আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সাদেক এগ্রোতে দুদকের অভিযান, মিলল ১০ ব্রাহামা জাতের গরু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে সাদেক এগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) -এর ৯ সদস্যের একটি দল। এ সময় খামারটিতে সন্ধান মেলে ১০টি ব্রাহমা জাতের গরু ও আলোচিত সেই ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ছাগলটির। এ সময় আরও জব্দ করা হয় দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত তিনটি খাতা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার সাদেক এগ্রো ফার্মে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আযাদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আযাদ জানান, এখানে অভিযানের সময় ১০টি ব্রাহামা গরুর সন্ধান পাওয়া গেছে এবং আলোচিত ১৫ লাখ টাকা মূল্যের সেই ছাগলটিও খুঁজে পেয়েছেন তারা। এ ছাড়া এখানে কিছু নথির খাতা পাওয়া গেছে, সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর যেহেতু ব্রাহামা জাতের গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ, সেহেতু এ গরুগুলোর ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাবো এবং সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এ সময় ফার্মের দায়িত্ব থাকা ব্যবস্থাপক জাহিদ খান বলেন, আমি মাত্র কিছুদিন হলো এখানে এসেছি। আমি এই খামার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না। বর্তমানে আমার আন্ডারে ৩০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছে। এখানে আড়াইশোটি গরু আর ১২টি উট রয়েছে। আজ এখানে দুদকের লোকজন এসেছে। তারা এসে সবকিছু দেখে কিছু খাতা জব্দ করেছে এবং এখানে গরুগুলো সব দেখে গেছে।


আরও খবর



চরফ্যাশনে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মোঃ আক্তার তালুকদার (৪০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আক্তার তালুকদার ওই ওয়ার্ডের রশিদ তালুকদারের ছেলে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে জাহানপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রাসেল জানান, কৃষক আক্তার তালুকদার সকাল ৮ টার দিকে স্থানীয় সৌরভ মিয়ার খামারে গরুর ঘাস কাটার জন্য যান। ঘাস কাটার সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাত ঘটে। সেই বজ্রপাতে কৃষক আক্তার তালুকদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক বজ্রপাতে নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চরফ্যাশন

আরও খবর



ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে গত শনিবার রাতে ভারত থেকে ঢাকায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দুই দেশ। এর মধ্যে ৩টি সমঝোতা নবায়ন করা হয়েছে। সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল পার্টনারশিপ, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গ্রিন পার্টনারশিপ, সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পুরনো সমঝোতা নবায়ন, ভারতের ইন-স্পেস এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা, দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংযোগ সংক্রান্ত সমঝোতা, সমুদ্র বিষয়ক গবেষণায় সমঝোতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমনে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ও বাংলাদেশ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন, মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে বিদ্যমান সমঝোতা নবায়ন, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষা সহযোগিতায় ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ, ওয়েলিংটন-ইন্ডিয়া এবং মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের মধ্যে সমঝোতা।


আরও খবর



মোদিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) এক চিঠির মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার (প্রধানমন্ত্রী) পক্ষ থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারকে ১৮তম ভারতীয় লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।

মোদিকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে লেখা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে, আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আপনার বিজয় ভারতের জনগণের আপনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং দেশের জন্য আত্মোত্সর্গের প্রতি আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।

ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশ দুই দেশের জনগণের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করা হয় চিঠিতে।


আরও খবর



রাফায় বিস্ফোরণে নিহত ৮ ইসরায়েলি সেনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গত প্রায় দুমাস আগে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এই প্রথম সেখানে একসঙ্গে এতজন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুসারে, শনিবার ভোর ৫টার দিকে রাফার তেল আল-সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের একটি সামরিক সাঁজোয়া গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত ওই আট সেনা ওই গাড়িতে ছিলেন। সাঁজোয়া গাড়িটির কোনো যাত্রী আর বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে হামাস দাবি করেছে, তেল আল সুলতানের যেখানে সাঁজোয়া যানটি বিস্ফোরিত হয়েছে, সেখানে মাটির নিচে মাইন পাতা ছিল। বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই মাইনের প্রভাবেই। শুক্র-শনিবারের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন ১৯ জন ফিলিস্তিনিও।

রাফার সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে। গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই সীমান্ত শহরে জড়ো হন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এ কারণে গত এপ্রিলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যখন রাফায় অভিযান শুরু করতে চান বলে ঘোষণা দেন, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল।

