আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঋণ খেলাপিদের জন্য বিশাল সুযোগ দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি মার্চে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এবার সেটাও নিয়মিত করার বিশাল সুযোগ করে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলার অনুযায়ী খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে। আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ।

এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে ৫ থেকে ৮ বছরে। আগে সময় দেওয়া হতো সর্বোচ্চ দুই বছর। এমনকি এখন নতুন করে ঋণও নিতে পারবেন  খেলাপিরা।

সার্কুলার অনুযায়ী পর পর চারবার ঋণ খেলাপি হলেও ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। অর্থাৎ ১৮ বছর ঋণের সব টাকা ফেরত না দিলেও গ্রাহকের আইনি সমস্যা হবে না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব, বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নতুন করে আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন নীতিমালা জারি হয়েছে। এছাড়া, শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থও দেখা হয়েছে এখানে।

ব্যাংকগুলোকে এই সার্কুলারের আলোকে নিজস্ব নীতিমালা করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরও বলা হয়েছে, যে সব গ্রাহক আর্থিক দুরবস্থায় রয়েছে অথবা গৃহীত ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ আদায়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এরূপ ক্ষেত্রে যাতে নিয়মমাফিক পুনঃতফসিলিকরণ বা পুনঃ পুনঃ পুনঃতফসিল পরিহার করা যায় সে লক্ষ্যে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এও বলেছে, ঋণগ্রহীতা কর্তৃক তহবিল অন্যত্র স্থানান্তর কিংবা তিনি একজন অভ্যাসগত ঋণখেলাপি হলে তার পুনঃতফসিলিকরণের আবেদনপত্র বিবেচনাযোগ্য হবে না। তার ঋণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, শ্রেণিকৃত কোনও ঋণ সর্বোচ্চ ৩  বার পুনঃতফসিলযোগ্য হবে। তবে, খেলাপি ঋণ আদায়ের স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় ৪র্থ বার পুনঃতফসিল করা যাবে।

সার্কুলারে আরও যা আছে

# মেয়াদি ঋণ ১০০ কোটি টাকার কম হলে গ্রেস পিরিয়ডসহ ৬ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# ১০০ কোটি ও তদূর্ধ্ব, কিন্তু ৫০০ কোটি টাকার কম হলে ৭ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# ৫০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব হলে ৮ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে। এছাড়া চলমান ও তলবি ঋণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে ৫ বছর বাড়ানো যাবে।

# ৫০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব কিন্তু ৩০০ কোটি টাকার কম হলে ৬ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# ৩০০ কোটি টাকা ও তদূর্ধ্ব হলে ৭ বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে।

# কোনও গ্রাহকের ঋণ হিসাব ২য় পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ ৭ বছর হলে ৩য় পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৬ বছর। ৪র্থ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৫ বছর।

# কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রথমবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং ২য় ও পরবর্তী প্রতিবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ২ বছর ৬ মাস।

# ঋণের পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস হবে। তবে, গ্রাহকের ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর নির্ধারণ করা যাবে।

# পুনঃতফসিলের সর্বোচ্চ মেয়াদকাল সব ঋণগ্রহীতার জন্য সমহারে প্রযোজ্য হবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতার ক্ষতির পরিমাণকে যথাযথভাবে বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতফসিলের মেয়াদকাল নির্ধারণ করতে হবে।

# মেয়াদকাল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের পর্ষদ/নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপিত স্মারকে এবং সভার কার্যবিবরণীতে সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ থাকতে হবে।

# নিয়মিত (অশ্রেণিকৃত: স্ট্যান্ডার্ড বা এসএমএ) মেয়াদি ঋণ (চলমান, তলবি বা অন্য কোনও প্রকার ঋণ রূপান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট নয়)-এর বিদ্যমান অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মেয়াদ বর্ধিত করে ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। কোনও ঋণ হিসাবকে ঋণের মেয়াদের মধ্যে শুধু একবার এরূপ পুনর্গঠন সুবিধা দেওয়া যাবে।

# কোনও প্রকার ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ ছাড়া মেয়াদি ঋণ পুনর্গঠন করা যাবে। ঋণ পুনর্গঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদ/নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

