আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শাহপরী: ছোট দ্বীপে বড় উদ্বেগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে আলাদা করেছে নাফ নদী। এ নদীর মোহনায় অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপ। ১৯৯২ সালে যখন দেশে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে, তখন বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল টেকনাফের এ দ্বীপকে। সবশেষ ২০১৭ সালেও এটি হয়ে ওঠে রোহিঙ্গা প্রবেশের অন্যতম পথ। কেবল রোহিঙ্গাদের জন্যই নয়, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া কিংবা থাইল্যান্ডে অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরও পছন্দের রুট এটি। এ পথ ব্যবহার করেই নিয়মিত মানব পাচারের ঘটনা ঘটছে। শুধু তা-ই নয়, ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ বা আইসসহ বিদেশী বিভিন্ন ধরনের মাদক এ পথ দিয়েই প্রবেশ করে বাংলাদেশে। ফলে বঙ্গোপসাগরের উন্মুক্ত জলরাশির সীমানায় অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপটি ক্রমেই দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য বলছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পার হয়ে অস্ত্র ও মাদক ঢুকছে সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ করিডরে। পরবর্তী সময়ে এসব মাদক ও অস্ত্রের চালান চলে যাচ্ছে টেকনাফের জালিয়াপাড়া, হোয়াক্ষ্যংয়ের জিমনখালী, নয়াপাড়া, আমতলী এলাকায়। সেখানে কয়েক হাত ঘুরে মাদক ও অস্ত্রের চালান ছড়িয়ে দেয়া হয় পুরো দেশে। গত চার বছরে শুধু কোস্টগার্ডের অভিযানেই কক্সবাজারের সমুদ্র এলাকা থেকে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭ হাজার ৪৮১ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার পাশাপাশি এখন ভয়ংকর মাদক আইসের চালান দেশে ঢুকছে শাহপরীর দ্বীপ হয়ে। গত বছর সেখান থেকে এক কেজি আইস উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমানা পয়েন্ট এভাবে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কাজে ব্যবহার হওয়াকে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। শাহপরীর দ্বীপে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি মাদক বা অস্ত্র চোরাচালান রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৭ এপ্রিল ভোররাতে শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ ইয়াবা ও পাঁচ কেজি গাঁজা আটক করে পুলিশ। শাহপরীর দ্বীপের পাশাপাশি লম্বাবিল, কানজরপাড়া, মিনাবাজার, হূীলা লেদা, জাদিমুড়া, মমিয়া, টেকনাফ সদর, সাবরাং ও সাগর পথ দিয়েও নিয়মিত ঢুকছে মাদক। ঈদকে কেন্দ্র করে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেই প্রায় তিন লাখ ইয়াবা, আড়াই কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, বিদেশী মদ ও বিয়ার জব্দ করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাসহ ১৬ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদকের পাশাপাশি দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশেরও অন্যতম নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শাহপরীর দ্বীপের এ করিডর।

তবে শাহপরীর দ্বীপ ও এর আশপাশের সমুদ্র এলাকায় মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারকারীদের তত্পরতা ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লাবিব উসামা আহমাদুল্লাহ্। তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রমও পরিচালনা করা হয়। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। ফলে এলাকার অপরাধপ্রবণতা আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

গত ছয় মাসে শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে আড়াই লাখ পিস ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, মাদক ও মানব পাচার রোধে শাহপরীর দ্বীপে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফ সীমান্তের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া ও ঘোলারপাড়া নামে দুটি চোরাই পয়েন্ট রয়েছে। এগুলো বহুল আলোচিত হলেও এখনো এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এ দুটি পয়েন্ট দিয়েই হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

দেশে প্রবেশের এ রুট ইয়াবা, মানব পাচারের ট্রানজিট ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের মূল পয়েন্ট হয়ে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর সরকারের পক্ষ থেকে এসব প্রতিরোধে কার্যক্রম বাড়ানো হয়। দেখা যায়, অভিযানের কিছুদিন মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার কমে আসে। নজরদারি কমে গেলে তা আবার বেড়ে যায়। বিশেষ করে শীতে সমুদ্র শান্ত হলে মানব পাচারের সংঘবদ্ধ চক্রগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা শিবিরভিত্তিক বেশকিছু ইয়াবা সিন্ডিকেটের খোঁজ পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন সংস্থার গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় ইয়াবা আটকের পরিমাণ বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়ে গেছে মাদক মামলা ও আসামির সংখ্যাও। সম্প্রতি মালয়েশিয়া পাচারকালে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া ও শহরের নুনিয়াছড়া এলাকা থেকে দুটি চালান আটক করে র্যাব ও পুলিশ।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, নাফ নদী পাড়ি দিয়ে শাহপরীর দ্বীপ হয়ে দেশে প্রবেশের পর অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক মজুদের জন্য ব্যবহূত হচ্ছে উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত ৩৪ রোহিঙ্গা শিবির। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তালিকায়ও রয়েছে ১৩ জন রোহিঙ্গা নেতার নাম। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এসব শিবিরের নারী, বিশেষ করে যাদের স্বামী বেঁচে নেই তারা বেশি জড়াচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়।

তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর তত্পরতায় স্থানীয় লোকজন এখন ইয়াবা কারবারে খুব একটা জড়াতে চায় না। সীমান্ত ও রোহিঙ্গা শিবিরে ইয়াবা সিন্ডিকেট ও কারবারিদের পুলিশ নিয়মিত আটক করছে এবং তাদের মাঝে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শাহপরীর দ্বীপে আমাদের একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বক্তব্য দিলেও স্থানীয়রা বলছেন, শীত মৌসুমকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক মানব পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব চক্র সাগরপথে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করে। এরপর সাগরে ও জঙ্গলে নির্মম নির্যাতন করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। শাহপরীর দ্বীপ ব্যবহার করে এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান, পাচারের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে রোহিঙ্গাদের এ দ্বীপেই নিয়ে আসে মানব পাচারকারীরা। তারপর ছোট ছোট নৌকার মাধ্যমে তাদের বঙ্গোপসাগরের গভীরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের সমুদ্রের গভীরে নিয়ে বড় নৌকায় তুলে দেয়া হয় মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের দিকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশকে পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় পৌঁছার চেষ্টা করে। এরপর উন্নত জীবনের সন্ধানে বাংলাদেশীরাও এ বিপত্সংকুল পথে যাত্রা করতে থাকে। ২০১২ সালে প্রথম মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর চেষ্টার অভিযোগে বঙ্গোপসাগরে ১৩২ জনকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ২০১৪ সালে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৫৫০।


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর



কলকাতায় ঈদে একমাত্র ‘মির্জা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতায় ঈদ নিয়ে খুব একটা মাতামাতি নেই। সিনেমা মুক্তিতেও অনীহা প্রযোজক-পরিচালকদের। তাই টালিগঞ্জের দর্শকদের জন্য ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে একমাত্র সিনেমা মির্জা। সুমিত সাহিলের পরিচালনায় এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা-ঐন্দ্রিলা সেন।

অ্যাকশন ধাঁচের গল্পে নির্মিত মির্জা ১০ এপ্রিল মুক্তির কথা ছিল। তবে ঈদ ১১ এপ্রিল হওয়ায় এক দিন পিছিয়ে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে অভিনেতা ও প্রযোজক অঙ্কুশ ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, অনেক যত্নে নির্মাণ করা হয়েছে মির্জা। এতে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও রয়েছি। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। সেই আশা থেকেই এক দিন পিছিয়ে ঈদের দিন মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন ফেস্টিভ্যাল থাকায় আশা করছি দর্শকদের ভালো রেসপন্স পাব। তবে অঙ্কুশের মির্জাকে যুদ্ধ করতে বলিউড দুই সিনেমার সঙ্গে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউডের সিনেমা বড়ে মিয়া ছোটে মিয়াময়দান। যার কারণে কলকাতাও সেভাবে হল পাচ্ছে না মির্জা

সিনেমায় অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক, কৌশিক গাঙ্গুলি, শোয়েব কাবির, জিমি ব্যানার্জি, প্রিয়া মণ্ডল ও শঙ্কর দেবনাথ।


আরও খবর



চেক ডিজঅনার কেন হয়, টাকা পেতে যা করবেন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়াও নানা সময়ে চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। সেই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা যায়। আবার কেউ চাইলে চেকের বিপরীতে নগদ টাকাও ব্যাংক থেকে নিতে পারেন। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকে জমা দিয়ে এই টাকা উত্তোলন করতে পারেন গ্রহীতা।