তবে সেই আপত্তি উপেক্ষা করে রাফায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। কারণ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, এ শহরটিতে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তেল আল সুলতান এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, সেখানে হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে যে প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তাকে আরও জটিল করতে পারে এই ৮ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু।

কারণ গাজা অভিযান নিয়ে ইসরায়েলে দ্বিধা-বিভক্তি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন সভার অন্যতম সদস্য এবং সাবেক সেনা অধিনায়ক জেনারেল বেনি গান্টজ। তার অভিযোগ, গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহুর কোনো স্পষ্ট ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি জরিপের ফলাফল যদিও বলছে যে হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করতে গত আট মাস ধরে যে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন রয়েছে সাধারণ ইসরায়েলিদের। তবে গত কয়েক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহের শনিবার ইসরায়েলের প্রধান শহর তেল আবিবে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের ফেরত আনতে অনতিবিলম্বে গোষ্ঠীটির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে ইসরায়েলের সরকারকে।

তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করেই জিম্মিদের উদ্ধার করতে হবে এবং এই মুহূর্তে এই অভিযান থামানোর কোনো সুযোগ নেই।


আরও খবর



অল্প বৃষ্টিতেই ডুবল ঠাকুরগাঁওয়ের সড়ক ও মার্কেট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকার ড্রেনেজের বেহাল দশা। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ও বাজারে পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি যেন চরম আকার ধারণ করেছে। বর্ষাকাল আসতে না আসতেই শহরের এ অবস্থায় নাজেহাল পৌরবাসী।

তবে ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি নিস্কাশনে না হওয়ায় অনেক মার্কেটের দোকানপাটের ভেতর ঢুকছে পানি। এতে আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্টসহ ভিজে গেছে বেশ কিছু পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজের এমন বেহাল দশা থাকলেও ব্যবস্থায় উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

বুধবার (১২ জুন) মধ্যরাতে ও সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের বিভিন্ন অলিগলি সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান। পানি বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ময়লা পানির ভ্যাপসা গন্ধে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

জলাবদ্ধতা সৃষ্ট শহরের বেশকটি এলাকা ঘুরে জলজটে আটকে পড়া ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমরা পানিতে ডুবলেও খোঁজ নিতে আসেন না কোনো কাউন্সিলর, এমনকি মেয়রও। শহরবাসী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে নিচ্ছেন না কোনো ব্যবস্থা।

জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে শহরের নরেশ চৌহান সড়ক, নর্থ সার্কুলার রোড, গোয়ালপাড়া, কলেজপাড়া, কালিবাড়ি, শাহপাড়া, মুসলিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ড্রেনেজগুলোর বেহাল দশার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

গোয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রনি বলেন, এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। রাস্তাটিও নিচু। ড্রেন অপরিষ্কার থাকে। বৃষ্টি হলে শহরে কোথাও পানি জমুক আর না জমুক, এই এলাকায় পানি জমবেই।

নরেশ চৌহান সড়কের ব্যবসায়ী উজ্জল, মুকুলসহ অনেকে জানান প্রথম শ্রেণির পৌরসভার অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আর কি বলার থাকবে। পানি ঢুকে ব্যবসায়ীক সামগ্রীসহ জিনিসপত্র ক্ষতি হচ্ছে এ দায় কে নিবে। পৌর মেয়র আছেন বলে মনে হয় না। আমরা দাবি করি ব্যবস্থায় উদ্যোগ নিন, না হলে সড়কে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মকসেদ বলেন, কালিবাড়ি রোডের ড্রেনটি পরিস্কার করতে মেয়র ও কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সংস্কার না করায় ড্রেনগুলো উপচে পড়ছে। তাই আগের মতো পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যাচ্ছে।

হাজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ময়নুল জানান, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বেহাল দশার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাড়িতে হাঁটু পানি জমে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। র্দীঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় শহরবাসী ভোগান্তি পোহালেও পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যাটির সমাধানে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান বলেন, বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তিসহ সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তাই শহরবাসীর জন্য প্রয়োজন আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

প্যানেল মেয়র সুদাম সরকার জানান, এই মেয়রের সময়কালে কাউন্সিলররাও রীতিমত বিরক্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি কোন ভূমিকা রাখছেন না। সে কারনে রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, প্রকল্প আসলে প্রতিটি কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর