আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন: নেতৃত্বের আলোচনায় যারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের ৪র্থ সম্মেলনে আগমী ১৯ সেপ্টেম্বর। এর আগে সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা হয় ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বরে। একই কমিটি প্রায় ৭বছর দায়িত্বে থাকার পর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শাখা সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেতৃত্বে আসতে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেকেই। ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউনও দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। নেতৃত্বে আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কিছু পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতার নাম এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে ক্যাম্পাসে।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজধারী, সৎ, যোগ্য এবং নেতৃত্বদানে ক্ষমতাসম্পন্ন পদপ্রত্যাশীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি অর্থের বিনিময়ে নেতৃত্বে চলে আসবেন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজিতে জড়িতরা, সে নিয়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। সবকিছু ছাপিয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বে আসার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সৌমিক সাহা। তিনি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা ফরিদপুর সদর উপজেলায়। তিনি ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গেছে।

উপ-গ্রন্থনা ও প্রকশনা সম্পাদক মো: ছালাতিজ্জোহা ইফতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা বোয়ালিয়া রাজশাহী। সহ-সভাপতি মো. ফাহমিদ লতিফ (লিয়ন)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা নীলফামারীতে।

তবে মনোনয়ন দৌড়ে আরও একাধিক নেতাকর্মী এগিয়ে থাকলেও রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন না। কমিটির তারিখ ঘোষণার পর থেকে সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে পরিবারিক সমস্যার কারণে সক্রিয় থাকতে পারেননি বলে তাদের দাবি। তাদের মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি এম. এম. ওসমান হায়দার (তমাল)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। উপ-দপ্তর সম্পাদক লাশিউর রহমান (নাহিদ)। তার বাসা গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন আরও অনেকেই।

তবে এসব পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই শাখায় সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে স্বোচ্চার থাকবেন এমন নেতৃত্ব চান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থানীয় ও বাইরের যোগ্য পদপ্রত্যাশীদের সম্মিলিত নেতৃত্ব দেখতে চান তারা।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র কল্যাণের পরিচালক রবিউল আউয়াল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পাশে নিয়ে রুয়েট ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার মতো যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই নেতৃত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন এ বিষয়ে কথা হয় রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিরের সাথে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে একসময় শিবিরের আস্তানা ছিলো। এখনো কিছুটা প্রভাব রয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাদেরকে দমন করে ও বঙ্গবন্ধুকে আদর্শকে লালন করে যারা রাজনীতি করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্বই কামনা করেন তিনি।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপু বলেন, আলোচনায় যারাই থাকুক না কেন রুয়েট ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে তাদেরই আসা উচিত যারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে। একটি স্মার্ট ছাত্রলীগের ম্যান্ডেট নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে। তবে পরিচ্ছন্ন ইমেজ এবং সততা থাকতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এদেশের যুবসমাজকে নিয়ে সামনের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করে নিয়ে আসার যোগ্যতা যাদের থাকবে তাদেরকেই নেতৃত্বে আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এমন যোগ্য নেতাকর্মীরাই শীর্ষপদের জন্য বিবেচিত হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের কাছে যারা গ্রহণযোগ্য; শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য যাদের দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এবং যারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আপসহীন দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলবেতারাই রুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টা না যেতেই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।


আরও খবর



শেষ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সকালে দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে।

গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে। মূলত এতদিন ছুটি না পাওয়া ও নানা কারণে রাজধানীতে থেকে যাওয়া মানুষরাই মূলত এখন বাড়ি ফিরছে। শেষ সময়ে জট কম থাকে এমন অভিজ্ঞতা থেকেও এখন বাড়ি ফেরার কথা বলেছেন যাত্রীরা।

খুলনাগামী যাত্রী শাহিন রেজা জানান, গতকাল জেনেছিলাম পথে অনেক যানজট, তাই রওনা হইনি। আজ ফজরের নামাজ পড়েই রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ পথে কোনো যানজট পাইনি। সুন্দর সড়কের কারণে স্বল্প সময়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতে পারছি।

আরেক যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কাজ করি। ছুটি পাইছি গতকালকে। কিন্তু যেতে পারি নাই, তাই আজ বাসায় যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে একটা দিন অন্তত আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে। সকাল সকাল রওনা হয়েছি যেন ভোগান্তিতে না পড়ি, এসে দেখলাম রাস্তা আজ অনেকটাই ফাঁকা।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রাকিফ পুলিশের কাজ করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত সি ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কীভাবে সমুদ্রপথ  নিরাপদ করা যায় সেলক্ষ্যে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরির কাজ করছি।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শিগগিরই সেটি (প্রস্তাব) আইএমওতে পাঠানো হবে। কারণ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়।

ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। এবং সেটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে। দ্রুত আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এ ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি দেখা গেছে-দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌ এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কিভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।

তিনি বলেন, জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস পানিতে ফেলে জানা ছিল না।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দশে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, না কি তারা ফিরে আসবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছে। আমি শুনেছি, তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে। তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে। সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।

ঈদের দিন ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।  অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রত্যেকটার আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্টগুলো হয়।

তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর ছিলাম। ‌ সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোন মালিক থাকলে তাহলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।


আরও খবর



সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার জন্মদাতা বাবা। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মামলা করে। পুলিশ কিশোরীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ আগস্ট কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।


আরও খবর