আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে বালুখালী ক্যাম্পে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশনের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম।

এদিকে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা বলেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুপুরে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন এখনও জ্বলছে। তবে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, উখিয়া পুলিশ, এপিবিএন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে জানানো হয়েছে।

দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য সবাই একযোগে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত কি পরিমাণ রোহিঙ্গাদের বসতি ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খুজদার শহরে রোববার রাতে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত দুইজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, খুজদারের ব্যস্ত শপিং এলাকা উমর ফারুক চকে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন। খবর ডনের।

একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, বিস্ফোরণে দুজন নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনী বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছেছে। তারা মৃতদেহ ও আহতদের খুজদার টিচিং হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে৷

হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেছেন, আমরা হাসপাতালে দুটি মরদেহ ও পাঁচজন আহত ব্যক্তি পেয়েছি।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)উমর ফারুক চকে রেখে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলের আইইডিটি রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে বিস্ফোরণ করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।


আরও খবর



বোনের প্রেমিককে হত্যার দায়ে ভাইসহ দুজনের ফাঁসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লার হোমনায় মো. ফয়সল (২২) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. ফুল মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মো. বেদন মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া (২০)।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, নিহত ফয়সালের সাঙ্গে একই উপজেলার ফুল মিয়ার মেয়ে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা মেনে নিতে পারছিলেন না প্রেমিকা মেহেদী আক্তারের ভাই শামীম। পরে শামীম ফয়সালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৫ জুন ফয়সাল তার মামা নজরুল মিয়ার ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় তার মোবাইলে শামীম ফোন করে আমিরুল ইসলাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ফয়সাল কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই স্থানে যান। এক পর্যায়ে তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে ফয়সালের মরদেহ ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পুঁতে রাখেন শামীম ও দুলাল।

ওইদিন রাতে ফয়সাল বাসায় না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন স্বজনরা। পরদিন নিহত ফয়সালের বাবা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। সেটি তদন্তের দায়িত্ব পান হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম সরকার। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফয়সালের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করেন। এ সময় শামীমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন শামীম।

পরে শামীমের দেখানো স্থান থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শামীমের এ কাজে দুলাল সহযোগিতা করেন বলে জানালে পুলিশ দুলালকেও আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে শামীমকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আটক শামীম ও দুলালকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে উভয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসাঙ্গে প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় উভয় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হল উন্নত নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার সাথে সাংবাদিক শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা। আর্টিকেল ১৯ (বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়া) এর টোটেম প্রকল্পের আওতায় নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজন করা হয় এই কর্মশালাটি।

কর্মশালায় চট্রগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন সনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন টোটিমের আইটি কনসালটেন্ট তাওফিক আহমেদের সঞ্চালনা ও উপস্থাপনায় প্রোগ্রামটি পরিচালনা করেন আর্টিকেল ১৯ এর কনসালটেন্ট নাসরিন জেবিন, প্রোগ্রাম অফিসার উজমা মাসিয়াত।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের ডিভাইস নিরাপত্তা কি, ডিজিটাল ঝুঁকি বুঝতে পারা এবং সুরক্ষিত থাকার কৌশল, ম্যালওয়্যার, চুরি-বিরোধী প্রযুক্তি, নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপসের ব্যবহার, ডিভাইসের সুরক্ষিত নিবন্ধন, ইন্টারনেটের শারীরিক গঠন, মেটা ডেটা, এনক্রিপশন, ভিপিএন বরফ ভাঙা এবং নেটওয়ার্কিং, মোবাইল এবং যোগাযোগ পরিকাঠামো, পাসওয়ার্ড, 2FA, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সহ বিভিন্ন বিষয়ের সামগ্রিক বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্ব যেমন আমাদের হাতের মুঠোয় আবার তেমনি সঠিক ব্যবহার না জানলে ও না বুঝলে জীবন হয়ে উঠতে পারে বিপর্যস্ত। তাই আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা অত্যাবশকীয়।

এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে টোটেম কতৃপক্ষ পরবর্তীতে আরও ব্যাপকভাবে তাদের কর্মশালা আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে। এজন্য তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