আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শাহজীবাজার রাবার বাগানে দশ বছরে লোকসান ৫৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারণে রাবারকে সাদা সোনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বিশ্বের প্রায় ৪৬ হাজার পণ্য তৈরী হয় রাবারের মাধ্যমে।

বাংলাদেশে রাবার শিল্পের যাত্রা শুরু ১৯৬০ সালে। বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রয়াত্ব বাগানের সংখ্যা ১৮টি। এছাড়া ছোট-বড় বেশ কিছু ব্যক্তি মালিকানাধিন বাগান রয়েছে। দেশে প্রতি বছর রাবারের চাহিদা প্রায় ২০ হাজার টন। এর বিপরীতে দেশে বছরে উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ১১ হাজার টন। এর মধ্যে সরকারি বাগান থেকে বছরে ৬ হাজার টন এবং ব্যক্তি মালিকানাধিন বাগান থেকে ৫.৫০ হাজার টন রাবার উৎপাদন হচ্ছে। বাকি রাবার আমদানি করতে হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে।

রাষ্ট্রয়াত্ব ১৮টি বাগানের মধ্যে একটি শাহজীবাজার রাবার বাগান। ২ হাজার ১০৪ একর জায়গা নিয়ে ৮০ দশকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাগানটি গড়ে তোলা হয়। একসময় লাভজনক থাকলেও ২০১৩ সালের পর থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে বাগানটিকে। গেল ১০ বছরে বাগানের লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৫৭ কোটি টাকা।

বাগান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ি ২০১৩-১৪ অর্থবছর ৪ কোটি ৫৭ লাখ, ২০১৪-১৫ অর্থবছর ৪ কোটি ৭০ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছর ৪ কোটি ২৬ লাখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছর ৪ কোটি, ২০১৭-১৮ অর্থবছর ৩ কোটি ৬৪ লাখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছর ৭ কোটি ৮৮ লাখ, ২০১৯-২০ অর্থবছর ৭ কোটি ৮০ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছর ৭ কোটি ৭৪ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছর ৫ কোটি ৭১ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছর ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে- অপরিকল্পিতভাবে বাগান পরিচালনা, গাছের জীবনচক্র শেষ এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া লোকসানের বড় কারণ।

বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের তথ্য বলছে, মূলত একটি রাবার গাছের কষ দেওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা থাকে ৩০ থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত। কিন্তু শাহজীবাজারের গাছগুলোর বয়স প্রায় ৪০ এর বেশি। ফলে এক দশক আগেই কষ দেওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে বাগানটি। যে কারণে দিনদিন কমছে কষ সংগ্রহের পরিমাণ।

শাহজীবাজার রাবার বাগানে নিয়মিত কাজ করেন আড়াইশ শ্রমিক। কাকডাকা ভোরে এসব শ্রমিক কষ সংগ্রহে নামেন। বাগানের ঝোপঝাড়ে কাজ করায় সাপ-বিচ্ছু, বিষাক্ত পোকামাকড় আর বন্যজন্তুদের আক্রমণের শঙ্কা থাকলে নেই নূন্যতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই সাথে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে এসব শ্রমিকদের।

১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই বাগানে কাজ করেন আব্দাল মিয়া। তিনি বলেন, আমরা যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে চলা বর্তমান সময়ে অনেক কঠিন। এখানে ওভারটাইম করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া আমাদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থাও নেই। প্রতি বছর শীত মৌসুমে আমাদের জুতা, গ্লাবস, রেইনকোর্ট দেওয়ার কথা। কিন্তু কোন কিছুই দেওয়া হয় না। চাইলেই শুধু বলে বাগান লোকসানে আছে।

শাহজীবাজার রাবার বাগানের সহকারি মাঠ তত্বাবধায়ক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, গাছ থেকে কষ সংগ্রহের পর সেটিকে আনা হয় রাবার প্রসেসিং সেডে। এখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরল কষকে সেডে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু এই বাগানে যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় সেগুলো অনেক পুরনো। আধুনিক যন্ত্রাংশ না থাকায় একদিকে রাবারের সেড তৈরী করতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে, অন্যদিকে কমছে রাবারের গুণগত মান। বাগানের গাছগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। বয়স বেশি হওয়ায় গাছগুলোতে যতেষ্ট কষ আসে না। সেই সাথে অর্ধেকের চেয়ে বেশি গাছ থেকে এক ফোটা কষও পাওয়া যায় না। সেগুলোতে পোকামাকড় আক্রমণ করেছে। 

শাহজীবাজার রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় বলেন, অনেক কারণে বাগানটি দিনের পর দিন লোকসান গুণেছে। এর মধ্যে তিনটি বড় কারণ অপরিকল্পিতভাবে বাগান পরিচালনা, গাছের জীবনচক্র শেষ এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া লোকসানের বড় কারণ। গত ১০ বছরে রাবার উৎপাদনে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। বর্তমানে শাহজীবাজার বাগানে প্রতিকেজি রাবার উৎপাদনে খরচ হচ্ছে সাড়ে ৩শ টাকার বেশি। বিপরীতে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়।