# তলবি ঋণ, চলমান ঋণ বা মেয়াদি ঋণ বিভিন্ন প্রকৃতির হওয়ায় এ জাতীয় ঋণগুলোকে একত্রিত করে একক ঋণ হিসেবে পুনঃতফসিল করা যাবে না। তবে, একই প্রকৃতির একাধিক ঋণ হিসাবকে (পুনঃতফসিলের ক্রম একই হওয়া সাপেক্ষে) একত্রিত করে একক ঋণ হিসেবে পুনঃতফসিল করা যাবে।

# শ্রেণিকৃত কোনও ঋণে সার্কুলার জারির আগে ৪ বা ততোধিকবার পুনঃতফসিলকৃত হলে বিশেষ বিবেচনায় ঋণ হিসাবটি সর্বশেষ একবার পুনঃতফসিল করা যাবে, যা ৪র্থ বার হিসেবেই গণ্য হবে।

# ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত এরূপ পুনঃতফসিলিকরণের সুযোগ থাকবে। ৪র্থ বার পুনঃতফসিলিকরণের পরও কোনও ঋণ খেলাপি হলে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাংক আবশ্যিকভাবে অর্থ ঋণ আদালত, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, সালিশি, দেউলিয়া আদালত কিংবা অনুরূপ কোনও আদালতে মামলা দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেবে।

# শ্রেণিকৃত কোনও ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ছাড়া কিংবা পুনঃতফসিলিকরণের যে কোনও পর্যায়ে বর্ণিত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কোনও বাধা নেই।

# জাল-জালিয়াতি বা অন্য কোনও প্রতারণার মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে এ সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধা প্রদান করা যাবে না।

# কোনও ঋণগ্রহীতা প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট নগদে দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের আবেদন করলে ব্যাংক আবশ্যিকভাবে আবেদনপত্র গ্রহণের ৩ মাস সময়ের মধ্যে তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেবে।

# কোনও গ্রাহক কর্তৃক চেক, পে অর্ডার বা অন্য কোনও ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থ ডাউন পেমেন্ট হিসেবে প্রদান করা হলে ব্যাংক ওই ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট নগদায়নের পর পুনঃতফসিলিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করবে।

# পুনঃতফসিলিকরণের উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহীতা কর্তৃক ব্যাংককে আগাম অবহিত করা সাপেক্ষে অব্যবহিত ৯০ দিন পর্যন্ত জমাকৃত একীভূত অর্থ ডাউন পেমেন্ট গণ্য করা যাবে।

# বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, প্রতিটি পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটি লিখিতভাবে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের যথার্থতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন করবে।

# ব্যাংকের তারল্য অবস্থা এবং অন্যান্য গ্রাহকের ঋণ প্রাপ্যতার ওপর পুনঃতফসিলিকরণের প্রভাব সম্পর্কেও ওই প্রত্যয়নপত্রে ব্যাখ্যা থাকতে হবে।

 


আরও খবর



লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তবে এটি ব্যক্তিগত সফর বা অবকাশ যাপনের জন্য নয়। তারা যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য লিফট কিনতে।

আজ শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৯ মে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঢাবির একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই ভবনগুলোর জন্য ১৭টি লিফটের প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করতে চারজনের একটি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক সীতেশ। অন্য তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান।

অধ্যাপক সীতেশের সহকর্মীরা জানান, তিনি একজন বিখ্যাত মেডিসিনাল কেমিস্ট ও স্বীকৃত গবেষক। ফার্মাসি এবং ওষুধের ফিল্ডে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। যন্ত্রকৌশল বিষয়ে তার জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও লিফট কেনার জন্য তার ভ্রমণ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কনে ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে।

একাধিক পিপিআর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করার খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে প্রাক টেন্ডার প্রস্তাবে বিদেশ যাওয়া-আসা এবং সেখানে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই লিফটের দাম নির্ধারণ করা হয়। ফলে আদতে এই ব্যয় ক্রেতাই বহন করছে।


আরও খবর



সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।

বুধবার (১ মে) এমন একটি চিঠি গণমাধ্যম এর হাতে আসে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যাচাই বাছাইয়ের পর দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এই আবেদনটি করেন। চিঠিতে তিনি বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে শিরোনামে এবং মানবজমিন পত্রিকায় ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে এ দুটি সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে।

এ কারণে চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দুদককে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই আইনজীবী।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন: দুই প্যানেলে লড়বেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ঈদের পর নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এফডিসি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

নির্বাচনে লড়ছেন যারা

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।


আরও খবর



ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।


আরও খবর



দেশের সব আদালতে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।


আরও খবর