দেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। যার
প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, সবজিসহ
সব ধরনের নিত্যপণ্যের।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার,
হাতিরপুল কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে দাম বেড়েছে
প্রায় সব পণ্যেরই। পাশাপাশি বাজারে কমেছে ক্রেতা উপস্থিতি।
বাজারে প্রতিকেজি শসা ৪০ টাকা, মরিচ ৬০
টাকা কেজি, টমেটো কেজি ৪০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরবটি ৬০ টাকা,
ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম চড়েছে
আলু ও বেগুনের। প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকা ও বেগুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে
নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়েছে খরচ। যার প্রভাবে গ্রাম পর্যায়ে সবজির দাম
বাড়ায়, রাজধানীর বাজারগুলোতেও বেড়েছে দাম।
আর ক্রেতারা বলছেন, বাজার আগে থেকেই চড়া।
তার ওপর তীব্র গরমের সুযোগ লুফে নিয়ে আরও দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তীব্র গরমে যখন গরম সবজির বাজার, ঠিক তখন
উত্তাপ ঝরছে মাংসের বাজারেও। কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত সোনালি মুরগি ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকা, ও দেশি
মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি, গরমে খামারে প্রচুর
মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে লোকসান থেকে বাঁচতে খামার পর্যায়ে বেড়েছে দাম। ফলে প্রভাব পড়ছে
খুচরা বাজারেও।
অন্যদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে
৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা
ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
গরমেরও উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও।
চড়া বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দাম। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায়
দাম বাড়ছে।
এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি
হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৬০-১৭০
টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০
থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত
বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং
করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।
আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী
ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।