
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার হওয়ার পর কৌশলে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। কিশোরীরা নরসিংদীর মাধবদী এলাকার বাসিন্দা।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, গত ১ জানুয়ারি দুই কিশোরীকে ভারতে নিয়ে যান পাচারকারীরা। পরে এক কিশোরীর মা রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা ও ভুক্তভোগীদের হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলার সূত্র ধরে নবী মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দুই কিশোরী জানায়, তারা রূপগঞ্জ উপজেলার আউখাব এলাকার একটি টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করে। এর সুবাদে রশিদ নামে যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। গত ১ জানুয়ারি তিনি বিউটি পার্লারে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠাবে বলে প্রথমে চিটাগাং রোডে নিয়ে যান। সেখানে নবী মিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
পরে তাঁরা গুলিস্তান বাস স্টেশনে নিয়ে যান। এরপর তাঁদের আরেক সহযোগী শাকিলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে শাকিলসহ ঢাকার বাড্ডা এলাকায় কাগজপত্র করার কথা বলে নিয়ে যান। রাতে বাসে করে নিয়ে যান যশোরে। সেখান থেকে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে দেন। সেখানে গিয়ে দুই কিশোরী জানতে পারে, ভারতের দুজন লোকের কাছে ৭ লাখ টাকায় পাচার করে দেওয়া হয়েছে।
কিশোরীরা আরও জানায়, সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে ভারতের বনগাঁ জেলার মৌসুমপুর সীমান্ত এলাকায় পরিতোষের বাড়িতে আশ্রয় নেয় তারা। তাঁর মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে। পরে পুলিশ ভারত থেকে বিভিন্ন কৌশলে ফিরিয়ে এনে মহেশপুর সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে দুই কিশোরীকে।