই তথ্য পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেন। তখন কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের অন্তত ১২ হাজার আবেদন তদন্তের জন্য জমা পড়ে আছে। এসব আবেদন যাচাই করে পুলিশের বিশেষ শাখার তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে আবেদনকারীর বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে সে ধরনের নির্দেশনাও রয়েছে; কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন বিভাগের দায়িত্বে থাকা এডিজি সেলিনা বানু অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরিপত্র জারি করে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এরপর নিজের ক্ষমতাবলে টাকার বিনিময়ে পছন্দমতো ফাইল ছাড় করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের হাজার হাজার ফাইলের মধ্যে ৫০০ ফাইল অনুমোদন দেওয়া নিয়ে খোদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেলিনা বানু প্রভাবশালী কর্মকর্তা হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। অধিদপ্তরের সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুললেই তার রোষানলে পড়তে হয়। পরে টার্গেট করে কর্মকর্তাদের বদলি বা ন্যূনতম কারণেও বিভাগীয় মামলা ও বদলির মতো হয়রানিতে পড়তে হয়।

অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সেলিনা বানু পাসপোর্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। বদলিজনিত চাকরি হলেও তিনি ঢাকার বাইরে খুব বেশি দায়িত্ব পালন করেননি। এ সুযোগে তিনি একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাছাড়া দেশের প্রায় প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে তার নিজস্ব বলয়ের কর্মকর্তা বা কর্মচারী রয়েছেন। বিদেশি মিশনগুলোর কয়েকটিতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরেও কর্মী রয়েছে। সেলিনা বানু অধিদপ্তরের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ায় সবাই তাকে অতি সমীহ’ করে চলেন। বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিস থেকে তার অনুগতরা মাল্টিপল আবেদনগুলো বাছাই করে দিয়েছেন। সেগুলোই মূলত তিনি প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে ছাড় করিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

ওই সূত্রটি জানায়, প্রতিটি মাল্টিপল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সেলিনা বানু ও অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট নিয়েছে দেড় লাখ টাকা করে। তবে দালাল চক্র ও অন্যান্য জেলা অফিসে তার অনুগত কর্মীরা আবেদনকারীদের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা করে নেন। বছরজুড়েই সেলিনা বানু টাকার বিনিময়ে এ ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকেন। তবে ডিজির অনুপস্থিতিতে একসঙ্গে ৫০০ আবেদন অনুমোদন করায় বিষয়টি জানাজানি হয়।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাল্টিপল আবেদনের সবকিছু ঠিক থাকলেও একজন আবেদনকারী টাকা না দেওয়ায় পাসপোর্ট পাননি। এরপর ওই আবেদনকারী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে গত ২৫ জানুয়ারি দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সূত্র জানায়, শুধু মাল্টিপল পাসপোর্টই নয়, সেলিনা বানু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি পাসপোর্টধারীদের নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর) সিল দেওয়ার জন্যও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ কাজের জন্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাদিরা আক্তারকে ভিসা শাখার দায়িত্বে রেখেছেন। এই কর্মকর্তা সেলিনা বানুর অনুগত হওয়ায় তাকে পার্সোনালাইজেশন সেন্টার থেকে ভিসা শাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংযুক্ত করে রেখেছেন। প্রতিটি পাসপোর্টের এনভিআর দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা করে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো বিদেশি পাসপোর্টধারী দেশে এসে নো ভিসা রিকোয়ার্ডের আবেদন করলে তার আর বাংলাদেশে আসতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না।

ওই সূত্রটি জানায়, এই সিন্ডিকেট অবৈধভাবে দেশে বসবাসকারী বিদেশিদেরও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টাকার বিনিময়ে ভিসা এক্সটেনশন বা মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে আফ্রিকার নাগরিকরা টাকার বিনিময়ে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেশে মাদক কারবারসহ না অনিয়ম করছে।

মাল্টিপল পাসপোর্ট ইস্যু করে সাড়ে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে এডিজি সেলিনা বানুর দপ্তরে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়; কিন্তু তিনি সময় দেননি। পরে তাকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অভিযোগের বিষয়ে টেলিফোনে তার বক্তব্য চাওয়া হয়। তবে তিনি গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানানো হলে তিনি বলেন, আমার বিষয়ে অভিযোগ থাকলেও আমি তো বক্তব্য দিতে পারব না, আমি তো পত্রিকায় বক্তব্য দিতে পারি না।’

বেনামি চিঠিতে গুরুতর তথ্য সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে:

এদিকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ তুলেছেন, সেলিনা বানুর অপকর্ম নিয়ে কথা বললেই তাদের ওপর খড়্গ নেমে আসে। এ জন্য মুখ না খুলে আতঙ্কিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্প্রতি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও দেশের প্রায় সব পাসপোর্ট অফিসে বেনামি চিঠি দিয়ে এই কর্মকর্তার দৌরাত্ম্য থেকে নিস্তার চেয়েছেন। এসব চিঠিতে সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সেলিনা বানু পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ৩০ বছর ধরে চাকরি করলেও তিনি ৬৪ জেলার কোথাও বদলি হননি। একবার অনিয়মের কারণে তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও বেশি দিন থাকতে হয়নি। তার স্বামী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ কে এম মাসুদুল হক রিজভী জামায়াতের পদধারী। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া কামারুজ্জামান তাদের স্বজন। শুধু তাই নয়, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন এই দম্পতি।

