আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সিরিজ শেষে এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ছে টাইগাররা। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। তবে ক্যারিয়ারের ৫৩তম হাফ সেঞ্চুরির পরপরই বিদায় নেন তিনি। তৌহিদ হৃদয়কে সাথে নিয়ে হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। শনিবার (১৮ মার্চ) থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড।

নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলা এবং জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বাংলাদেশ হট ফেভারিট হয়েই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করছে।

২০০৮ সালের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এসেছে আয়ারল্যান্ড। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এরমধ্যে সাতটি জিতেছে বাংলাদেশ এবং মাত্র দুটিতে জয় পায় আয়ারল্যান্ড। বাকী ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।


আরও খবর



অস্ত্রোপচার ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টায় ১৭ শিশুর জন্ম

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৪৮ ঘণ্টায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই ১৭ শিশুর জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মেয়ে ও ৮টি ছেলে। শিশু ও প্রসূতি মায়েরা সুস্থ আছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ৭৩ প্রসূতির। এর মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে ১৭ প্রসূতির। হাসপাতালটিতে সেপ্টেম্বরের ২ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে ৪১ প্রসূতির।

আর বৃহস্পতিবার ও শনিবার সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে ৯ প্রসূতির। এর আগের মাসে হাসপাতালটিতে স্বাভাবিক ডেলিভারি হয় ১২৩ এবং সিজারিয়ান ডেলিভারি হয় ৮৮ প্রসূতির।

সিজারের নামে বাণিজ্য, দালালচক্র ও অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতিদের রক্ষা এবং নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের লক্ষে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক কাজ শুরু করে ২০১০ সাল থেকে। এ বিষয়ে প্রসূতিদের উদ্বুদ্ধকরণে তারা বিভিন্নভাবে প্রচারও চালান।

চিকিৎসা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রসব পূর্ববর্তী চিকিৎসার সময় স্বাভাবিক প্রসবের জন্য প্রসূতি মায়েদের কাউন্সিলিং এবং হাসপাতালে চিকিৎসক ও সেবিকাদের সমন্বয়ে কাজের ফলেই হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসূতি বেড়েছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে কর্তব্যরত মিডওয়াইফ তামান্না আক্তার বলেন, আমরা প্রসূতিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তাদের প্রসবের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করার কারণেই হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসূতি বেড়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আল এমরান বলেন, আমাদের মিডওয়াইফরা হাসপাতালে কোনো প্রসূতি এলে তাদের শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলেন। তাদের স্বাভাবিক প্রসবের জন্য উৎসাহিত করেন। এজন্য হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসব বেড়েছে।

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, গত কিছুদিন ধরে হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের পরিমাণ কিছুটা কমে যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক, সেবিকা, মিডওয়াইফ ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে মিটিং করে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আমাদের এএনসি কর্নারে (প্রসব পূর্ববর্তী সেবাকেন্দ্র) হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সব প্রসূতির মোবাইল নম্বর রাখা হয়। প্রসবের দিনের ২৪ ঘণ্টা আগে তারা হাসপাতালে না এলে তাদের কল করে হাসপাতালে আনা হয়।

প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবায় উপজেলা পর্যায়ে দেশ সেরা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রসূতি সেবায় উপজেলা পর্যায়ে দেশ সেরার স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয় পদক পেয়েছে ১৩ বার।


আরও খবর



চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদকারীকে জরিমানা, প্রতিষ্ঠান সিলগালা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মনীষা আচার্য্য, চট্টগ্রাম

জেলা প্রশাসকের গণশুনানিতে অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযানে আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার মজুদকারীকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান সিলগালা এবং দুই দিনের মধ্যে সিলিন্ডার অপসারণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

প্রতি বুধবার মতো চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক গণশুনানি করেন। মানুষের নানান অভিযোগ তুলে ধরেন তার কাছে। পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ডের ভক্তপুরের এলাকাবাসী আজ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে এরকমই এক অভিযোগ নিয়ে আসেন।

এলাকাবাসী তাদের আবাসিক এলাকায় এলপিজি সিলিন্ডার মজুদের কারনে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন।

সরকারি অনুমোদন না নিয়েই পরিচালিত আনোয়ার ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন চান্দগাঁও সার্কেলের এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানা।

অভিযানকালে কয়েক হাজার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্নভাবে ব্যবসা পরিচালনা করায় মানুষের জানমালের ব্যাপক হানির শঙ্কা পরিলক্ষিত হওয়ায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ করে সিলিন্ডারগুলো অপসারণের জন্য দুই দিন সময় দেওয়া হয়।

এই অভিযানে প্রতিকার পেয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানায়। এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অভিযানে সহায়তা করে।


আরও খবর



ইসির নিবন্ধন পেল ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা, মেয়াদ পাঁচ বছর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশীয় ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মেয়াদ থাকবে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আসাদুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংস্থার তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৬৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে ৬৬টি সংস্থাকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। অর্থাৎ তাদের মেয়াদকাল হচ্ছে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এর আগে ৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশন থেকে ৬৮ পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম চূড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো আপত্তি না পাওয়া গেলে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। নামের সামঞ্জস্য থাকায় দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষ সংস্থাগুলোকে নিবন্ধনের জন্য আহ্বান করা হলে দেশের ২০৬টি বেসরকারি সংস্থা ইসিতে আবেদন করে। পরে ইসির সাত সদস্যের একটি কমিটি আবেদনগুলো প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং শেষে ৬৮টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১১ জুলাই সর্বশেষ নিবন্ধিত ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধন পাওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে পুরোনো ৪০টির আবারও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর মধ্যে ৭৫টি সংস্থা থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।

