আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সাংবাদিক নাদিম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

নির্ভিক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। 

হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ জলিল, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল, জামালপুর টেলিভিশন রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম, জামালপুর সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সভাপতি অজয় কুমার পাল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক রমেন বনিক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মাহমুদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, নির্ভিক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ছিল বকশীগঞ্জের তথাকথিত রাজনৈতিক ব্যক্তি সন্ত্রাসী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাদের এই শাস্তি সম্পূর্ণ করার দাবিও জানান। 

জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ জলিল বলেন, আমরা প্রখর রোদে দাড়িয়ে আজ আন্দোলনে নেমেছি। সাংবাদিকরা হলো এই সমাজের বিবেক, সমাজের দর্পণ। সেই দর্পণ যদি ঘোলা হয়ে যায়, তাহলে সমাজও ঘোলা হয়ে যাবে। কাজেই সাংবাদিকদের যারা মুখ, চোখ বন্ধ এবং হত্যার করার চেষ্টা করছে তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে যারা এ কাজে উৎসাহিত করছে সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে তারা এই সমাজকে বিব্রত করছে। জামালপুরের শান্ত পরিবেশকে দুই একটি ঘটনায় কলঙ্কিত করেছে। সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডে শুধু জামালপুরে নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছে। কাজেই সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল বলেন, একজন সাংবাদিকের প্রাণহানির মধ্যদিয়ে জামালপুরসহ গোটা বাংলাদেশে আজ কলঙ্কিত হয়েছে। জামালপুর একটি শান্তিপ্রিয় শহর। জামালপুরের ইতিহাসে এই প্রথম সাংবাদিক নাদিমের রক্তে রঞ্জিত হয়ে আমাদের পবিত্র মাটি আজ কলঙ্কিত হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বোঝা যায় জামালপুরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক নয়। গত একমাসে জেলায় হত্যাকাণ্ড, নারী ধর্ষণ, নির্যাতনসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে এবং শিশু পর্যন্ত রেহাই পায়নি। আমরা যখন সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ করছি ঠিক সেই মুহুর্তে জামালপুর সদরের শরিফপুরে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনার পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায় জামালপুরের আইনশৃঙ্খলা অবস্থার কি পরিস্থিতি।

তিনি আরও বলেন, নাদিম হত্যাকাণ্ডকে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ একটি গণমাধ্যমে অত্যন্ত বেদনাদায়ক পরিহাসমূলক অর্বানীন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এই হত্যাটি হত্যার উদ্দেশ্যে করা হয়নি। তাকে মারা হয়েছিল সতর্ক করার জন্য। একজন পুলিশ সুপার দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন বক্তব্যে আমরা সংগতভাবেই বলতে পারি এই মামলাকে নিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাতি করার চেষ্টা চলছে। তিনি পুলিশ সুপারের এমন বক্তব্য প্রত্যাহার এবং দু:খ প্রকাশ করার আহ্বান।

 অপদিকে বেলা ১২ টায় জামালপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে কর্মরত সাংবাদিক, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার সময় পাটহারি মোড়ে ওতপেতে থাকা ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে। হামলায় সাংবাদিক গোমাল রব্বানী নাদিম গুরুতর আহত হয়। পরে  স্থানীয় সাংবাদিক ও পথচারীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে রাতেই তাকে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি আনুমানিক আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর



৮০ শতাংশ মানুষ নৌকায় ভোট দিতে চায়: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের বেশিরভাগ মানুষ নৌকায় ভোট দিবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের রোড ম্যাপ হয়েছে গেছে। আমরা নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ নৌকায় ভোট দিতে চায়।

শনিবার বিকালে মেহেরপুরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ হোসেন বলেন, কোন ষড়যন্ত্র নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। কেউ যদি সেই শান্তি নষ্ট করতে চায় তাহলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বাংলাদেশ এখন মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পদ্মাসেতু ও পরমানু বিদ্যুৎতের দেশ। বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।

