আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাজেকে আগুন: পুড়ে গেছে রিসোর্ট, বসতঘর ও দোকান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক কংলাক পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে পর্যটক রিসোর্ট। এছাড়া পুড়েছে স্থানীয়দের বসতঘর ও দোকান। অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালির কংলাক পাহাড়ে অবস্থিত মেঘছোঁয়া রিসোর্টে আগুন লাগে এবং মুহূর্তেই সেই আগুন আশপাশের রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালির কংলাক পাহাড়ের মেঘছোয়া রিসোর্টের পাশে স্থানীয়রা শীত নিবারণের জন্য শুকনো পাতা ও কাঠে আগুন জ্বালায়। এসময় বাতাসের কারণে আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। আগুনে পুড়ে যায় পর্যটকদের মেঘছোয়া ও ফড়িংগি রিসোর্টসহ স্থানীয় ভূবন ত্রিপুরার বাড়ি ও একটি দোকান। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় কোন আহত কিংবা মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাই থুয়াং অং চৌধুরী জয় জানান, অসচেনতনতার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত রিসোর্টের পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর



লক্ষীপুরের ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করে স্ব-স্ব রিটার্নিং অফিসার।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম। চশমা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৩৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান চশমা প্রতীকে ৬৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে টেলিফোন প্রতীকে আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর হুসাইন ভুলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখের ইউনিয়নে মিনারা বেগম ও সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ইসালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার ঈশানা।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নামলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মাঠে গরু আনতে যাবার সময় মাহিয়া আক্তার শিশু নিহত হয়। সদর উপজেলায় ঝড় বৃষ্টি চলাকালে মিনারা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমের মৃত্যু হয়।

ওসি আরও বলেন, সকালে তাণ্ডব চালানো এই বজ্রসহ ঝড়ে ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর ভেঙে পড়েছে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। দুপুর দেড়টায় ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুৎ আসলেও রাজাপুর ও কাঠালিয়াসহ অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


আরও খবর



বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে ২ জনের মৃত্যু, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রাতুলকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

রাতুলকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে সে মারা গেছে। সুফিয়া বেগমের ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান। নিহত রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। আর সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট এ ঝড় স্থায়ী হয়। এতে বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে।

এ সময় গোসিংগা গ্রামের আফসেরের গ্রেজ এলাকায় ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে মা সাবিহা (৩০), তার মেয়ে ইভা (১২) ও দুই বছর বয়সী আরেক শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে।

বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।

দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ওমানে বন্যা: স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বন্যার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন মানুষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতদের অনেকেই স্কুলগামী শিশু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে আল আরাবিয়া।

ওমান নিউজ এজেন্সি রবিবার প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, বন্যার পানিতে গাড়ি ভেসে যাওয়ায় নয় জন স্কুলগামী শিশু ও তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মারা গেছেন।

দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে আঘাত হানা এই বন্যায় আরও পাঁচ ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন।

ওমান নিউজ এজেন্সি সোমবার জানায়, এক শিশু ও তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার থেকেই দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে ওমানবাসীদের জীবন। দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ওমানের সুলতানের মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, শারকিয়াহ প্রদেশে সম্প্রতি প্রাণ হারানো স্কুলগামী শিশুদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি মন্ত্রিসভা গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছে।

সোমবার দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্যার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশিরভাগ স্কুলের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। বন্যার কারণে বেশ কিছু সড়কে পরিবহণ চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

সড়কে ও অন্যান্য জায়গায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের কাজে ওমানের বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।

দিনের পরের অংশে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, যেমন বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও আঘাত হানতে পারে ঝড়।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বন্যায় ওমানে তিন শিশু প্রাণ হারায়।


আরও খবর