আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সাংবাদিক বালু হত্যার বিস্ফোরক মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০০৪ সালের ২৭ জুন নগরীর শান্তিধাম মোড়ে দৈনিক জন্মভূমি কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু নিহত হন

খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি সম্পাদক, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ, নজু ওরফে রিপন, রিমন ও স্বাধীনকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আসামি পলাতক রয়েছেন।

২০০৪ সালের ২৭ জুন নগরীর শান্তিধাম মোড়ে দৈনিক জন্মভূমি কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২৮ জুন খুলনা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমদ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন আদালত।


আরও খবর



‘আকুতি করেও খোলেনি গেট, দেরিতে আসায় দেওয়া হলো না পরীক্ষা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার প্রকাশ মণ্ডলের (২৯) ইচ্ছে ছিলো শিক্ষক হওয়ার। সে স্বপ্ন পূরণে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে উপস্থিত হন মুন্সিগঞ্জের টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) কেন্দ্রে। তবে আসার পথে বিলম্ব হয়। সকাল ৯টা ৩০মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে থাকার কথা থাকলেও ৯টা ৩৫মিনিট উপস্থিত হওয়ায় প্রবেশাধিকার মেলেনি। এসময় বারবার চেষ্টা করে বিভিন্ন আকুতি করলেও গেট খোলা হয়নি।

শুধু প্রকাশই নয় শুক্রবার পিটিআই কেন্দ্রে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিলম্বে উপস্থিত হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি অনেক পরীক্ষার্থী।

শহরের দেওভোগ থেকে ৯টা ৪০মিনিটে উপস্থিত হওয়া সাজ্জাদ হোসেন (২৭), চরকেওয়ার ইউনিয়ন থেকে ৯টা ৪৫ মিনিটে আসা মো. রফিকুল ইসলাম, লৌহজং থেকে আসা সুমনসহ (৩০) বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গেটে আকুতি করতে দেখা যায়। এসময় পরীক্ষা দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন কেউ কেউ। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবকদেরও আকুতি করতে দেখা যায়।

পরীক্ষার্থী প্রকাশ মণ্ডল বলেন, রাস্তায় গাড়ির কারণে মাত্র পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছি। আমাকে সুযোগটি দিতে পারতো। গেটে অনেকবার আকুতি করলেও কারো সাড়া পেলাম না।

১০ মিনিট বিলম্বে ৯টা ৪০মিনিটে উপস্থিত হওয়া রনী ঘোষ (৩০) বলেন, এটি আমার চাকরি পাওয়ার শেষ বছর। তাই শেষ চেষ্টা করার জন্য এসেছিলাম। পথে পাঁচ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এজন্য আর হলে ঢুকতে পারলাম না।

আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, নানা কারণেই তাদের কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে এমন হবে জানলে আরও আগেই উপস্থিত হতাম।

এবিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (শিক্ষা শাখা ও আইসিটি শাখা) মুনতাসির মাহফুজ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিলো সকাল ৮টা ৩০মিনিটে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ ও সকাল সাড়ে ৯টায় প্রবেশাধিকার বন্ধের। নির্দেশনা অনুযায়ী ৯টা ৩০মিনিটে গেট বন্ধ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক পদ একটি দায়িত্বশীল জায়গা। যারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে তাদের সময়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। সময়মত কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়টিও একটি পরীক্ষা ছিলো। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতেই নির্ধারিত সময়ের পর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, এবার মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৭ পরীক্ষার্থী ছিলো। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলার ৯ কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের দিল্লি। আর দূষণমাত্রার দিক থেকে তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

বুধবার ১৯৫ স্কোর নিয়ে তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয় এবং বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর।

বৃহস্পতিবার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৭৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭০ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা এবং ঢাকার স্কোর হচ্ছে ১৬৯। এর অর্থ দাঁড়ায় এখানকার বায়ুর মানও আজ অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
বৃষ্টি কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পাথরঘাটায় দু’টি চিত্রা হরিণ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনা পাথরঘাটায় লোকালয়ে আসা দুইটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করা করেছে বন বিভাগ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯ টার সময় পাথরঘাটা উপজেলা চরদুয়ানী ইউনিয়নের বান্দাকাটা নামক এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয় ঢুকে পড়া হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়।

