রাজবাড়ীর পাংশা
উপজেলায় জীনের ভয় দেখিয়ে ও পরিবারের লোকজনকে বড়লোক বানানোর আশ্বাস দিয়ে দুই ছাত্রীকে
ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সবুর প্রামাণিক
(৫৫) নামে এক ভণ্ড সাধুর বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী
৯ম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা ও অপর ভুক্তভোগী ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর বোন রাজবাড়ীর নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (সংশোধনী-২০০৩ এর) ৯ (১) ধারায় পৃথকভাবে দুটি মামলা
করেছেন। আদালত রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য
নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অভিযুক্ত সবুর
পাংশা উপজেলার কলিমোহর ইউনিয়নের প্রাণপুর গ্রামের মৃত ভোলা প্রামাণিকের ছেলে।
ভুক্তভোগী দুই
ছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, দ্রত সময়ের মধ্যে পরিবারের লোকজনকে বড়লোক বানানোর আশ্বাস
দেন সবুর প্রামাণিক এবং এ জন্য তাদের দুই মেয়েকে ৪১ দিন তার কাছে পাঠাতে বলেন। পরে
ওই দুই ছাত্রী সবুর প্রামাণিকের কাছে যায়। এর পর দুই ছাত্রীকে জীনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ
করতে থাকেন ওই ভণ্ড সাধু।
গত মঙ্গলবার ওই
দুই স্কুলছাত্রী তাদের পরিবারকে এ বিষয়টি জানায়। তার পরই রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। তবে ঘটনা জানাজানির পর থেকে ওই ভণ্ড সাধু এলাকা থেকে
পলাতক রয়েছে।
কলিমোহর ইউনিয়নের
প্রাণপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রামপুলিশ দেলবার খাঁ জানান, ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর সঙ্গে
ওই ভণ্ড সাধু সবুর খারাপ আচরণ করায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। অবস্থা বেগতিক
দেখে কবিরাজ পালিয়ে গেছে। তার এ অপকর্মের শাস্তির দাবি করেন তিনি।