আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা শিখতে বিদেশ সফরে সচিবসহ ৯ কর্মকর্তা, অপেক্ষায় আরও

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ ভ্রমণে গেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ সরকারের ৯ কর্মকর্তা।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২১ নভেম্বর এই ৯ কর্মকর্তা তুরস্ক, জার্মানি ও সুইডেন সফরে যান। তাঁদের ২৯ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট শিরোনামের প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নিতে এই কর্মকর্তারা বিদেশে গেছেন বলে সরকারি আদেশ (জিও) থেকে জানা যায়।

সূত্র জানায়, সরকারের আরও ২৫ কর্মকর্তা রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা শিখতে কানাডা, তুরস্ক ও জার্মানি যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

উল্লিখিত ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে কানাডা যাবেন ১২ জন। তাঁদের বিদেশ সফরে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সরকারি আদেশ (জিও) জারি হয়েছে। তবে তাঁরা এখনই যাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, কানাডায় এখন অনেক শীত পড়েছে। শীত কমলে এই কর্মকর্তারা সুবিধাজনক সময়ে দেশটিতে সফরে যাবেন। বাকি ১৩ কর্মকর্তা যাবেন তুরস্ক ও জার্মানিতে। তাঁদের বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাবটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা শিখতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভাসানচরে থাকার ব্যবস্থা করেছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে।

তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের অনুদানের অর্থে। এখানে সরকারি অর্থায়নের কোনো বিষয় নেই। তা ছাড়া প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণের জন্য আলাদা অর্থ ধরা আছে। সে জন্যই কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। বিদেশিরা কীভাবে শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা করছেন, তা শিখবেন তাঁরা।

প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এখন তিন দেশ সফরে থাকা অন্য কর্মকর্তারা হলেনপ্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ মো. শহীদুল ইসলাম, প্রকল্পের পরিচালক এ টি এম মাহবুব উল করিম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সরকার, প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের একান্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শামীম রহমান, প্রীতম সাহা, মনজুর আলম ও সুজিত কুমার চন্দ। মন্ত্রণালয় সূত্র ও জিও থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, এই সফরে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি তাঁর নাম প্রত্যাহার করে নেন।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার, কে এম আবদুল ওয়াদুদ, এ বি এম সফিকুল হায়দার।

এ ছাড়া এই তালিকায় পরিকল্পনা কমিশন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা আছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান গত শনিবার বলেন, সরকারি অর্থায়নে বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক বা উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এসব সফরের ব্যয়ভার তারাই বহন করে। এই প্রকল্পে যেহেতু বিশ্বব্যাংক অনুদান দিচ্ছে, তাই সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে একটি সূত্র বলেছে, বিশ্বব্যাংকের অনুদানে সরকারি কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনে বিদেশ সফরে যাক, তা চাননি প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক আগ্রহের কারণে এ ব্যাপারে ছাড় দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাবেক সচিব ফাওজুল কবির খান বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার ভাসানচর, টেকনাফ ও উখিয়ায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে কী শিখবেন, আর কী প্রয়োগ করবেন, তা সবাই জানেন ও বোঝেন। কর্মকর্তারা যদি বিশ্বব্যাংকের অনুদানে গিয়ে থাকেন, তবে বলতে হয়, এই অর্থ অন্য খাতে খরচ করা যেত। যেকোনো প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা রাখা হয় সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতে। দেশে চলমান ডলারসংকটের মধ্যে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে তা রোহিঙ্গাদের জন্য অন্য খাতে খরচের পরামর্শ দেন তিনি।


আরও খবর



ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক নিতে (আমদানি) ব্রাজিলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (এপ্রিল ৮) সকালে গণভবনে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে তৈরি পোশাক রফতানি করছে। ব্রাজিল যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করে সেটা তাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে। দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য বিশেষ করে পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দেশটির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাজিল সফরে সম্মত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ব্রাজিল তার আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল উভয় দেশই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন ইস্যুতে একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বৈঠকে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে সেটা গণহত্যা।

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত ব্রাজিলের একটি জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

আরও খবর



ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুইদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে মাউরো ভিয়েরাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দুপুরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এবং বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। পরদিন সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

জানা গেছে, এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরার সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি।

ঢাকা ও ব্রাজিলের কূটনৈতিক সূত্র জানান, মাউরো ভিয়েরার সফরকে সামনে রেখে সম্প্রতি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। এ সময় তিনি গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন।

গত বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল। দেশটি গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে অর্থাৎ ৪৯৫ টাকা করে বাংলাদেশকে দিতে চায় লাতিন আমেরিকার এই দেশটি।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা থেকে আরব আমিরাতগামী ৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নজিরবিহীন বৃষ্টি আর আকষ্মিক বন্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় ঢাকা থেকে দুবাই ও শারজাহগামী নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আরব আমিরাতে বাজে আবহাওয়ায় কারণে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে দুবাই ও শারজাহগামী যে নয়টি ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল, সেগুলো বাতিল করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলো। এর মধ্যে এয়ার এরাবিয়ার পাঁচটি, এমিরেটসের দুটি এবং ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইট রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত তুমুল বৃষ্টিতে দুবাইয়ের পথঘাট, শপিংমল ও বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়ে তলিয়ে গেছে। বন্ধ রাখতে হয়েছে বিমান চলাচলও। খালিজ টাইমস জানিয়েছে, ১৯৪৯ সালের পর থেকে এমন বৃষ্টিপাত দেখেনি মরুভূমির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানুষ।


আরও খবর