বর্তমান সরকারের অবদান তুলে ধরে ফরহাদ হোসেন বলেন, যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, ডানে বামে সামনে পিছনে সব খানেই শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। সামনে আরও পরিকল্পনা আছে। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সহ সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল হালিম, জহুরুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট রুতশোভা মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আদিব হোসেন আসিফসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রিহ্যাবে নেয়া হয়েছে গায়ক নোবেলকে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কণ্ঠশিল্পী মইনুল হাসান নোবেলকে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (রিহ্যাব) নেওয়া হয়েছে। ক্রমেই মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকার নিকটবর্তী একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেওয়া হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নোবেলের পারিবারিকসূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কিছুদিন আগেই নোবেল কুড়িগ্রামে একটি কনসার্টে গিয়ে মাতাল অবস্থায় মঞ্চে ওঠেন। সেখানে জড়ানো কণ্ঠে গান গাইতে শুরু করলে দর্শক-শ্রোতারা পানির বোতল ছুঁড়তে শুরু। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় হয়।

আরও পড়ুন>> গায়ক নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

সম্প্রতি খুলনা থেকে এক তরুণীকে নিয়ে আসেন বলে জানা যায়। পরিবার ওই তরুণীকে নিতে ঢাকায় এলে নোবেলের সঙ্গে তাকেও মাদক সেবন করতে দেখেন। বিষয়টি ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন তরুণীর স্বামী। সম্প্রতি মেয়েটি খুলনায় ফিরে গিয়েছেন।

জানা গেছে, তরুণীর স্বামী ও ভাই নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এর থেকে বাঁচার জন্যই তাকে রিহ্যাবে নেওয়া হয়েছে এমনটাও বলছে অপর একটি সূত্র।


আরও খবর



গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন দৃশ্যমান : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়নটা এখন দৃশ্যমান। আর বিএনপির কাজ হচ্ছে ধ্বংস করা আর আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় বিএনপি ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার তা চালু করেছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। বিএনপির কাজই হচ্ছে ধ্বংস করা। বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারাই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের কাজ।

খুলনাবাসীকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খুলনায় আওয়ামী সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। তারপরও আজ যেগুলো উদ্বোধন করা হলো সেগুলো খুলনাবাসীর জন্য উপহার।

এর আগে বেলা পৌনে ৩টায় খুলনায় সার্কিট হাউস মাঠে খুলনায় ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা।

এদিন সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিছিল-স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকা। নগরজুড়ে সাজ সাজ রব।

এদিকে জনসভাস্থল ও তার আশপাশের এলাকায় মানুষের চাপ নিয়ন্ত্রণে ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মহানগরীতে বসানো হয়েছে ২০টি ডিজিটাল এলইডি স্ক্রিন।

জনসভা এলাকার চারদিকে বসানো হয়েছে এ স্ক্রিনগুলো। এ ছাড়া ৪০০টি মাইক স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে খুলনা নগরীকে।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পিংকু বিজয়ী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু (নৌকা) প্রতীকে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮শ ৪৬ ভোট।

নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জাকের পার্টির শামসুল করিম খোকন গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১২৬ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আম প্রতীকে পেয়েছেন ৫১৩ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন রাত ৮ টায় লক্ষ্মীপুর টাউন হলে ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আরও পড়ুন>> লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

আসনটিতে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন ভোটার রয়েছ। যার মধ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৬১২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছে রির্টানিং অফিসার।

এদিকে ভোট চলাকালীন রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মারা যান। তার মৃত্যুতে ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। মোট ১১৫ টি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



হরতাল-অবরোধের কথা শুনে হনুমানও ভেংচি কাটে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কেউ মানছে না বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মধ্যে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুই দিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের তত্ত্বাবধানে এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ও দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুল-ঘর পোড়ায়, ওরা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচিও এগুলো নয়। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, তাদের অনুকরণে বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাজনীতির নামে পেট্রোলবোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস দুনিয়ার কোনো জায়গায় হয়নি। আমরা যখন পাকিস্তান কিংবা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে বহু মিছিল গেছে, এসেছে। এ দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন কিংবা জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা হয়নি। যেটি বিএনপি-জামায়াত করেছে। সুতরাং এরা দেশ-জাতি এবং সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনা ও জঘন্য জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

আরও পড়ুন>> ইইউ না দিলেও এককভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কী অপরাধ করেছে? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে; কেউ আগুনসন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এ রকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দেবেন। তাহলে এদের নির্মূল করা সম্ভব হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য গত ১৪ জুন বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে এখানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের চিত্রগুলো ভাঙচুর করা হয়। তারা ভাঙচুর করে শুধু ক্ষান্ত হয়নি, ভাঙচুর করার সময় তারা উল্লাসও করেছে। অর্থাৎ এগুলো ধ্বংস করে তারা উল্লসিত হয়েছে। আজকে আবার সেগুলোকে নতুন আঙ্গিকে স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল?

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