আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

র‌্যাব স্যাংশনকে ভয় পায় না: মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, যতই স্যাংশন আসুক না কেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। র‍্যাব এখন মানুষের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় র‍্যাব আয়োজিত মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে লুকিয়ে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তাকে খুঁজে বের করা র‍্যাবের কাছে কোনো বিষয়ই না।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী র‌্যাবকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তার মধ্যে মাদক ও জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সে বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। তারপরও মাদকের সঙ্গে আমরা পারছি না। কারণ সকল শ্রেণির মানুষ মাদক গ্রহণ করছে। শুধু তাই নয়, আমি যে বাহিনীতে চাকরি করি সেই বাহিনীর সদস্যরাও মাদকের সঙ্গে জড়িত। যে কয়জনকে আমরা চাকরিচ্যুত করেছি তারা এখন ব্যবসা করে। তবে এভাবে চলবে না, কখনোই না। কারণ বাঙালি বীরের জাতি।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ভাটিয়াপাড়ায় পৌঁছে র‍্যাব-৬ এর ক্যাম্প উদ্বোধন করেন র‍্যাবের মহাপরিচালক। উদ্বোধন শেষে র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন তার নিজ গ্রাম উপজেলার বরাশুর এলাকার র‍্যাব আয়োজিত মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে যোগ দেন।


আরও খবর



আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর থেকে চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধারসহ আন্তজেলা পেশাদার মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংএ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৯মার্চ পিরোজপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডর সুন্দরবন কুরিয়ার সংলগ্ন সাংবাদিক জিয়াউল হক এর বাড়ির সামনে থেকে একটি কালো রংয়ের একটি মোটরসাইকেল অজ্ঞাতনামা চোর চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি যাওয়ার পর মোটরসাইকেলটির মালিক মোঃ মাইনুর ইসলাম বাদি হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর পরেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করার জন্য পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুর শহরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা থেকে চোরচক্রের সদস্য বাদশা ফরাজিকে গ্রেফতার করে। পরে বাদশা ফরাজির দেয়া তথ্যানুসারে গতকাল ১২ এপ্রিল শুক্রবার নারায়নগঞ্জ, রুপগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা পেশাদার মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্যতম হোতা ও বহু মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ সেলিম খান (৪৪) কে গ্রেপ্তার করে। সেলিম নারায়ণগঞ্জ এর রুপগঞ্জ এলাকার গাফফার খানের ছেলে। পরবর্তীতে সেলিমকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টাইঙ্গাইল জেলার সদর থানা এলাকার রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে চোরাই যাওয়া কালো রংয়ের Apache 4V 160cc মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

আসামী সেলিমকে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, মাগুরা, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। মোটরসাইকেল চুরি করে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রয়লব্দ টাকা দিয়ে মাদক ক্রয় বিক্রয় ও পাচার করে থাকে। ইতোমধ্যে তাদের দুই সদস্য আশুলিয়া থানা ও টাইঙ্গাইল সদর থানায় বিপুল পরিমানে মাদক সহ গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বলেন,  আসামীর নিকট থেকে আমরা পুরো চক্রের সদস্যদের তথ্য পেয়েছি। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের পিরোজপুর ডিবি টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আসামী সেলিম খান এর নামে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানায় একটি চুরির মামলা, সিরাজগঞ্জ জেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি মাদক মামলা, ঢাকা জেলার ধামরায় থানায় একটি মাদক মামলার তথ্য পাওয়া যায়।

নিউজ ট্যাগ: পিরোজপুর

আরও খবর



কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জন দুই দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত কেএনএফ সন্দেহে আটক ৫২ জনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। দুটি মামলায় তাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এর মধ্যে লাল নুন বমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইনের আদালত (আমলি আদালত) এ আদেশ দেন। পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড দেন।

কোট পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন, চেওচির বম, ভান লাল দিক বম, সাইরাজ বম, রুয়াল কামলিয়ান বম, গিলবার্ট বম, লাল রাম তিয়াম বম, লিয়ান নোয়াই থাং বম, নল থন বম, পেনাল বম, লাল মুন লিয়ান বম, জাসোয়া বম, জৌনুন বম, ভান লাল সম বম, লাল ধাম লিয়ান বম, রেন থন বম, সাপ লিয়ান থাং বম, লমজুয়েল বম, পাসুম বম, লাল বাউ খম বম, ভান রোয়াত ময় বম, লাল রুইয়াই বম, লাল দিন থার বম, লাল রৌয়াত লন বন, লাল ফ্লেং কিং বম, রৌসাং লিয়ান বম, লাল থাং পুই বম, ভারৌ সাং বম, লাল ইমানুয়েল বম পায়েল, লাল রিং সাং বম, মুন থাং লিয়ান বম, জেমস মিল্টন বম, রাম থাং লিয়ান বম, মেলরী বম, জিংরুথং বম, ভান রিম কিম বম, লেরী বম, নেম্পেল বম, লাল তলাহকিম বম, পারঠা জুয়েল বম, লাল নুন কিম বম, লাল নুএং বম, টিনা বম, লাল নুর জির নম, জিং রেম ঙাক বম, আল মন বম, ঙাইন কিম বম, লালসিং পার বম, শিউলি বম, লাল রোবত বম আপেল, লাল লম থার বম, মিথু সেল বম, লাল রুয়াত লিয়ান বম।

আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ জানান, বান্দরবানের রুমায় ব্যংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ৫৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  ৫৭ জন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।

কোট পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক জানান, রাষ্ট্রপক্ষের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি ও ৫২ জনের প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।

এর আগে, রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ৬৬ জনকে বান্দরবান কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, ৪ মে থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগে যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) প্রত্যাহার করায় এ ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

এদিকে রেলসূত্র জানিয়েছে, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে ৩০ শতাংশ।

রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে হতে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,  এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলা: উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানে মিছিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে সরাসরি হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে।

ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন তেহরানে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে। সেখানে বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। তাছাড়া ফিলিস্তিনিরে বড় একটি পতাকা নিয়ে অনেকেই জড়ো হন তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে।

প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিন স্কয়ারের কাছে মোটরসাইকেলের পেছনে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াচ্ছেন একজন। এ সময় একজন ডামি বুলেট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইসরায়েলও হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তেহরান হামলা শুরু করেছে।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অধিকাংশই ভূ-পাতিত করা হয়েছে। এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর