রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) বর্তমান পরিষদ গেল সাড়ে চার বছরে উন্নয়নের পাশাপাশি জনসেবা ও মানবিক কাজ করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বিধবা ভাতা, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, গুণি শিল্পী ও ক্রীড়াবিদ এবং সাংবাদিদের নিয়মিত ভাতা প্রদান করে আসছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, টিফিন ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করে আসছে সিটি কর্পোরেশন।
বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বাড়ানো, আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে তাদের মনোবল জোরদার করা এবং তাদের চিকিৎসা ও পুষ্টি সরবরাহ বাড়াতে সহায়তার অংশ হিসেবে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে সিটি কর্পোরেশন ১ হাজার ৬৫ জন উপকারভোগীকে ভাতার আওতায় এনেছেন। যাদেরকে প্রতিমাসে এবং এককালীন সহায়তামূলক ভাতা প্রদান করছে সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া ১ হাজার ৪০০ পরিবারকে পুষ্টির আওতায় আনা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ভাতা প্রদান প্রসঙ্গে এসব তথ্য জানান সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি বলেন, সাড়ে চার বছরে শুধু বিধবা, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, গুণী শিল্পী, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তিন হাজার পরিবারকে ৮৫ লাখ টাকা ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ প্রদান করেছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত গৃহহীনদের জন্য আটটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
মেয়র জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকার বিধবা, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, গুণিজন, সাংবাদিকসহ শিক্ষার্থীদের ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গেল সাড়ে চার বছরে প্রায় ১১০০ জনকে ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকে ১৫ জন করে মোট ৪৯৫ জন উপকারভোগীকে মাসে পাঁচশত টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ৪৮ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১০ জন গুণি শিল্পী ও ক্রীড়াবিদকে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা করে এবং সাতজন সাংবাদিককে ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করে আসছে সিটি কর্পোরেশন।
তিনি আরও জানান, প্রতিমাসে সিটি কর্পোরেশন থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন ভাতা প্রদানের পাশাপাশি নগরীর ১০টি কমিউনিটি স্কুলে প্রতিমাসে ৩০০ শিক্ষার্থীকে টিফিন ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিমাসে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান দিয়ে আসছেন সিটি কর্পোরেশন।
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা করে আসছি। সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় বাড়লে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো যাবে। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বাড়ানো, আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে তাদের মনোবল জোরদার করা এবং তাদের চিকিৎসা ও পুষ্টি সরবরাহ বাড়াতে সহায়তার অংশ হিসেবে এই সহায়তা প্রদানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।