চিঠিতে বলা হয়, এডিজি সেলিনা বানুর বাড়ি জামালপুরে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরে রেলে নাশকতার ঘটনায় তার স্বজনরাও জড়িত।

ওই চিঠির সূত্র ধরে সেলিনা বানুর গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার পরিবারের কেউ সরকার সমর্থক নয়। তার স্বামী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়ে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার পরিচিত কয়েক শিক্ষক এবং সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের একাধিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক মাসুদুর রহমান কখনো স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলয়ে ছিলেন না। তবে প্রকাশ্যে তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায় না।

সেলিনা বানু আতঙ্কে পুরো পাসপোর্ট অধিদপ্তর:

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত দুই বছরে এডিজি সেলিনা বানু আইফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে কর্মকর্তাদের কয়েকটি প্রাইজ পোস্টিং দেন। তার আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে না পারলে দেশের প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে বদলি হতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। দেওয়া হয় কম গুরুত্বপূর্ণ পদ। কয়েক বছর আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে তার ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ চালাতে হয়েছে ময়মনসিংহসহ ওই এলাকার বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের। বিভিন্ন সময়েই কর্মকর্তাদের উপঢৌকন দিতে হয়। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তার অনুগত করতে সামান্য ভুলেও বিভাগীয় মামলা, নানা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করার ভয় দেখানোসহ নানাভাবে হুমকি দেন। উড়ো চিঠিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব অনিয়ম থেকে রক্ষা পেতে আবেদন জানিয়েছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সেলিনা বানুর নানা অনিয়ম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে। তবে কেউ গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। সবাই নাম প্রকাশ না করে তার অপকর্ম তুলে ধরেন।

সরকার সমর্থক না হয়েও সেলিনা বানু এত প্রভাবশালী কীভাবে? সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা সব সময়েই কৌশলে চলেন। যখন যে মহাপরিচালক দায়িত্বে আসেন, তিনি কৌশলে তার লোক হয়ে যান। নিজেকে সৎ কর্মকর্তা হিসেবে প্রচার চালায় তার অধিনস্তরা। তা ছাড়া মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগেও কিছু কর্মকর্তাকে নানাভাবে ম্যানেজ করে তিনি পুরো অধিদপ্তরই নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা অনিয়ম করে চলেছেন।


আরও খবর



বরিশাল মেডিকেলের প্রিজন সেলে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার আসামি পিটিয়ে অপর এক আসামিকে হত্যা করেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে ওই বৃদ্ধ আসামিকে পেটানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর একটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানিয়েছেন।

নিহত মো. মোতাহার (৬০) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। পিটুনিতে আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি।

হামলাকারী তরিকুল ইসলামের (২৫) গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। সে পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী তরিকুল অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে হাসপাতালের একজন জানিয়েছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে আকস্মিকভাবে ওই ব্যক্তি অপর দুই আসামিকে স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে মোতাহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পায়। অজিত আঘাত পেলেও গুরেুতর আহত হয়নি। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিল। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেনি। স্যালাইনের স্ট্যান্ড দিয়ে মানসিক রোগী দুইজনকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়েছে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্মা রায় বলেন, কি ঘটনা ঘটেছে তদন্ত না করে বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।

দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার।


আরও খবর



ভোটের আগে পিটার হাসের ‘আত্মগোপন’ প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দফায় দফায় বেশ জোরালোভাবেই নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছিল।

এমনকি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে দেওয়া হয়েছিল ভিসা-বিধিনিষেধসহ অন্যান্য নানা পদক্ষেপের হুমকিও। বাইডেন প্রশাসনের পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ছিলেন এ বিষয়ে সক্রিয়।

তবে নির্বাচনের আগ দিয়ে হঠাৎ করেই দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যান তিনি। আর এ নিয়ে সম্প্রতি একটি দাবি সামনে এসেছে, আর সেখানে বলা হচ্ছে- ভোটের আগে ভারতের চাপেই পিটার হাস আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন।

আর এই বিষয়টিই উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে। তবে নির্বাচনের আগে ভারতের চাপে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আত্মগোপন করেছিলেন- এমন দাবি নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (৮ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ভোটের আগে পিটার হাসের আত্মগোপন নিয়ে ভারতের এক কূটনীতিকের দাবি সম্পর্কে জানতে চান।

তিনি বলেন, এটা কি সত্য যে, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের একতরফা নির্বাচনের ঠিক আগে ভারতের কথিত চাপের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন? নয়াদিল্লিতে একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের একজন সিনিয়র কূটনীতিক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত এই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি নয়াদিল্লিতে প্রতিটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের দিকে নজর রাখি না।

তিনি হাসতে হাসতে আরও বলেন, কিন্তু না, এটি (ভোটের আগে ভারতের চাপে পিটার হাসের আত্মগোপন) সঠিক নয়।


আরও খবর