আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
আইনজীবীর দাবি

শাকিব খানের নামে অস্ট্রেলিয়ায় কোন মামলা হয়নি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নামে অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণসহ নানা অসদাচরণের অভিযোগে কোনো মামলাই হয়নি বলে দাবি করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত তার আইনজীবী উপল আমিন। আজ সোমবার এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ দাবি করেন। উপল দেশটিতে ক্রিমিনাল ডিফেন্স লইয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

ভিডিওবার্তায় উপল আমিন বলেন, কমপ্লেইন তো মানুষ করতেই পারে, কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে কমপ্লেইন করার পর আসলে কি হয়েছিল। এখন এই অ্যানি সাবরিন এবং মিস্টার রহমত উল্লাহ যে মিস্টার শাকিব খানের নামে একটি কমপ্লেইন দিয়েছিল সিডনি, অস্ট্রেলিয়াতে এই ব্যাপারটা তো শাকিব খান অস্বীকার করেননি। এই যে মিস্টার রহমত উল্লাহ মিডিয়ার কাছে এসে বলছেন যে মিস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে কমপ্লেইন হওয়ার পর শাকিব খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, উনার নামে মামলা করা হয়েছিল, উনি নাকি অস্ট্রেলিয়ার মামলা থেকে বাঁচতে দুই দুই বার পালিয়ে গিয়েছিলেন।

শাকিব খানের আইনজীবী বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে যে কেউ পুলিশ ষ্টেশনে গিয়ে অভিযোগ করলে তাকে একটি ইভেন্ট নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে জিডি বলা হয়, আর অস্ট্রেলিয়াতে ইভেন্ট নম্বর বলা হয়। দুটি জিনিস কিন্তু একই। এখন একটি ইভেন্ট নম্বর পাওয়া মানে এই নয় যে কারও নামে কোনো মামলা দেওয়া হয়েছে। মিস্টার রহমত উল্লাহ যে এই কথাগুলো বলেছেন- এই কথাগুলো আমার কাছে যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হয়েছিল এবং আমি শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় আইনজীবী হিসেবে আমি এ ব্যাপারগুলো চেক করেছি পুলিশের সঙ্গে।

তিনি বলেন, আমি সেন্ট জোন্স ডিটেকটিভ অফিসে, হেড অব ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি সরাসরি। ডিটেকটিভ সার্জেন্ট মাইকেল বার্গের সঙ্গে কথা বলেছি এবং উনি আমাকে কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। ১. মিস্টার শাকিব খানের নামে কখনো কোনো মামলা হয়নি অস্ট্রেলিয়াতে, দেওয়া হয়নি। ২. মিস্টার শাকিব খানকে কখনো অস্ট্রেলিয়াতে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ৩. যেহেতু তিনি গ্রেপ্তার হন নাই, সেহেতু উনার পালানোর কথা আসেই না। এই ব্যাপারে পুলিশের তদন্ত শেষ এবং এই ব্যাপারটি পুরোপুরি ডিসমিস করে দেওয়া হয়েছে। ৪. শাকিব খানের নামে কখনো কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না।

নিউজ ট্যাগ: শাকিব খান

আরও খবর



কর্মস্থলে না থাকায় চিকিৎসককে বরখাস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সময়মতো কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বুধবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান। এ সময় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেন্টু পুরকায়স্থ কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এ জন্য মন্ত্রী তাৎক্ষণিক তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন।

উপজেলা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। জনবল সংকট রয়েছে। হাসপাতাল ভবনও সংস্কার প্রয়োজন। সেখানে ডাক্তারদের উপস্থিতি কম থাকায় তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে তার অফিসে না পেয়ে তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বুধবার সকালে দুই দিনের সফরে সিলেট আসেন। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরাসরি চলে যান সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে।

এরপর তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারলে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভিড় কমবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। মেডিকেল কলেজগুলো শুধু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য নয়, শিক্ষা নেওয়ার জায়গা। এখানে গবেষণা করতে হবে। আমাদের সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। কর্তব্যে অবহেলা কিংবা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না

এ ছাড়াও মন্ত্রী বুধবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি দক্ষিণ সুরমায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন।

এ সময় প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।


আরও খবর



রমজান মাস কবে শুরু, কীভাবে দেখা হয় চাঁদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। হিজরি বছরের গণনা অনুসারে নবম মাসকে রমজান মাস বলা হয়। এই মাসেই মুসলমানরা ফরজ রোজা পালন করে থাকেন।

হিজরি বর্ষ গণনা করা হয় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। হিজরি মাস ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১০ মার্চ হিজরি ২৯ শাবান। এদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন অর্থাৎ ১১ মার্চ থেকে এসব দেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। তবে এবার শাবান মাস ৩০ দিনের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ১২ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরুর সম্ভাবনা বেশি।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ১০ মার্চ হিজরি ২৯ শাবান হলেও, বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোয় এর পরদিন অর্থাৎ ১১ মার্চ ২৯ শাবান।

যেভাবে চাঁদ দেখা হয়

যুক্তরাজ্যে চাঁদ দেখার কাজ করে নটিক্যাল আলমানাক অফিসের অধীন ক্রিসেন্ট মুন ওয়াচ। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১০ মার্চ গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে চাঁদ উঠতে পারে। সেই হিসেবে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে তখন সময় হবে রাত ৮টা ২৩ মিনিট ও বাংলাদেশে তখন সময় হবে রাত ১১টা ২৩ মিনিট। অর্থাৎ সেদিন রাতে খালি চোখে সৌদি আরব বা বাংলাদেশ থেকে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার সম্ভাবনা কম।

আগামী ১০ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে শুধু প্রশান্ত মহাসাগরের অল্প কিছু এলাকায়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপূঞ্জে ও ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার কিছু এলাকা থেকে দেখা যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে সেদিন খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