বন বিভাগের জ্ঞানপাড়া বিশেষ শহর টিমের ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ ওবায়দুল রহমান আজকের দর্পণকে বলেন, হঠাৎ করে সকালে দুইটি চিত্রা হরিণ সুন্দরবন থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। মানুষ দেখে হরিণ দুটি ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। এক পর্যায়ে বেরিবাদের পাশে থাকা জালে একটি হরিণ বেঁধে যায়। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় হরিণটিও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে ফরেস্ট ক্যাম্পের নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবন একেবারেই কাছাকাছি হওয়ায় হয়তো হরিণ দুটি ভুল করে খাবারের সন্ধানে এই এলাকায় এসেছে।

হরিণ দুটি দ্রুতই সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি কারণ চিত্রা হরিণ বেশি মানুষ দেখলে স্টক করে মারা যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই এলাকায় কয়েকটি সক্রিয় হরিণ চোরা কারবারি গ্রুপ আছে হয়তো তারাও এই হরিণ দুটি লোকালয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসতে পারে। তাই হরিণ রক্ষায় বন বিভাগের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।


আরও খবর



যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। নেজামকে এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা‌বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব এবং অপহৃত ম্যানেজার নেজামের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ম্যানেজার নেজাম চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সন্ত্রাসীরা ভোল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। ম্যানেজার তাদের জানায়, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর তার চোখ বেঁধে ফেলে।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা তাকে পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে র‍্যাবকে জানান নেজাম উদ্দীন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং অন্ধকারে চলার জন্য তার হাতে একটি বাটন মোবাইল সেট ধরিয়ে দেয়। এভাবে প্রথম রাত কেটে যায়।

অপহরণের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজারকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয় এবং পায়ে হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান ৩০-৩৫ জনের একটি দল ম্যানেজারকে কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে খেতে দেয়। সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন অবস্থানে ম্যানেজারকে ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সেখানেই তাকে রাখা হয়। রাতে ম্যানেজারকে ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে সদ্য রান্না করা ভাত খেতে দেয়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা নিজেদের মধ্যে বম ভাষায় কথা বললেও ম্যানেজারের সাথে কথা বলার সময় তারা শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করতো।

সূত্র জানায়, ২-৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেজামকে সবসময় ঘিরে রাখতো। এছাড়া ১২-১৩ জনের একটি গ্রুপ তার আশেপাশে অবস্থান করতো। দ্বিতীয় দিন বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি মাচাং ঘরে (টং ঘর) কড়া সশস্ত্র প্রহরায় ম্যানেজারের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নেজামকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং তিনি যেন প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা না নেন, সে বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

পরিবারের সাথে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ফোন কলের সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে র‌্যাবের যোগাযোগ।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রুমা উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে তাদেরকেও র‌্যাবের একটি গাড়িতে চড়িয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে আসা হয় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




নয় জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, নিহত ১৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পিরোজপুর পৌরসভার পালপাড়া ও সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমরিতলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ের তাণ্ডবে নলবুনিয়া গ্রামের খালে পড়ে মৃত কানাই লাল পালের ছেলে অনিল পাল (৮২) মারা গেছেন।

ঝড়ের সময় কানাই লাল গ্রামের একটি বাজারে ছিলেন। ঝড়ের গতি বাড়তে থাকায় এ সময় তিনি বাড়িতে রওনা দিলে প্রচণ্ড বাতাসে তিনি খালে পড়ে নিখোঁজ হন। ঝড় থামলে পরে স্থানীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় খাল থেকে উদ্ধার করে। অপরদিকে, ঝড়ের সময় শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে রুবী বেগম (২২) নামে এক নারী নিহত হন। এসময় তার শিশু কন্যা গুরুতর আহত হলে তাকে খুলনায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঝড়ে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপরে পড়ে ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচা ঘর-বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রাস্তায় কাজ করছে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, হঠাৎ ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ২ জন নিহত হয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু ঘর-বাড়ি। রোববার বেলা ১১টার দিকে লালমোহনে হঠাৎ করেই বইতে শুরু করে ঝড়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে ঝড়ের তাণ্ডব। এতে ঘর চাপা পড়ে ও বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘর চাপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

একই সময় বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে দুই জনের প্রাণহানিসহ এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

অপরদিকে, বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার তিন শতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হলে এ ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে তিনজন আহত হয়েছে। সবাইকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পূর্ব সোনারচর গ্রামে।

এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিনশেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ২নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশ ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ে রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রাতুলের বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামে। বাবার নাম জহির সিকদার। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন। আর সুফিয়া বেগমের বাড়ি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে। তার স্বামীর নাম মৃত আহম্মেদ প্যাদা। ঘরের উপর গাছ চাপা পরে তিনি নিহত হন। এছাড়াও ঝড়ে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থকে ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে কাঁচা বাড়ি-ঘর, গাছ গাছালি উপরে গেছে। বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত ও কয়েক হাজার গাছগাছালি উপরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বিরামহীনভাবে বজ্রপাত হয়েছে। বাউফল পৌর শহরের থানার সামনে ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার একটি ভবনের টিনের চালা উপড়ে রাস্তায় পরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গোসিংগা গ্রামের আফসেরের গ্রেজ এলাকায় ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে মা সাবিহা (৩০), তার মেয়ে ইভা (১২) ও দুই বছর বয়সি শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে ও বেশ কয়েকটি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে বাগেরহাটে আকস্মিক ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্নস্থানে কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আকস্মিক ঝড় চলাকালে জেলার কচুয়া উপজেলার চর সোনাকুড় গ্রামে বজ্রপাতে আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩৫) নামে মাদরাসার দপ্তরি নিহত হয়েছেন।

এছাড়া জেলা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ডের টাওয়ার ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহীবাসেরওপর পড়ে এক বাস শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন জানান, আকস্মিক ঝড়ে বাগেরহাটের দেড় শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বজ্রপাতে সাজেউ খিয়াং (৪৮) নামে একজন নিহত গেছেন। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

সাজেউ খিয়াং রাজস্থলী উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ধনুছড়ি পাড়া গ্রামের  অংসাউ খিয়াং এর ছেলে। বিকেলে ধনুছড়ি পাড়া গ্রামের নিজের বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন সাজেউ খিয়াং। এ সময় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি নিজের ঘরে অবস্থান নেন। তখন ঘরে বজ্রপাত হলে মারা যান তিনি।

রাজস্থলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঝালকাঠি জেলার দুই উপজেলায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

মৃতরা হলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকার মৃত আলম গাজীর স্ত্রী গৃহিনী হেলেনা বেগম, সদর উপজেলার শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী গৃহিনী মিনারা বেগম ও পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া আক্তার ঈশান। ঝড়ের আধা ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডবে ঝালকাঠির চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর, দোকানপাট, বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে শেখেরহাট এলাকায় মিনারা বেগম নামে এক নারী এবং পোনাবালিয়া এলাকায় মাহিয়া আক্তার ঈশান নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে।

কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, বজ্রপাতে কাঁঠালিয়া উপজেলার মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে হেলেনা বেগম নামে আরেক নারী নিহত হয়েছেন।

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে মো. ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৯) নামের এক মৎস্যচাষি নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়ার কোমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওবায়দুল্লাহ গাজী ওই গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে। ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ফুফাতো ভাই আবু সুফিয়ান বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওবায়দুল্লাহ পাশের কানাইডাঙ্গা বিলে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরে বজ্রপাতে শহীদ মিয়া (৫২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার রাজঘাট হাওরে বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে।

শহীদ মিয়া উপজেলার মেন্দীপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। নিহতের ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের সামনে রাজঘাট হাওরে মরিচ ক্ষেতের পরিচর্যা করছিলেন তার ভাই। দুপুরের দিকে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় ধান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটেছে। ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য পোদাউলিয়া গ্রামের জাহান আলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আব্দুল মালেক উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলি পাটোয়ারীর ছেলে।

নিউজ ট্যাগ: কালবৈশাখী ঝড়

আরও খবর