আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ
দেখিয়ে রোজার আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা
সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা এবং বোতলজাত তেলে ৪ টাকা বাড়ছে।
আজ সোমবার (১৫ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় তেলে দাম পুননির্ধারণের
সিদ্ধান্ত হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ লিটার লুজ সয়াবিন
মিলগেটে ১১৩ টাকা, ডিলারের কাছে ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা
হয়। ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম মিলগেটে ১২৭ টাকা, ডিলারের কাছে ১৩১ টাকা, সর্বোচ্চ
মূল্য ১৩৯ টাকা নির্ধারিত হয়। ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দাম মিলগেটে ৬২০ টাকা, ডিলারের
কাছে ৬৪০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও ১ লিটারের পামতেল
লুজ (সুপার) তেলের দাম মিলগেটে ১০৪ টাকা, ডিলারের কাছে ১০৬ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য
১০৯ টাকা নির্ধারিত হয়।
এর আগে গেল ১৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন
তেলের দাম মিল গেইটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ টাকা এবং খুচরায় ১৩৫ টাকা নির্ধারণ
করা হয়েছিল।
পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম মিল
গেইটে ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৬০০ টাকা এবং খুচরায় ৬২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে যে তেল ব্যবহার হয়, তার ৭০ শতাংশই
পাম সুপার। আগে এর প্রতি লিটারের দাম ছিল মিলগেইটে ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা
এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক
বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্যে অস্থিতিশীলতা থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার
অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে জাতীয় কমিটি দেশের পরিশোধনকারী মিল ও ভোক্তাদের
স্বার্থ বিবেচনায় সভা করেছে।