আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে সাকিবের বরিশালকে হারাল মাশরাফির সিলেট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণভাবে শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। মাঝে পথ হারানোর পর শেষদিকে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা।

ম্যাচটা প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে এসছিলেন সাকিব-করিমরা। কিন্তু শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়েও শেষরক্ষা হলো না। বরং রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মোহাম্মদ আমির ও রেজাউর রহমান রাজের দুটি অসাধারণ ওভারের পর জয় তুলে নিল মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স।

২০২৩ বিপিএলের ২৩তম ম্যাচে আজ শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সামনে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল সিলেট। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে থামে বরিশালের লড়াই। ফলে ২ রানের জয় তুলে নেয় সিলেট। রোমাঞ্চকর এই জয়ে এককভাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এলো মাশরাফির দল। ৭ ম্যাচে ৬৭ জয়ে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বরিশাল।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু পায় বরিশাল। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইব্রাহীম জাদরান মিলে তুলে ফেলেন ৪২ রান। তবে ৪ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পরে যায় তারা। ১৯ বলে ৪ ছক্কায় ৩১ রান করা সাইফকে বিদায় করেন সিলেটের তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এরপর তিনে নেমে দ্রুত ফেরেন এনামুল হক (৩)। 

চাপের মুখে ইব্রাহীমকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দুজনে মিলে ৫১ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। ফিফটির দিকে ছুটতে থাকা ইব্রাহীমকে (৪২) বিদায় করে জুটি ভাঙেন রেজাউর রহমান রাজা। একই ওভারে ১৮ বলে ২৯ রান করা সাকিবের উইকেটও তুলে নেন রাজা। তবে এরপরও হাল ছাড়েনি বরিশাল।

মাশরাফি বিন মর্তুজার এক ওভারে হ্যাটট্রিক ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ থেকে দলকে কিছুটা মুক্তি দেন করিম জানাত। ওই ওভারে আসে ২১ রান। তাতে লক্ষ্যটাও ছোট হয়ে আসে। কিন্তু পরের ওভারে মোহাম্মদ আমির দারুণভাবে চেপে ধরেন দুই অন-ক্রিজ ব্যাটারকে। তার করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে আসে মাত্র ১ রান। সেই সঙ্গে ওভারের শেষ বলে করিম জানাতকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে আসল কাজটাও সেরে ফেলেন পাকিস্তানি পেসার। ১২ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন করিম।

শেষ ১৮ বলে ৪১ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বরিশালের সামনে। সাকিবের করা পরের ওভারের প্রথম দুই বলে ইফতিখার আহমেদের ব্যাট থেকে চার ও ছক্কায় আসে ১০ রান। তৃতীয় বলে স্ট্রাইকে গিয়ে ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওই ওভারে সবমিলিয়ে আসে ১৮ রান। কিন্তু পরের ওভারের প্রথম বলেই রিয়াদকে (৭) ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন আমির। তবে স্ট্রাইকে গিয়েই ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। 

শেষ ৬ বলে ১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন ইফতিখার। রাজার বলে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু বাউন্ডারি তো দূরের কথা, ৪০ গজের মধ্যেই ধরা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। ফলে ১২ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন ইফতিখার। পরের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন মিরাজও (৭)। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জমিয়ে তোলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এতে শেষ বলে ৭ রান দরকার ছিল। কিন্তু ওয়াসিম হাঁকান চার। ফলে ২ রানে জিতে যায় সিলেট।

এর আগে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। খালেদ আহমেদের করা প্রথম ওভারে ১০ রান নিলেন শান্ত। কিন্তু পরের ওভারে তাণ্ডব চালান ওয়াসিম জুনিয়র। প্রথম বলে উপড়ে ফেলেন জাকির হাসানের স্টাম্প। পঞ্চম বলে গ্লান্স করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন তৌহিদ হৃদয়। ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওয়াসিম। মুশফিক ও জাকির দুজনেই উপহার দেন গোল্ডেন ডাক। অন্যদিকে ইনজুরি কাটিয়ে দুই ম্যাচ পর মাঠে নামা হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।

চাপের মুখে সেই ধাক্কা সামাল দেন শান্ত। সঙ্গে পান টম মুরসের। চতুর্থ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা। তাতে আবারও রানের গতিতে ফিরতে শুরু করে সিলেট। মুরস ৩০ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৪০ রানে সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে ফিরলেও শান্ত চালিয়ে যান। ৪৮ বলে পূরণ করেন ফিফটি। এরপর বাকি ১৮ বলে ৩৭ রান নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৬ বলে ৪ চারে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন থিসারা পেরেরা। তার উইকেটটি নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। প্রথম ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া ওয়াসিম পরের তিন ওভারে কোনো উইকেটের দেখা পাননি, উল্টো রান দিয়েছেন ২৯।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট স্ট্রাইকার্স- ২০ ওভারে ১৭৩/৫ (শান্ত ৮৯, মুরস ৪০; ওয়াসিম জুনিয়র ৩৪/৩)

ফরচুন বরিশাল- ইব্রাহীম ৪২, সাইফ ৩১, সাকিব ২৯, করিম ২১; রাজা ৪১/৩, সাকিব ৪০/২, আমির ২৪/২)


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২১

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ের পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, জমি-জমার বিরোধ নিয়ে সাহাপুর ইউনিয়নের দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই দিন ধরে তাদের মধ্যে মারামারারি ঘটনা ঘটে। সেই বিরোধের জেরে বিকেলে তারা আবারও সংঘর্ষ জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুলের মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।


আরও খবর



মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ায় গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহতরা হলেন- ফয়জুর রহমান (৫২), শিরি বেগম (৪৫), সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩) ও সায়েম উদ্দিন (৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বসতঘরের ওপর পরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার (৬) নামে এক শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বলেন, মরদেহগুলো জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ট্রেনে ঈদ ফিরতি যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের পর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সাত দিনব্যাপী ট্রেনে ফিরতি যাত্রা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর জন্য আরও ১০ দিন আগে এই যাত্রার আসন বিক্রিও করেছিল রেলওয়ে। সেই যাত্রা শুরু প্রথম দিন শনিবার (১৩ এপ্রিল)।

এদিন সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনগুলো স্টেশনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে আসছে। তবে ট্রেনগুলো থেকে যথেষ্ট যাত্রী নামতে দেখা যায়নি। যারা এসেছেন তারা জানিয়েছেন, আজ ট্রেন অনেকটাই ফাঁকা ছিলো। আগামীকালও ছুটি, হয়তো পরশুদিন থেকে ট্রেনে চাপ বাড়বে।

ভোর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থেকে আসা একতা এক্সপ্রেস (৭০৬) ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ওই ট্রেনের যাত্রী হামিদুর রহমান বলেন, আমি ঈদের তিন দিন আগেই বাড়ি গিয়েছিলাম। যদিও কালকে বন্ধের দিন, কিন্তু কাজ থাকায় আজই ঢাকায় ফিরেছি। পরিবারে অন্য সদস্যরা আরো কয়েকদিন পরে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফিরতে ট্রেনে তেমন কোনো চাপ ছিল না। ট্রেন অনেকটা ফাঁকাই লেগেছে। হয়তো কালকের পর থেকে চাপ বাড়বে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৩ এপ্রিলের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হয় ৩ এপ্রিল; ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল; ১৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৫ এপ্রিল; ১৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৯ এপ্রিল। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর