আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

রুশ আগ্রাসন রুখতে ব্রিটেনের সাহায্য চাইলেন জেলেনস্কি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অতীতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হল বা হাউস অব লর্ডস-এ বক্তব্য রেখে গিয়েছেন বহু রাষ্ট্রনেতা। তবে সোজা চেম্বারে প্রবেশ করে এমপিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ এর আগে কেউ পাননি। যা দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত পড়শি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে।

ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে মঙ্গলবার এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন জেলেনস্কি। শেক্সপিয়র থেকে শুরু করে চার্চিল এক এক করে ব্রিটেনের খ্যাতনামা ভূমিপুত্রদের লেখনী বা মন্তব্য ধার করে বোঝাতে চাইলেন প্রতিপক্ষ রাশিয়ার আগ্রাসনকে মাত দিতে ব্রিটেনের সহযোগিতা এখন ঠিক কতটা প্রয়োজন তাঁদের।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের অবস্থান ব্যক্ত করতে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে আকাশ, সব জায়গাতেই লড়বে ব্রিটেন। সেই সুরেই মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, জঙ্গল, মাঠ, সৈকত থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, রাশিয়ার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়ব। সমুদ্রে। আকাশে। আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে সব জায়গায় যুদ্ধ চালিয়ে যাব সে তার বদলে যা-ই খেসারত দিতে হোক না কেন।

ইউক্রেনীয় ভাষাতেই তাঁর বক্তব্য রাখেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। বিশেষ হেডফোনের মাধ্যমে যার ইংরেজি অনুবাদ শুনছিলেন এমপি-রা। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য রাতারাতি ৫০০টি হেডফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল পার্লামেন্টে। অতিথিদের গ্যালারিটিও ছিল ভিড়ে ঠাসা। জেলেনস্কির বক্তব্য শোনাতে নিজের ছবছরের কন্যাকে নিয়ে এসেছিলেন এক এমপি। উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতও।

টু বি অর নট টু বি’— শেক্সপিয়র রচিত নাটক হ্যামলেটের এই জনপ্রিয় লাইনটিও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, আমাদের কাছে এখন প্রশ্ন হল, টু বি অর নট টু বি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত ১৩ দিনে এই প্রশ্নটি করা যেত, তবে এখন আমি এর চূড়ান্ত জবাব দিতে পারব। তা হল, অবশ্যই হ্যাঁ টু বি!

এর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটেনের পরিস্থিতির সঙ্গে ইউক্রেনের তুলনা টানেন জেলেনস্কি। বলেন, আমাদের যা আছে তা আমরা হারাতে চাই না। ঠিক যেমন আপনারা নাৎজিদের কাছে নিজেদের দেশকে হারাতে চাননি। সঙ্গে গত ১৩ দিনে ইউক্রেনের উপর দিয়ে বয়ে চলা ঝড়ের বিবরণ দিয়ে চলেন জেলেনস্কি। এমপি-দের কাছে রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসাবে দেখার আর্জি জানান তিনি। দাবি জানান, ব্রিটেন যাতে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপায় রাশিয়ার উপর, রুশদের জন্য যেন বন্ধ করা হয় ব্রিটেনের আকাশপথ। তাঁর মন্তব্য, আমরা সাহায্য চাইছি, আপনাদের মতো সভ্য দেশগুলির সাহায্য।

সকলের হৃদয়ে ধাক্কা দিয়েছে তাঁর বার্তা, জ়েলেনস্কির বক্তব্য শেষে হাউসের তরফে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে এ কথা জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিস বলেন, আমি জানি আমি গোটা হাউসের হয়েই এটা বলছি যে ব্রিটেন এবং তার সহযোগীরা প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করে ইউক্রেনকে তাদের ভূমি বাঁচানোর লক্ষ্য নিশ্চিত করার পক্ষেই।

বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টারমার তুলে ধরেন যে, জেলেনস্কি চাইলেই যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারতেন। তাঁর কাছে সেই সুযোগও ছিল। সকলে বিষয়টি বুঝতও। তবে তিনি তা করেননি। তিনি আরও বলেন, পুতিন বেশির ভাগ সময়েই যা চেয়েছেন, তা করিয়ে নিয়েছেন। তবে জ়েলেনস্কির দৃঢ়তা বিশ্বকে পুতিনের বিরুদ্ধে পাঞ্জা শক্ত করায় অনুপ্রাণিত করেছে। গোটা ইউক্রেনকে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করেছেন তিনি। আর রাশিয়ার পরিকল্পনা পণ্ড করার দিকে পা বাড়িয়েছেন।

