আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সাদিক অ্যাগ্রোর ব্রাহমা কেলেঙ্কারি তদন্তে বিমানবন্দর কাস্টমসে দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জব্দ হওয়ার পরও আমদানি করা ১৮টি আমেরিকান ব্রাহমা গরু কীভাবে সাদিক অ্যাগ্রোতে নিয়ে গেলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী মো. ইমরান হোসেন, তা তদন্তে এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে এই অভিযান শুরু হয়। এর আগে গতকাল আলোচিত ব্রাহমা কেলেঙ্কারিতে ইমরান হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ঢাকার সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে বিশেষ অভিযান চালায় কমিশন। অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হাতে আসে দুদকের। আমদানি নিষিদ্ধ বিশালাকার গরুগুলো দেশে আনার ক্ষেত্রে সাদিক অ্যাগ্রো ও এর স্বত্ত্বাধিকারী ইমরানের দরপত্র জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো বিটল জাতের একটি ছাগল ১২ লাখ টাকায় কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক তরুণ। পরে এ ঘটনাটি সংবাদ আকারে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সামনে চলে আসে তার বাবা মতিউর রহমানের নাম, যিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠে যায়, একজন সরকারি আমলা হয়ে কীভাবে তার ছেলে বিলাসবহুল সব শখ পূরণ করেন। এরপর একে একে খোঁজ মিলতে থাকে এনবিআরের এ কর্মকর্তার অবৈধ পন্থায় অর্জিত অঢেল সম্পদের। জোরেশোরে তদন্ত শুরু করে দুদক। এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সাদিক এগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী ইমরান হোসেন এবং তার উচ্চবংশীয় পশুর খামার নিয়েও। পরবর্তীতে সামনে চলে আসে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে গরু আমদানি করে ইমরানের অ্যাগ্রো ব্যবসার ব্যাপারটিও। ফলশ্রুতিতে মতিউর রহমানের পাশাপাশি ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নামে দুদক।

গতকাল সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চলাকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০২১ সালে ১৮টি আমেরিকান ব্রাহামা জাতের গরু বাংলাদেশে এনে তোলপাড় সৃষ্টি করেন ইমরান হোসেন। কিন্তু ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ থাকায় সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে ঢাকা কাস্টমস।

করোনা মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা ব্রাহমা জাতের গরুগুলো বিমানবন্দরে ধরা পড়লে সেসময় গ্রহণ করতে যাননি কেউ। পরে জানা যায়, ওই গরুগুলোর আমদানিকারক সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড। তারা কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে শাহিওয়াল গরুর নাম দিয়ে ব্রাহমা আমদানি করেছিল। আর এটা করা হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে।

জব্দ গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়। পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে গরুগুলো চলে যায় ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রোতে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরুগুলো সাদিক এগ্রোকে দেওয়া হয়েছে, সেসবসহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে দুদক।

আগের দিন কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মাংস বিক্রির শর্তে ব্রাহমা জাতের গরুগুলোকে কৌশলে নিলামে তুলে সাদিক অ্যাগ্রোতে নিয়ে যান ইমরান। নিলামে বিক্রি হওয়া গরুগুলো জবাই করে সেই মাংস ঈদুল ফিতরের সময় সুলভ মূল্যে বিক্রির কথা থাকলেও তা করেনি তিনি। পরিবর্তে কম দামী গরুর মাংস বিক্রি করেন এবং ব্রাহমা জাতের সেই গরুগুলো উচ্চ বংশের গরু বলে কোটি টাকা দাম হাঁকেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালার আলোকে যেসব গরুর জাত পালনের অনুমতি আছে, সেখানে ব্রাহমা জাতের কোনো অনুমোদন নেই। ফলে এই জাত পালনের কোনো অনুমোদন আমরা দিইনি। কিন্তু অবৈধভাবে আনা ব্রাহমা গরুগুলো ছিল প্রজনন অনুপযোগী। ফলে নিয়ম অনুসারে এসব প্রজনন অনুপযোগী গরু খামারিদের সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোনো ব্যক্তিকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ইমরান কৌশলে এসব গরু নিজের নামে নিয়ে নিয়েছেন। তার ওপর শর্তানুযায়ী এসব গরুর মাংস বিক্রি না করে কোরবানীর পশু হিসেবে বাজারেও বিক্রি করেছেন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে প্রকাশ্যে ইমরান এই ব্রাহমা জাতীয় নিষিদ্ধ গরু উঠিয়েছিলেন।


আরও খবর



সঞ্জীভার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো মানুষের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোমবার (১০ জুন) কলকাতার ফরেনসিক বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাংসগুলো এমপি আনারের কি না।

এর আগে, গত ২৮ মে সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তবে সেটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস নাকি কোনো প্রাণীর তা তখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে নিয়ে রোববার (৯ জুন) সকালে কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। তবে সেগুলো আনারের কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত করতে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

অভিযোগ রয়েছে, গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়।


আরও খবর



পরিবেশ দিবসের পুরস্কার বিতরণ করলেন পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়, তাই প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস বিবেচনা করে বছরব্যাপী চালাতে হবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম। একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে হলে অনতিবিলম্বে সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।

বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। একটি সবুজ, সুন্দর ও সুস্থ পৃথিবী আমাদের সকলের প্রাপ্য। পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন আসুন, আমরা সবাই মিলে পরিবেশের সুরক্ষায় এগিয়ে আসি এবং আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিদ্দিকুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলার শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: পরিবেশ দিবস

আরও খবর



ঈদে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ১৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। ঈদের ছুটির সময় গ্রাহকের নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসসহ (এমএফএস) সব ডিজিটাল সেবায় নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এসব লেনদেনে কোনোভাবেই গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা চালু রাখা, বুথের কারিগরি ত্রুটি দ্রুততম সময়ে সমাধান করা এবং বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করা, জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহককে সচেতন করতেও ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিত্তিক কার্ড নট প্রেজেন্ট এবং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সব ব্যাংক এবং তাদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে কোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানাতে হবে।


আরও খবর



সৌদিতে ২১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু, কাল শুরু ফিরতি ফ্লাইট

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর হজ করতে গিয়ে গত দুদিনে সৌদি আরবে আরও তিন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মোট ২১ জন হজযাত্রী মারা গেলেন। বুধবার (১৯ জুন) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হজ শেষে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৩টা পর্যন্ত বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে মোট ২১ বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। সর্বশেষ তোফাজ্জল হক (৭০) নামে একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ হজযাত্রী ১৮ জন, নারী হজযাত্রী ৩ জন। মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় ৪ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।

শনিবার (১৫ জুন) এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জিলহজ জামারায় পাথর নিক্ষেপ করার শেষ দিন, হাজিরা পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম এবং বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করার মধ্যদিয়ে শেষ করেন হজের আনুষ্ঠানিকতা। হাজিরা মঙ্গলবার সূর্যাস্তের আগেই মিনা ত্যাগ করে মক্কায় ফিরে এসেছেন বলে বুলেটিনে জানানো হয়েছে। এবার বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।

৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২১৮টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৭৫টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৩৭টি।

হজ শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে এবং শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অর্ধেক হজযাত্রী পরিবহন করবে। বাকি অর্ধেক পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। তার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যান।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। এছাড়াও এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর, তিনি ৯ জুন মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে, ঢাকা ও নয়াদিল্লী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।


আরও খবর