আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রোজ গার্ডেন থেকে গণভবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন এবং বাঙালি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানে বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস। এ রাজনৈতিক দলটি এ দেশের সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং বাঙালি জাতির আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।

প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ দলটির নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। রোজ গার্ডেনে জন্ম গ্রহণের পর থেকে নানা লড়াই, সংগ্রাম, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলটি এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলের গৌরবোজ্জ্বল ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন, বুধবার।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ দেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালের ২৩-২৪ জুন পুরনো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাসভবনে একটি রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধীদল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতা-কর্মীরা সংগঠন থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক।

১৯৬৬ সালের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির একচ্ছত্র নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা। ৬৯-এর গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির যে জাগরণ ও বিজয় সূচিত হয়, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগ এবং এই আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর নেতৃত্ব শূন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ। এর পর দলের মধ্যে ভাঙন ও দেখা দেয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তাঁর নেতৃত্বে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়। চার দশক ধরে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। এই সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি  চার বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে দলটি।

আবার ৭২ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ বছরই আওয়ামী লীগকে থাকতে হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছর এবং ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ বছর, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত একটানা একযুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে।

২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটা সুসংহত হতে সক্ষম হয়ে জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে সফলতার পরিচয়ও দিয়েছিল দলটি। কিন্তু এই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে আবারো নতুন সংকটের মুখে পড়ে যায় দলটি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির অসংখ্য নেতারা গ্রেফতার এবং একাংশের সংস্কার তৎপরতায় কিছুটা সংকটে পড়ে দলীয় কার্যক্রম।

তবে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের শত প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং তৃতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা চতুর্থ বারের মত প্রধানমন্ত্রী হন।

নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সুখী, সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়াসহ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে দলটি।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

খোলা সয়াবিনের তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১৮ টাকা। আগে এটির দাম ছিল ৮০০ টাকা। আর পাম ওয়েল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সয়াবিন তেলের যৌক্তিক মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়।


আরও খবর



রমজানের পর শসার কেজি আড়াই টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরে শসার দামে ধস নেমেছে। দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন তারা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না।

এ ছাড়াও কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। খানসামা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে আড়াই টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারেনি। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়নগড় গ্রামে কথা হয় শসা চাষি মো. রশিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচই উঠছে না।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আ. সুবহান বলেন, দাম এখন হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় অনেক দাম কম। সবজির দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ: শসা

আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনও আমির ঢাকা এলেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। আমিরের সফ‌রে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে, এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাওয়ার পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বেশ গুরত্ব সহকারে আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১টির মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে, দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

আমিরের সফরের তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের। বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।

আমিরের সফরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। কাতার এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা আসতে পারে।

কাতারের আমির মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ও রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন আমির।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এর আগে সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

১৮ ও ১৯ এপ্রিল ঢাকার আগারগাঁও এর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে মোট ৬ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারের মূল বিষয় থাকবে- প্রাণিসম্পদের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ ভাবনা এবং করণীয়, ক্লাইমেট স্মার্ট ডেইরি সেক্টর, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও খাদ্য নিরাপত্তা, পশুপাখির রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়।

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল। আর প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২২ এপ্রিল রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ঢাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন সিলগালার নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

রাজউকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করে মাউশি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন 'আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার 'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়।

এ তালিকার মধ্যে মাউশির আওতাধীন ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।

'অধিক ঝুঁকিপূর্ণ' শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