র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সংস্থাটির
সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে
বলে প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর
খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে
বৈঠকে এ অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার (৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ
তথ্য জানায়।
এদিন মার্কিন সিনেটর চাক শুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে তিনি বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন
করেন। এ বিষয়ে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতার সহায়তা প্রত্যাশা করেন তিনি।
বৈঠকে ড. মোমেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও
বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান। এসময় বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে
ফেরত দেওয়ার বিষয়টিও উত্থাপন করেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ
নেতার সহায়তা চান তিনি।
এদিকে, হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য কংগ্রেসম্যান
স্টিভ চ্যাবোটের সঙ্গেও বৈঠক করেন ড. মোমেন। এ সময়ও একই ধরনের আলোচনা হয়। ড. মোমেন
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিগগির প্রত্যাহার হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এরপর ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত
কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড স্টেট ইনস্টিটিউট
অব পিস (ইউএসআইপি), সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)
এবং ন্যাশনাল ব্যুরো অব এশিয়ান রিসার্চ (এনবিআর)।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে
বাংলাদেশ যে চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আগামী ৫০ বছরে আরও সমৃদ্ধ
হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।