তিনি বলেন, রাবার মুলত কৃষিপণ্য। কিন্তু এনবিআর এটিকে শিল্প হিসেবে তালিকাভুক্ত করায় শুকনো রাবার বিক্রির সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৪ শতাংশ আয়কর পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এনবিআরের এমন সিদ্ধান্ত রাবার শিল্পের উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা চলছে। যার বিস্তারিত বলতে পারবেন আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নন্দী গোপাল রায় বলেন, আমি এখানে কয়েক মাস আগে যোগদান করেছি। যোগদান করার পরই বাগানটিকে লাভজনক করতে ১০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি রাবার বোর্ডে। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে এই সংকট থেকে উত্তোরণ সম্ভব হবে। যদিও এর কিছু কাজ শুরু হয়েছে। যেমন এরই মধ্যে পরিত্যক্ত গাছ কেটে দেড় হাজার হেক্টর জায়গাজুড়ে নতুন চারা লাগানো হয়েছে। পর্যক্রমে বাকি বাগানও এভাবে পুনর্বাসন করা হবে।


আরও খবর



আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শরবত বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, মোজাফফর হোসেন জয়ের সার্বিক সহযোগিতায়, তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে আশুলিয়ায় পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করেছে সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

গতকাল সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে, সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের শেরআলী মার্কেট শাখা এই শরবত বিতরণ করেছে।

শেরআলী মার্কেট শাখা টিম লিডার ইমাম হুসাইন বলেন, আমরা পানীয় লেবুর শরবতের পাশাপাশি খাবার সেলাইন ও পানির বোতল বিতরণ করছি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের অন্যান্য শাখা টিম এই কাজ চলমান রাখবে যতদিন তাবদাহ থাকবে। এছাড়াও দেশের এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে, আমাদের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চলমান রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমাদের সকল শাখা টিম একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মোজাফফর হোসেন জয় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও আজকের দর্পণের আশুলিয়া প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খাইরুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের আশুলিয়া প্রতিনিধি এবং আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য মোঃ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকে এসময় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন জয় জানান, কয়েকদিন ধরে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনসাধারণ। বিশেষ করে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে। রাস্তায় বেড় হলে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হচ্ছেন তারা। এতে করে হিটস্ট্রোকের সম্ভবনা রয়েছে। তাদের কথা ভেবেই শরীর শীতল রাখার জন্য সামাজিক ব্লাড ডোনার টিম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ করে  আরও জানান, রাস্তায় বেড় হলে রোদ থেকে কিছুটা রক্ষার জন্য ছাতা ও একটি পানির বোতল সঙ্গে নিতে। যাতে হিটস্ট্রোকের মতো ঝুঁকি থেকে আমরা সকলে রেহাই পেতে পারি।

উল্লেখ্য এই সংগঠনটির উদ্যোগে এর আগেও ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ও রক্ত দেওয়াসহ নানা রকম সামাজিক কাজ করে আসছে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে স্বর্ণ। বুধবার (৩ এপ্রিল) আরেক রেকর্ড গড়েছে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটি। প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্সের দর উঠেছে ২২৯৪ ডলারে। বিশ্ববাজারে যা নতুন নজির। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি চড়া হয়েছে। তবু সুদের হার কমাতে চাচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান কমেছে। সঙ্গত কারণে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। আউন্সপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ২২৯২ ডলার ৩১ সেন্টে। দিনের শুরুতে যা ছিল ২২৯৪ ডলার ৯৯ সেন্ট। বিশ্ব ইতিহাসে তা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এর আগে কখনও এত দাম দেখেননি বিশ্ববাসী।

নিউইয়র্কভিত্তিক স্বাধীন ধাতু ব্যবসায়ী তাই ওয়াঙ বলেন, চলতি বছর আর কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। এরপরই আরেক ঐতিহাসিক উচ্চতায় উঠেছে স্বর্ণের দর। আমি মনে করি, আউন্সে মূল্য শিগগিরই ২৩০০ ডলারে পৌঁছাবে। তাতে বিনিয়োগকারীরা আরও আকৃষ্ট হবেন।

আগামী ১১ থেকে ১২ জুন বৈঠবে বসবেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই সুদের হার কমানোর ঘোষণা দেবেন তারা। এমনটি হলে স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে।


আরও খবর



গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মৃতদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেউ এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন- আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এর আগে সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

১৮ ও ১৯ এপ্রিল ঢাকার আগারগাঁও এর পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে মোট ৬ টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারের মূল বিষয় থাকবে- প্রাণিসম্পদের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ ভাবনা এবং করণীয়, ক্লাইমেট স্মার্ট ডেইরি সেক্টর, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ও খাদ্য নিরাপত্তা, পশুপাখির রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়।

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল। আর প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ২২ এপ্রিল রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান ৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ছে। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৬ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

দূষিত শহরের তালিকায় ৪০১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ, ১৯৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু, ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি’ বা গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ’ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।


আরও খবর