আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রমজানের প্রথমার্ধে ওমরাহ পালন করেছেন ৮০ লক্ষাধিক মুসল্লি

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিনে ওমরাহ পালন করেছেন ৮০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। আজ বুধবার সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়া।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮০ জন মুসুল্লি চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালন করেছেন।

রমজান মাসে হাজারো মানুষ সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাবা শরীফে ছুটে আসেন। নামাজ পড়া ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যেই তারা মূলত এখানে আসেন। যার ফলে এ সময়য় পবিত্র এই ভূমিতে মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে।

এদিকে গত সপ্তাহে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পবিত্র মাসে ভিড় কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে ওমরাহ পালন করতে পারে, তা নিশ্চিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) আজ

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হজের নিবন্ধনের শুরুতেই ভাটা

সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4




শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ধর্মীয় উপাসনালয়, ঘর-বাড়িতে হামলার অভিযোগ এনে তা বন্ধ ও নিরাপত্তা দেয়াসহ ৮ দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এই সংগঠনটি। সে সময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া ও পুনর্বাসনের দাবি জানান।

তাদের ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, মন্ত্রণালয় গঠন, দুর্গাপূজার ছুটি পাঁচদিন করা।


আরও খবর



আনোয়ারায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ, আতঙ্কিত উপকূলবাসী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

নদী পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ভাঙন। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বেড়ি বাঁধে তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলবাসী। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাট ও বাইগ্যের ঘাটের বেড়িবাঁধ ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গতকাল বিকেলে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের যে স্থান ভেঙে গেছে, এর দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে বালু বেরিয়ে গেছে। ওই বালু ঢেউ লেগে ধুয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় একটি মসজিদের চারপাশে পানি উঠেছে। বিলীন হয়ে গেছে পাশের একটি কবরস্থানও।

স্থানীয়রা জানান, এই মুহূর্তে জিও টিউব ও জিও ব্যাগের মাধ্যমে আপত্কালীন ব্যবস্থা যদি না নেওয়া হয় তাহলে এটা দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতিসহ বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।এ ছাড়াও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন এলাকাও পানিতে ভাসছে ঘরবাড়ি ও মাছের খামার। জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের রব্বাত মিয়াজির বাড়ি থেকে হাজী বাজারসহ ৩ কিলোমিটার বাঁধ ও ফসলি জমি তীব্র ভাঙনের মুখে রয়েছে। এসব এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে কিছুদিন আগে জিও ব্যাগ দিলেও সাগরের ঢেউয়ে তা তলিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও আমাদের বাড়িঘরের পাশে এখনো পাথর বসানো হয়নি। উপকূলের ঘাটের দুই পাশে পাথর বসানো হলেও মাঝখানে পাথর না দেওয়ায় বারবার ভাঙনের কবলে পড়ে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এবার বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হবে। দুই-তিন দিনের জোয়ারের পানিতে কবরস্থান বিলীন হয়ে গেছে। এখন মসজিদেও পানি উঠানামা করছে, নামাজও পড়তে পারছেন না মুসল্লিরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ২০১৮ সালে সরকার ৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের উন্নয়নে ৫৭৭ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। প্রকল্পে রায়পুর ইউনিয়নের ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে পাথরের ব্লক বসানো হয়। বাকি ৫ কিলোমিটার এলাকায় মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ এবং ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গহিরা সাগর উপকূলে ২ হাজার ৭০০ মিটার ও সরেঙ্গা শঙ্খ নদীর ২ হাজার ৪০০ মিটারও রয়েছে। এ ৫ কিলোমিটারের জন্য নতুন করে আবারও ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানায়।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শহীদ জানান, রায়পুর ইউনিয়নের ৫ হাজার ১৭৫ মিটার বেড়িবাঁধে ব্লক বসানোর জন্য নতুন করে ৩৯৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: বেড়িবাঁধের ভাঙন

আরও খবর



বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে মারধর ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়াকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা এ মারধর করেন। এ সময় মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে সাবেক ওই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নানা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আগে থেকেই বিতর্কিত ছিলেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় শাওন মোল্লা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়ার এক হাত ধরে নানা ধরনের প্রশ্ন করছেন। এ সময় মেঃ আব্দুর রশিদ তার বিভিন্ন অনিয়মের প্রামন চান। পরে কথা বলার একপর্যায়ে প্রথমে তার চোখের চশমা টেনে নিয়ে ভেঙে ফেলাসহ তার গায়ে হাত তোলা হয়।

মারধরের শিকার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় শাওন মোল্লাসহ আরও কয়েকজন লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে থেকে যাওয়ার সময় তারা হাসাহাসি করেন। এসময় শাওন মোল্লা আমাকে ডাক দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বসে আমার কাছে জানতে চায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে আমি কত টাকা কামাই করেছি, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী কিভাবে করেছি। এ সময় তাদেরকে বলি আমি যদি কোনো অনিয়ম করি তাহলে তার প্রমাণ দেখান। এছাড়া এখনতো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় নেই আর আমিও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নই। তবে আমার কথার কোনো গুরুত্ব না দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের গালাগালিসহ আমাকে মারধর করা হয়।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা হলেও এখনো আইনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত সময়ে আব্দুর রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার থাকাকালীন সময়ে আমাদের আনেক সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাজে কথা বলেছেন। জেলায় যত বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের কাউকে মুক্তিযোদ্ধর তালিকায় রাখেননি। এছাড়াও তিনি তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তার প্রতিবাদ করলে তিনি না থামায় আজকের এ ঘটনা ঘটেছে। আমার দলকে, আমার নেতাকর্মীদেরকে কেউ অসম্মান করে কথা বলবে তা তো আমরা মেনে নিতে পারিনা। এছাড়াও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে তিনি প্রতিহত করতে চেয়েছেন। এখন আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে তিনি দালালী করবেন তা মানা যায়না।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস) মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এঘটনায় কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