নেতাদের অভিবাদনেই থেমে থাকেনি জেলেনস্কি-স্তুতি। পশ্চিমি দেশগুলির নেতা বলেও তাঁকে উল্লেখ করতে শোনা যায় লেবার পার্টির এক এমপিকে। এমনকি সভার শেষ ভাগে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদন জানায় গোটা হাউস।


আরও খবর



প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর



ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তরে জঙ্গি হামলায় নিহত ২৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ সিস্তান-বেলুচেস্তানে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সদর দপ্তরে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১১ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সন্দেহভাজন ১৬ সুন্নি মুসলিম জঙ্গি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, চাবাহার ও রাস্ক শহরে জইশ আল-আদল গ্রুপ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়েছে। সন্ত্রাসীরা চাবাহার ও রাস্কে গার্ডস সদর দপ্তর দখলের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ মিরাহমাদি রাষ্ট্রীয় টিভিকে এ কথা বলেছেন। লড়াইয়ে আরও ১০ রেভল্যুশনারি গার্ড আহত হয়েছেন।

শিয়া মুসলমান অধ্যুষিত ইরানে আদিবাসী সংখ্যালঘু বালুচ জাতিগোষ্ঠীর আরও বেশি অধিকার এবং আরও ভালো জীবনযাত্রার দাবি জানিয়েছে জাইশ আল-আদল। সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে গত কয়েক বছরে হওয়া বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই প্রদেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সুন্নি মুসলিম জঙ্গিদের মধ্যে নিয়মিত লড়াই হতে দেখা যায়। মাদক পাচারকারীদের সঙ্গেও নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত লড়াই হয়।

আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা বিশ্ব এবং অন্যান্য দেশে মাদক পাচারের মূল পথগুলোর একটি গেছে ইরানের ওপর দিয়ে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

মেয়র তাপস বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রায় সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। আর যে একদিন আছে এর মধ্যে আমরা বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করব। গত দুই বছরের মতো ঢাকাবাসীকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।

তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে এবং সব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য ৪টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়া জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরও তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে কর দ্রুত সবাই বের হয়ে যেতে পারে।

মেয়র বলেন, মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং ছাতা জামাতে আনতে পারবেন। তবে দেয়াশলাইসহ আগুন জালানোর কোনো সরঞ্জাম নিয়ে কাউকে জামাতে প্রবেশ না করতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় ঈদগাহ

আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর



খেলাপি ঋণ না কমায় আইএমএফের অসন্তোষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী খেলাপি ঋণের উন্নতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধি দল। একই সঙ্গে তারা সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যেসব লিকেজ রয়েছে তা দূর করতে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। গতকাল (২৫ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রলণালয়ে আইএমএফের সঙ্গে পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসব সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। অপর সভায় নেতৃত্ব দেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী। আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কার্যক্রমের কর্মসূচি চলমান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ দুটি কিস্তি পেয়েছে, এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন বাস্তবতা সামনে রেখে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের ৩৮টি শর্ত পূরণের কাজ পর্যালোচনা বা রিভিউ করতে আইএমএফের একটি দল অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনায় দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আইএমএফের একটি দল এ সময় ঢাকায় আসে। সভা সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক মার্জার করায় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে স্বাগতম জানালেও খেলাপি ঋণের উন্নতি করতে পারেনি সরকার। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের একটি ছিল খেলাপি ঋণ কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলেছে সংস্থাটি।

এর মধ্যে সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার শর্ত ছিল। সরকার তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থার প্রতিনিধি দল। সূত্র আরও বলছে, ব্যাংক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে বেশ কিছু আইন তৈরি ও সংশোধনের প্রস্তাব ছিল আইএমএফের। এর মধ্যে সরকার ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন এবং আর্থিক কোম্পানি আইন এবং অফশোর ব্যাংক আইন পাস করেছে। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা ও বিনিয়োগ আইন এবং দেউলিয়া-বিষয়ক আইনসহ অন্যান্য আইন সংস্কার ও তৈরি এখনো হয়নি। এসব আইন দ্রুত পাস করার জন্য বলা হয়েছে। আইএমএফের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে ঋণ ও আমানতের সুদহারে ৯ ও ৬ শতাংশ সুদহার বজায় রাখা থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বদলে সুদহারের নতুন নিয়ম চালু করা হয় সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ (স্মার্ট) পদ্ধতি। গত বছরের জুলাই থেকেই তা কার্যকর করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ডের ছয় মাসের গড় সুদহার বিবেচনা করে প্রতি মাসে একটি দর নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সুদ যুক্ত করতে পারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আইএমএফ প্রতিনিধি দল এই সুদ হার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে আরও স্বাধীনতা দিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে।


আরও খবর