তাই বলা হচ্ছে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখে বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে ১১ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে সেদিনও অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, তাসমানিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা আছে।

সেই হিসেবে, সৌদি আরবসহ বেশিরভাগ দেশে রোজা শুরু হতে পারে আগামী ১২ মার্চ থেকে। আর বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে ১৩ মার্চ থেকে রোজা শুরু হতে পারে।  


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




চাঁদ দেখা গেছে সৌদি আরবে, রোজা শুরু সোমবার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান হলো নবম মাস। এই মাসে মুসলিমরা সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতেও সোমবার (১১ মার্চ) (বাংলাদেশ সময়) থেকে রোজা শুরু হবে।

যদিও মালয়েশিয়ায় রোজা শুরু মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে। রবিবার (১০ মার্চ) দেশটি থেকে চাঁদ থেকে সম্ভব হয়নি।

চলতি বছর পবিত্র রমজানে সবচেয়ে কম সময় না খেয়ে থাকতে হবে চিলির পোর্ট মন্ট শহরের মানুষদের। সেখানের মুসলিমদের ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট না খেয়ে রোজা পালন করতে হবে। সবচেয়ে বেশি সময় অর্থাৎ ১৭ ঘণ্টা ২৬ মিনিট না খেয়ে থাকতে হবে গ্রিনল্যান্ডের রাজধানীতে।

এর আগে রমজানের চাঁদ দেখার জন্য দেশের সব মুসলিমকে আহ্বান জানায় সৌদির সুপ্রিম কোর্ট। কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা চাঁদ দেখা কমিটিকে জানাতে বলা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব রমজান

আরও খবর



রিশাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজ জয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টার্গেট ২৩৬ রানের। সেই রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তানজিদ হাসান তামিম ও রিশাদ হোসেন ব্যাটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৪ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিলো স্বাগতিকরা।

সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। লঙ্কান অলরাউন্ডার জেনিথ লিয়ানগের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন লিয়ানগে।       

২৩৬ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সৌম্যের কনকাশন বদলি নামা তানজিদ তামিম। অন্যদিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। তবে দলীয় ৫০ রানে ২২ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়।

বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। টাইগার অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তানজিদ তামিম। তবে দলীয় ৫৬ রানে ৫ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই টাইগার ওপেনার।

হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। হৃদয় ৩৬ বলে ২২ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ বলে মাত্র ১ করে সাজঘরে ফিরে যান। তাদের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম।

তবে দলীয় ১৩০ রানে ৮১ বলে ৮৪ রান করে ফিরে যান তামিম। তার বিদায়ে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। ৪৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

তবে দলীয় ১৭৮ রানে ৪০ বলে ২৫ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন রিশাদ হোসেন। তার ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫৮ বলে হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।


আরও খবর



আসছে রমজান, ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসছে রমজান মাস। রমজান উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশে সব কিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান আসার আগেই বাজারে মাছ, মাংস, মুরগি ও সবজিসহ বেড়েছে প্রায় সবকিছুর দাম। সব মিলিয়ে বাজারে যেন বাড়তি দামের ছোঁয়া লেগেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি থেকে শুরু করে মাছের অতিরিক্ত বাড়তি দাম যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কিছুদিন রাজধানীতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লারসহ সোনালি ও দেশি মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।

আজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজধানীতে কিছুদিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও আবারও আগের মতো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজারে বসে কথা হয় খোরশেদ আলমের সাথে। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে শুনেছি রমজান এলে সবকিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ঘটে উল্টোটা... রমজান এলেই বেড়ে যায় সবকিছুর দাম। আজকে বাজারে সবজির দাম থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য প্রায় সবকিছুর দামই বাড়তি দেখলাম।

তিনি বলেন, বয়লার মুরগি আগে ২০০ টাকা কেজি ছিল, আজ সেটি বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। গরুর মাংসও ফিরে গেছে আগের বাড়তি দামে। এছাড়া, সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ঊর্ধ্বগতির বাজারে এখন বাজার করতে এলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নিয়মিত হিমশিম খেতে হয়।

মাসুদুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, ইদানীং বাজারে মাছের দাম এতোটাই বেড়েছে যে, আমরা সাধারণ ক্রেতারা দুই-এক ধরনের মাছ ছাড়া অন্য কোনো মাছ কিনতে পারি না। মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি।  নিয়মিত পাঙাশ, তেলাপিয়া ও চাষের কই এগুলো কিনতে হয়। কিছুদিন ধরে পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি কিনলেও আজ দাম বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। একইভাবে চাষের কই, তেলাপিয়া, রুই ও পাবদা মাছের দামও বেড়েছে। এসব মাছ ছাড়া ভালো মানের অন্য কোনো মাছ আমরা কিনতে পারি না অতিরিক্ত দামের কারণে। সামনে রমজান মাস, রমজান আসার আগেই বাজারে সব ধরনের মাছের দামই অতিরিক্ত বাড়তি যাচ্ছে।

সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাওয়ার কথা স্বীকার করে রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, আরও বেশ কিছুদিন যাবত মাছের দাম বাড়তে যাচ্ছে। রমজানের আগে এর দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে, এরপর আর দাম কমেনি।

তিনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মাছ যখন কিনে আনি তখনই আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়। এরপর পরিবহন খরচ ও শ্রমিক খরচ সব মিলিয়ে কিছুটা দাম পড়ে। আমরা যখন কোনো মাছ পাইকারি বাজারে কম দামে কিনতে পারি, তখন খুচরা বাজারেও আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মাছ চাষের‌ খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। বেশ কিছুদিন ধরেই মাছের দাম বাড়তি। আগামীতেও মাছের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