আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রূপপুরে বেলারুশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত ইভানু মাকসিম (৫১) নামের এক বেলারুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার সাহাপুরের নতুনহাট মোড়ে নির্মাণাধীন বিদেশিদের আবাসন প্রকল্প গ্রিনসিটি ভবনের একটি কক্ষ থেকে ওই বেলারুশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মাকসিম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের রুইনওয়ার্ল্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গ্রিনসিটি আবাসিকের ১ নম্বর ভবনের ১৫ তলার ১৫২ নম্বর কক্ষে ওই বেলারুশ নাগরিক বসবাস করতেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ডিউটি করার কথা থাকলেও কাজে যোগ দেননি তিনি। সকাল ৭টার দিকে তার ফ্ল্যাটের পাশের এক রুমমেট তাঁকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ খবর গ্রিনসিটি প্রকল্পসহ-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ গ্রিনসিটির ভবন থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস বলেন, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাকসিমের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি অজ্ঞান হয়ে বিছানার ওপর পড়েছিলেন। পরে চিকিৎসক এসে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে দূতাবাসে যোগাযোগ করে তাঁর মরদেহ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ফিরে পাচ্ছেন বাবর!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর রদবদল শুরু পাকিস্তান ক্রিকেটে। যার দরুণ দলের নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজমকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাতে অবশ্য সাফল্যের দেখা মেলেনি। ফলে আবারও বাবরের দ্বারস্ত হচ্ছে পিসিবি। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান।

পিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, শাহীন আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পণা করছে পিসিবি। বোর্ড ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাবর আজমকে অধিনায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, প্রথমে শাহীনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য মোহাম্মদ রিজওয়ান বেশ এগিয়ে ছিলেন। বাবর আজমও ছিলেন। তবে পিসিবির সিকিভাগ কর্মকর্তা বাবরকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে। তাতে বাবর অধিনায়ক হচ্ছেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তবে বাবর এ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়া নিয়ে দ্বিধায় ভুগছনে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। জানা গেছে, আগেরবার অধিনায়কত্ব থেকে অপসারণ করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবর। এর ফলেই আবার দায়িত্ব গ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করছেন তিনি। তবে তিনি বোর্ডকে কিছু শর্ত দিয়েছেন। সেগুলোর নিশ্চয়তা পেলেই কেবল আবার অধিনায়কত্ব করতে রাজি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ বিশ্বকাপের পর বাবর আজমকে সীমিত ফরম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শাহীন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্ব পান। পরবর্তীতে টেস্টের নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান বাবর। তার জায়গায় দলের নেতৃত্বভার পান শান মাসুদ।

তবে নতুন অধিনায়কদের অধীনে কোনো ফরম্যাটেই ভালো কিছু করতে পারেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি টেস্টই হেরেছে তারা। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ৪-১ ব্যবধানে হেরে দেশে ফিরতে হয়েছে শাহীনের দলকে।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর



মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করা হবে : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন পলাতক সদস্যকে শিগগির তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে খাগড়াছড়িতে রামগড় স্থলবন্দরে আইসিপি (ইন্ট্রিগ্রেটেড চেক পোস্ট) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

বিজিবি ডিজি বলেন, বিজিপি সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অন্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেভাবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের জের ধরে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ৩২৯ জন সদস্য এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে জাহাজে করে সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। মার্চে মিয়ানমারের বিজিপির ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি ডিজি বলেন, আইসিপি- ইন্টিগেটেড চেকপোস্ট (সমন্বিত চৌকি) যখন চালু হবে, আমাদের দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) অর্থনৈতিক অনেক প্রাপ্তি ও সুবিধা হবে। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের এদিকে ও ভারতের দিকেও আইসিপির দু'প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট করছে। এই আইসিপি চালু হওয়ার পর বর্ডারের দুপাশসহ অবশ্যই সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধি করবে।

এর আগে তিনি বিজিবির সূতিকাগার ২২৯ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গৌরবমন্ডিত রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর, রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপি ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু এলাকা এবং বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন।

আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দরটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অবস্থানটি ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে থাকবে। সে জন্য এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা  দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে ফেনী নদীর ওপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু রয়েছে এবং এখানে যে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে সেটা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য জায়গা থেকে দূরত্ব কম। তাই সার্বিকভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন সমৃদ্ধির দ্বার খুলে যাবে। সবদিক থেকে এটা আরও ত্বরান্বিত হবে।

বিজিবি প্রধান রামগড়ে বিজিবি স্সৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০ দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর রামগড়ে ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে সকল স্তরের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় এবং ইফতার করেন। এ সময় তিনি সবাইকে আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার এবং রামগড় ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রেস্তোরাঁয় অভিযানকে বাড়াবাড়ি বলছে মালিক সমিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বিশেষ করে অনুমতি না নিয়ে যেসব ভবনে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ করা হয়েছে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা। একে বাড়াবাড়ি বলছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা কর্মে নিয়োজিত বাহিনী সমূহ যেমন- আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‍্যাব তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করেছেন। তাদের কাজটি করতে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা, ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক। রেস্তোরাঁ সেক্টরটি তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। এছাড়া সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসক-প্রশাসনসহ অনেক অধিদফতর ও সংস্থা।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউক ও সিভিল ডিফেন্সের টনক নড়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করছে এবং স্টাফদের আটক করছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়।

তিনি আরও বলেন, তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই। আবার লাইন সংযোগ থাকলেও লাইনে গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বা লাকড়ি ব্যবহার। লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়, পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে যাতে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে।


আরও খবর



রমজানে ব্যবসায়ীদের সড়কে বসতে দেবে না পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে যানজট কমাতে রমজানজুড়ে কোনো ব্যবসায়ীকে সড়কে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র রমজান মাসে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নির্দেশনা’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান।

তিনি বলেন, রমজান মাসে রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে। ইফতারের তিন ঘণ্টা আগে অফিস ছুটি হলেও কমছে না যানজট। তাই যানজট নিরসনে এখন থেকে কোনো ব্যবসায়ী সড়কে যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হলেও দেখা যায় বিকেল সাড়ে ৫টার আগ থেকে ইফতারের সময়ের আগ পর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টার সেকশনে অযাচিত ট্রাফিক যানজট তৈরি হয়। মহানগরের বিদ্যমান বাস্তবতায় চার বা তিন রাস্তার ইন্টার সেকশনে যেকোনো এক লেনের যানবাহনের জন্য সিগন্যাল চালু করলে অন্য লেনগুলো সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়। যেহেতু ইফতারের আগে সবারই ফিরতে হয় তাই লাইন ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি বিবেচনা করলে এটি চ্যালেঞ্জও বটে। তাই অফিস ছুটির সময় অর্থাৎ সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় থেকে বাসার উদ্দেশ্যে ফেরার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়। যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয় এবং যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকেই ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করা থেকে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

ভারী যানবাহনের জন্য ডিএমপি এলাকায় প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে জানিয়ে ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বলেন, অনেক সময় সেই সময়সীমা না মেনে তারা চলার চেষ্টা করে যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই ভারী যানবাহন চলাচলের বিষয়টি মেনে চলতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে চিঠি চালাচালিও করা হয়েছে।


আরও খবর