রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদের পরিবারের
প্রভাব বিস্তার আর ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান।
দুটি ওয়ার্ডে ইভিএম জালিয়াতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তার। তিনি ওই দুই ওয়ার্ডে পূঃণ তফসিল
করে নতুন নির্বাচন অথবা ভোট পুঃণ গণনার দাবি জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তার
কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
মিজানুর রহমান
জানান, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে তিনি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন থেকে আনারস প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান
পদে নির্বাচন করেছেন। সেখানকার ৫৩ হাজার ভোটারের মধ্যে ৯ নং ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ২২
হাজার। সে ওয়ার্ডটি বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে কব্জায় রাখে স্থানীয় এমপি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
গোলাম দস্তগীর গাজী তার ছেলে পাপ্পা গাজী ও স্ত্রী তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী।
সেখানে তাকে কোন
ধরনের প্রচার প্রচারনা করতে দেয়া হয়নি। অথচ সে ওয়ার্ডে সর্বাধিক ভোটার তাকেই প্রার্থী
হিসেবে চেয়েছেন। নির্বাচনের দিন উক্ত ওয়ার্ডের
৮ টি কেন্দ্রের কোথাও তার কোন এজেন্ট দিতে দেয়া হয়নি। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসার সেখানকার
কেন্দ্রগুলোতে লিখিত কোন ফলাফল দেননি। ফলাফল দেয়া হয়েছে উপজেলা থেকে রাত ৯টার পর। তিনি
পুরো কায়েতপাড়ায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাহেদ আলীর চেয়ে ৭ হাজার ৪'শ ভোটে এগিয়ে থাকলে
তাকে ৯ নং ওয়ার্ডের চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভাবে পরাজিত দেখিয়ে ফলাফল
ঘোষনা করা হয়েছে।
এসব কারচুপির মাধ্যেমে বিপক্ষ প্রার্থীর কাছে তাকে ৬৫৮ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এ কারনে তিনি চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রগুলো ও ৭ নং ওয়ার্ডের পূর্বগ্রাম কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি এসব কেন্দ্রে পূঃণ তফসিল করে নতুন নির্বাচন অথবা ভোট পুঃণ গণনার দাবি জানান।