পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে ৩ ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই ঘটনায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতরা ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদের তিনজন সদস্য বলে জানা গেছে। আজ শনিবার দখলকৃত পশ্চিম তীরে এক অভিযান চালানোর সময় তারা নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। খবর এএফপির।
জেনিন শহরের কাছে এই হত্যাকান্ড ঘটে। ইসলামিক
জিহাদের পক্ষ থেকেও এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের সশস্ত্র শাখা থেকে এক
শোক বার্তায় বলা হয়েছে, আমাদের তিন বীর যোদ্ধার মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছি। নিহতের মধ্যে
দুইজন জেনিন এবং একজন তুলকারেমের।
ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,
জেনিন থেকে তুলকারেমে যাওয়ার পথে ইসরায়েলি সেনাদের গাড়ি আক্রমণ করে একটি দল। সেনারা
আটকের চেষ্টা করলে তিন ব্যক্তি গুলি চালান। পাল্টা গুলি চালালে তারা নিহত হন। এ ঘটনায়
ইসরাইলের চারজন সৈন্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে এই রক্তপাতের ঘটনা ঘটল, যা ইসরায়েল ও পশ্চিম তীরের মধ্যে চলমান সহিংসতাকে উস্কে দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, গতকাল শুক্রবার পশ্চিম তীরের হেব্রন শহরে সংঘর্ষের সময় ২৯ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ বলছে, ওই তরুণের
নাম আহমাদ আল-আত্রাশ। তিনি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন।
এর আগে ছয় বছর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, দাঙ্গার
সময় সৈন্যদের দিকে ককটেল ছুড়েছিলেন এক তরুণ। এর ফলে তার দিকে গুলি ছোড়া হয়।
হেব্রন পশ্চিম তীরের সবচেয়ে বড় শহর। সেখানে
দুই লাখ ফিলিস্তিনি অধিবাসীর মধ্যে এক হাজার ইহুদি বাসিন্দা কঠোর ইসরায়েলি সামরিক
নিরাপত্তায় বসবাস করছেন। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীর
দখল করে নেয়। সেখানে বসতি স্থাপনকারী পাঁচ লাখ ইহুদি রয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক
যারা অবৈধ বিবেচিত।