জাপানে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় শানশান, নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপান সাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় শানশান প্রবল বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউশুর কাগোশিমা শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে শানশান। তার আগে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপক বর্ষণ হয়েছে কিউশু এবং তার আশপাশের অঞ্চলে। জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের (জেএমএ) রেকর্ড বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিউশু ও তার আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬০০ মিলিমিটার।

কিউশু দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম-শহরে বাসবাস করেন অন্তত ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বর্তমানে দ্বীপটির প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে।

আবহাওয়াগত কারণে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের যাবতীয় ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেশকিছু উচ্চগতির ট্রেনের চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে কাগোশিমা ও পার্শ্ববর্তী মিয়াজাকি শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচকে।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা সাতাশি সুগিমোতো জানিয়েছিলেন, দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এই শানশান। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড়ের প্রভাবে উপদ্রুত এলাকায় বাতাসের গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

তীব্র বাতাস, প্রবল বর্ষণ এবং সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আসছে শানশান। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত হবে এই ঝড় মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি রাখা। নিকট অতীতে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এত বড় ঘূর্নিঝড় দেখা যায়নি, সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন সুগিমোতো।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কিউশুর উপকূলে আছড়ে পড়ার পরও শান্ত হবে না শানশান; বরং কিউশুতে তাণ্ডব চালানোর পর ক্রমশ দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের দিকে এগোতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় শানশান

আরও খবর



মহাকাশ স্টেশন ধ্বংস করতে ১০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

সবকিছুর শুরু যেমন আছে, তেমনি শেষও আছে। মহাকাশে সভ্যতার ইতিহাস গড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আয়ুও প্রায় শেষের দিকে। ২০৩১ সাল নাগাদ এটিকে ছুঁড়ে ফেলা হবে প্রশান্ত মহাসাগরের দুর্গম নিমো পয়েন্ট এলাকায়। স্টেশনটি ধ্বংস করতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সাথে ১০ হাজার কোটি টাকার চুক্তিও করে ফেলেছে নাসা।

প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষের সবচেয়ে বড় সাফল্য- এই স্টেশন তৈরি হয়েছে ৪ দেশ ও একটি সংস্থার উদ্যোগে। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া স্টেশনটির নেতৃত্বে থাকলেও ইউরোপ, কানাডা এবং জাপান রয়েছে সহযোগীর ভূমিকায়।

পৃথিবীর বাইরে মানুষের একমাত্র স্থায়ী আবাসস্থল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, আইএসএস। নির্মাণ কাজ শুরু ১৯৯৮ সালে। আর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু ২০০০-এ।ভাসমান এই গবেষণাগারে প্রথম পা রাখেন দুই রুশ নভোচারী সের্গেই ক্রিকালেভ ও ইউরি গিডজেনকো, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী উইলিয়াম শেফার্ড।

এ পর্যন্ত ২০ দেশের ২শ'র বেশি নভোচারীর পা পড়েছে এই মহাকাশ কেন্দ্রে। বলা হয়, যাত্রা শুরুর পর থেকে এটি কখনো মানবশূন্য থাকেনি। ছয় রুমের এই স্টেশনে রয়েছে মাইক্রো গ্রাভিটি নিয়ে গবেষণাগার। এছাড়া পানি বিরুদ্ধ করা এবং ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা হয় সেখানে। এ পর্যন্ত এখানে প্রায় ৩ হাজার ৩শ গবেষণা চালিয়েছে বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবছর এটি পরিচালনায় নাসার খরচ ৪শ কোটি ডলার। ২৪ বছরের দীর্ঘ সফরে মহাকাশে পর্যটন ভ্রমণ, সিনেমার শুটিংয়ের মতো অনেক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছে এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র।

তবে এখন বয়সের ভারে প্রায় ন্যুব্জ আইএসএস। যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত নানা সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন নভোচারীরা। গেল জুনে ৮ দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে আটকে গেছেন নাসার দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। কারিগরি ত্রুটির কারণে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মহাকাশ কেন্দ্রেই থাকতে হবে দু'জনকে।

তাই মহাকাশ বিজ্ঞানের এই অনন্য কীর্তি ২০৩০ সাল পর্যন্ত টিকে থাকবে পৃথিবীর কক্ষপথে। এরপর মহাকাশযানের কবরস্থান নামে খ্যাত নিমো পয়েন্টে ডুবিয়ে ফেলা হবে আইএসএস'কে।

ফুটবল মাঠের আয়তনের সমান এই স্টেশনকে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে নামিয়ে আনা সহজ হবে না বিজ্ঞানীদের জন্য। এরই মধ্যে এটিকে ধ্বংস করতে স্পেসএক্সের সাথে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা।

এটিকে কক্ষপথ থেকে টেনে নামাতে ডি-অরবিট ভেহিকল নামের বিশেষ একটি যান তৈরি করবে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান।


আরও খবর