তবে অনেক সময় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মূলত চেকে নামের মিল না থাকা, অ্যাকাউন্টধারীর অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, চেকে অ্যাকাউন্টধারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা কিংবা চেকে টাকার পরিমাণ অঙ্কে ও কথায় মিল না থাকার মতো কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এটিকেই চেক ডিজঅনার বলা হয়ে থাকে।

অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে যদি চেক ডিজঅনার হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ দেন। আর চেক ডিজঅনার হলে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করতে হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুণ অর্থ জরিমানা হতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার বিষয়ে ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান জানান, আইনে তিন গুণ জরিমানার কথা থাকলেও বাস্তবে সাধারণত আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা করেন না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই দোষীকে জরিমানা করেন আদালত। আবার বিবাদী যদি স্বেচ্ছায় জরিমানার টাকা না দেয় তবে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে টাকা আদায় করা যেতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রথমেই স্লিপ নিতে হবে। এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হবে। বিবাদী ওই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।

এক্ষেত্রে মামলার সময় বাদীকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে মামলার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মামলার আবেদনের সঙ্গে প্রসেস ফি জমা দিতে হবে।

চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর ও ৬ মাসের আগে গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার সঙ্গে সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ অর্থ গ্রহীতাকে দিতে হবে।

মামলা হওয়ার ৬ মাস পর ও এক বছরের আগে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার এক বছর পর ও দুই বছরের আগে উল্লেখিত অর্থ গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকা ও এর তিন গুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি টাকা না দেন, তবে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা ছাড়াও প্রয়োজন মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




সাগর থেকে বাংলাদেশের ২৭ জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় সীমানায় ভাসতে থাকা বিকল বাংলাদেশি ফিশিং বোট এফভি সাগর-০২-এর ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে এফভি সাগর-০২ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে।

বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে।


আরও খবর
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




যুক্তরাষ্ট্রে বসে সালমান খানের বাসায় গুলির পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রায় ৪০ বছর ধরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পরিবারসহ থাকেন বলিউড তারকা সালমান খান। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে এই অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সালমানের বাড়ির দেয়ালে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।

এরই মধ্যে সালমানের বাসার বাইরের সিসিটিভির ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। সেখানে দেখা গেছে, রবিবার ভোরে দুজন বাইকে চেপে সালমানের বাসার বাইরে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে একজনের গায়ে সাদা টি-শার্টের ওপর কালো শার্ট, আর একজনকে লাল টি-শার্টে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে একজনের মাথায় কালো টুপি, অপরজনের মাথায় সাদা টুপি রয়েছে।

ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণইয়ের (বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লিডার) ভাই আনমোল বিষ্ণই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার কাছে শুটার বাছাইয়ের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। গোদারার পেশাদার শুটারদের নেটওয়ার্ক পুরো ভারতজুড়ে। গোদারা এ হামলার পুরো দায়িত্ব দেন শুটার বিশালকে।

বিশাল গুরুগ্রামের বাসিন্দা। জেল খাটা আসামি। ২০২০ সালে প্রথমবার পুলিশের খপ্পড়ে পড়েন তিনি। মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে তিহাড়ে বন্দী ছিলেন বিশাল। তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পাশপাশি, রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন। গত বছর গুরুগ্রামে দুই খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তার। এবার সালমানের বাড়িতে গুলি চালিয়ে রাতারাতি আলোচনায় এলেন এই ব্যক্তি।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। এই গ্যাংয়ের লিডার লরেন্স বিষ্ণোই এর আগেও সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কারাগারে আছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তার হয়েই এবার সামাজিকমাধ্যমে হুমকি দিলেন তারই ভাই আনমোল বিষ্ণোই।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রী রাম।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর বদলা নিতে সালমানকে খুনের হুমকি দেয় বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দী গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে হত্যার তালিকায় রেখেছে, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। এরপর থেকেই সালমানকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে এই গ্যাংস্টার। এবার তো অভিনেতার বাড়িতে হামলা করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তারা।


আরও খবর