কক্সবাজারের উখিয়ায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর ৮ নম্বর ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের ২০-২৫ জনের একটি দল ৮ এপিবিএনের আওতাধীন ঘোনারপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ১৯ নং ক্যাম্পের এ-৮ ব্লকের আমিন মাঝির ঘরের পাশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে।’
ফারুক জানান, ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লালাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। আব্দুল মজিদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তিনজন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৭, এ-১৭ ও এ-৮ ব্লকের বাসিন্দা যথাক্রমে কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫), মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও সলিমউল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)।
গ্রেপ্তারকৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর ও নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।
এপিবিএন কর্মকর্তা ফারুক বলেন, ‘এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।