বাংলা চলচ্চিত্রের
বৃহৎ নক্ষত্র শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমান শাহ’র প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই জনপ্রিয়
নায়ক। রেখে যান অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী।
সিনেমা জগতে
মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন তিনি। রহস্যজনক মৃত্যুর
২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জানা সম্ভব হয়নি এর আসল কারণ। অপমৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড এখনও
রয়েছে ধোঁয়াশা।
তবে সালমান
শাহ হত্যা মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলা বিচারের জন্য
গ্রহণ করেছেন আদালত। গত ১২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রিভিশন আবেদন
গ্রহণ করে আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
মৃত্যুবার্ষিকীতে
দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ ও কোরআন খতমসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে তার পরিবার ও সালমান
শাহ’র ভক্ত-অনুরাগীরা।
সালমান শাহের
জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নানার বাড়ি সিলেটের দাড়িয়াপাড়ায়। তার অভিনয় জীবন শুরু
হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে। কিশোর বয়সে তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী।
১৯৯৩ সালে সোহানুর
রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আগমন। প্রথম ছবিতেই সারা দেশের
মানুষের মন জয় করে নিলেন তার অভিনয়, ব্যক্তিত্ব আর সুদর্শন চেহারা দিয়ে।
স্বল্প সময়ের
ক্যারিয়ারে সালমান শাহ ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেন। তার প্রায় প্রতিটি সিনেমা ব্যবসা সফল
ছিল। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে কেয়ামত থেকে কেয়ামত, তুমি আমার, অন্তরে অন্তরে,
সুজন সখী, বিক্ষোভ, স্নেহ, প্রেমযুদ্ধ, কন্যা দান, দেন মোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, আঞ্জুমান,
মহা মিলন, আশা ভালোবাসা, বিচার হবে, এইঘর এই সংসার, প্রিয়জন, তোমাকে চাই, স্বপ্নের
পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, জীবন সংসার, মায়ের অধিকার, চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়সী,
স্বপ্নের নায়ক, শুধু তুমি, আনন্দ অশ্রু উল্লেখযোগ্য।
এসব সিনেমায়
তার নায়িকা ছিলেন মৌসুমী, শাবনুর, লিমা, শাবনাজ, বৃষ্টি, শাহনাজ, শ্যামা প্রমুখ। কেয়ামত
থেকে কেয়ামত সালমানের সঙ্গে মৌসুমীর অভিনয় এবং এই জুটি পরিচিত হলেও শাবনুরের সঙ্গে
তার জুটিবদ্ধ সিনেমার সংখ্যা বেশি। এবং এই জুটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এছাড়াও টিভি
নাটকেও বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। এগুলো হলো আকাশ ছোঁয়া, দেয়াল, সব পাখি ঘরে ফিরে,
সৈকতে সারস, পাথর সময়, ইতিকথা, নয়ন, স্বপ্নের পৃথিবী (টেলিফিল্ম)।