স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয় ২০০৮ সালে। একই সময় জাতীয় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ বা আরপিওতেও বিষয়টি সংযোজন করা হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা তৈরি করে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার বিধান আগে থেকেই ছিল।


আরও খবর



হাসিনা-মোদি বৈঠক

নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি, ৩ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় যোগাযোগ, বাণিজ্যিক সংযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পেয়েছে। এদিকে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই আলোচনার ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পরই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটিও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর এক্সে (টুইটারে) এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেকটিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া তিন সমঝোতা স্মারক হলো কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা জানি না। গতকাল রাতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকের পর দিল্লির একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যমান গভীর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমস্যা সমাধানে আলোচনার তাগিদ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো অফিসিয়াল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারত আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কানেকটিভিটি তথা রেল ও সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আমাদের চলমান প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রম বেগবান করতে উভয় প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন।

ড. মোমেন বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ এবং ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একমত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪-৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে তাঁর সফল রাষ্ট্রীয় সফরের পর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানাবিধ ক্ষেত্রে প্রভূত দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এই জন্য উভয় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শনিবার দুই দিনব্যাপী জি২০ শীর্ষ সম্মেলন নয়াদিল্লিতে শুরু হচ্ছে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গতকাল অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভারতের রেলওয়ে ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোস প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সফরসঙ্গী অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানাও রয়েছেন। এর আগে সকাল ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

শনিবার শুরু হওয়া জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের সাইডলাইনে একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর মধ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

রোববার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতার সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। সম্মেলনের শেষ দিনে জি২০ নয়াদিল্লি নেতাদের ঘোষণা গৃহীত হবে। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল। দেশটির মেয়াদকালীন বাংলাদেশসহ সদস্য নয় এমন ৯টি দেশকে জি২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায় ভারত। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

জি২০ এর ১৯টি দেশ আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে।


আরও খবর



কাজিপুরে চরের বুকে মালামাল পরিবহনে সহজ মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর বুক চিরে বয়ে চলা শত শত চরবাসীর যাতায়াত আর মালামাল বহনের এক অন্যতম জনপ্রিয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি।

দূর্গম বালুময় পথে যেখানে ইঞ্জিন চালিত গাড়ি মালামাল বহন ও যাত্রী সেবায় ব্যর্থ, সেখানে ঘোড়ার গাড়ি অনায়াসে চলে। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাটি যমুনা দ্বারা বিভক্ত হয়েছে যমুনা পূর্বপাড়ের ছয়টি ইউনিয়ন নাটুয়াপাড়া, খাসরাজবাড়ি, মনসুরনগর, তেকানি, চরগিরিশ নিশ্চিন্তপুর। চরের এই ছয়টি ইউনিয়নে আলু, তামাক, ধান, বাদাম, ভুট্টা, মরিচসহ নানা শাক-সবজি উৎপাদন হয়। বালুচরের সঙ্গে মূল সড়কের যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় চরের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে বালুচরে পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে বাধ্য হয়ে ফসল বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হতো কৃষক। তাই ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় এসব এলাকায় চর ও বালুময় রাস্তা বেশি হওয়ায় এখানে মালামাল পরিবহনের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি।

তুলনামূলক পরিশ্রম বেশি হলেও খরচ কম হওয়ায় ঘোড়ার গাড়ি চালানোকে কাজিপুর চরাঞ্চলের প্রায় এক হাজার মানুষ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক হাসান আলী দৈনিক আজকের দর্পণকে জানান, ২৫-৩০ হাজার টাকার একটি ঘোড়া আর ১০ হাজার টাকার কাঠ ও বাঁশের তৈরী গাড়ি হলেই তৈরী হয় এই ঐতিহ্যবাহী বাহন।

খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের আরেক ঘোড়ার গাড়ি চালক সোবাহান মিয়া জানান, একটি ঘোড়াকে দৈনিক ২০০ টাকার খাবার দিলেই তাকে দিয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

নদীপথের রাস্তা হওয়ায় বর্ষায় কাঁদা আর গ্রীষ্মে ধূ ধূ বালুচরে মালামাল বহনে ঘোড়ার গাড়ির জুড়ি নেই। কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় এই উপজেলাটি একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বিপুল পরিমাণ ফসল আনা নেওয়ার কাজে এসব অঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ির কদর অনেক বেশি।

ফসল টানা ছাড়াও ইট, বস্তা, কাঠের গুল আনা নেওয়ার কাজেও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয় এখানে।

জানা যায় প্রায় একশ বছর ধরে এসব অঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি চলার প্রচলন রয়েছে। দুই যুগ আগেও ঘোড়ার গাড়িতে মানুষ চলার চল ছিলো। কাঠের পাঠাতনে নরম আসন বিছিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতো মানুষজন। কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন ঘোড়ার গাড়িতে মানুষ না চললেও মালামাল বহন করে আসছে।


আরও খবর