একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
হুমকিদাতা তফসিরুল ইসলামকে (২৩) ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে আটক করেছে র্যাব। অপরদিকে আরেক হুমকিদাতা হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টিকে (৩২) ঢাকার উত্তরা থেকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসক মোস্তাফা জামানকে হত্যার হুমকির অভিযোগে অভিযুক্ত তফসিরুল ইসলামকে ঝিনাইদহ থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে র্যাবের গাড়িতে ঢাকায় আনা হচ্ছে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, উত্তরা থেকে হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টি নামে একজন নারীকে আটক করেছে সিটিটিসি। এই নারী মূল হুমকিদাতা। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চিকিৎসককে ৩০ জনের বেশি মানুষ হুমকি দিয়েছে। আমরা দুইজনকে আটক করেছি। আরও কয়েকজন নজরদারিতে আছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের ডাক্তার এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই চিকিৎসক।
সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, মোস্তফা জামান বিএসএমএমইউয়ে হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় সেখানে ভর্তি হন। তিনি বিএসএমএমইউয়ের হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাঈদী চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোস্তফা জামান। এরপরও কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ইউটিউবে বিভিন্ন আইডি থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ডাক্তার জামান বলেন, সাঈদীর চিকিৎসায় কোনো ধরনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। আমরা তাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা দিয়েছি। কোনো ধরনের ভুল চিকিৎসা বা অপচিকিৎসার ঘটনা ঘটেনি।