আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সাংবাদিক নাদিম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

নির্ভিক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। 

হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ জলিল, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল, জামালপুর টেলিভিশন রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম, জামালপুর সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সভাপতি অজয় কুমার পাল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক রমেন বনিক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মাহমুদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, নির্ভিক সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ছিল বকশীগঞ্জের তথাকথিত রাজনৈতিক ব্যক্তি সন্ত্রাসী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাদের এই শাস্তি সম্পূর্ণ করার দাবিও জানান। 

জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ জলিল বলেন, আমরা প্রখর রোদে দাড়িয়ে আজ আন্দোলনে নেমেছি। সাংবাদিকরা হলো এই সমাজের বিবেক, সমাজের দর্পণ। সেই দর্পণ যদি ঘোলা হয়ে যায়, তাহলে সমাজও ঘোলা হয়ে যাবে। কাজেই সাংবাদিকদের যারা মুখ, চোখ বন্ধ এবং হত্যার করার চেষ্টা করছে তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে যারা এ কাজে উৎসাহিত করছে সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে তারা এই সমাজকে বিব্রত করছে। জামালপুরের শান্ত পরিবেশকে দুই একটি ঘটনায় কলঙ্কিত করেছে। সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডে শুধু জামালপুরে নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছে। কাজেই সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল বলেন, একজন সাংবাদিকের প্রাণহানির মধ্যদিয়ে জামালপুরসহ গোটা বাংলাদেশে আজ কলঙ্কিত হয়েছে। জামালপুর একটি শান্তিপ্রিয় শহর। জামালপুরের ইতিহাসে এই প্রথম সাংবাদিক নাদিমের রক্তে রঞ্জিত হয়ে আমাদের পবিত্র মাটি আজ কলঙ্কিত হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বোঝা যায় জামালপুরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক নয়। গত একমাসে জেলায় হত্যাকাণ্ড, নারী ধর্ষণ, নির্যাতনসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে এবং শিশু পর্যন্ত রেহাই পায়নি। আমরা যখন সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ করছি ঠিক সেই মুহুর্তে জামালপুর সদরের শরিফপুরে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনার পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায় জামালপুরের আইনশৃঙ্খলা অবস্থার কি পরিস্থিতি।

তিনি আরও বলেন, নাদিম হত্যাকাণ্ডকে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ একটি গণমাধ্যমে অত্যন্ত বেদনাদায়ক পরিহাসমূলক অর্বানীন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এই হত্যাটি হত্যার উদ্দেশ্যে করা হয়নি। তাকে মারা হয়েছিল সতর্ক করার জন্য। একজন পুলিশ সুপার দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন বক্তব্যে আমরা সংগতভাবেই বলতে পারি এই মামলাকে নিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাতি করার চেষ্টা চলছে। তিনি পুলিশ সুপারের এমন বক্তব্য প্রত্যাহার এবং দু:খ প্রকাশ করার আহ্বান।

 অপদিকে বেলা ১২ টায় জামালপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে কর্মরত সাংবাদিক, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার সময় পাটহারি মোড়ে ওতপেতে থাকা ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে। হামলায় সাংবাদিক গোমাল রব্বানী নাদিম গুরুতর আহত হয়। পরে  স্থানীয় সাংবাদিক ও পথচারীরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে রাতেই তাকে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি আনুমানিক আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক সচিব ও পিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার ও সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বরগুনার তালতলীতে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে তালতলী প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার এসএ ৬২, ৭২ ও ৪০৩ খতিয়ানের ২৪ একর ৭৩ শতাংশ জমি রাখাইনদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রের মালিক আমার দাদা মো. আঃ আজিজ ও আমার পিতা মো. শাহ আলম। ক্রায়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করি। হঠাৎ ওই জমি থেকে ৯ একর ২০ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মিহিরকান্তি মজুমদার, তার তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এডিশনাল আইজি.পি বনজ কুমার মজুমদার। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা চালায়। জমি দখলে নেওয়ার জন্য ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে আমাকে তাদের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় সোহেল, জুয়েল, সজিব, ফারুক খান, মাসুমের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা করে হাত, পা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমি জমি চাষাবাদ করতে গেলে তাদের লালিত সন্ত্রাসী আমতলী পৌরসভার সাবেক কমিশারন জুয়েল, ও স্থানীয় বাসিন্দা নুরুজ্জামান, ফারুক খান, সোহেল, জুয়েল গং চাষাবাদে বাধা দেয়। এবং আমাকে ও আমার পরিবারে সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।

এছাড়াও সাবেক সচিব মিহিরকান্তি মজুমদার, তাহার স্ত্রী ডঃ গিতা রানী ও তাহার ভাই বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজিপি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকার ফুলমিয়া মুন্সী ও ফরিদা বেগম এর জমি দখল করে ড. এম. কে মজুমদার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির জমি দখল ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সাবেক সচিব মিহির কান্তি মজুমদার মুঠোফোনে বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো ভূয়া দলিল বানিয়ে মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলন করছে। ৬০ বছরে কোনো খবর নেই। এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশপাশের কমপক্ষে ২৫টি গ্রামে। পানির তোড়ে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে গেছে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। একপর্যায়ে আখাউড়া স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ২৫টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু।

এর আগে, মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।

আরও পড়ুন>> বিমানবন্দরে সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আটক

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারত থেকে পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইউএনও জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় শিক্ষার্থীদের একটি দল সেনাবাহিনী ও ইউএনওর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে তারা আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিচারপতি মানিক, নেওয়া হবে কারাগারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে মেডিক্যালের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দেয় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর সুযোগ বুঝে খুবই সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হবে বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র।

মেডিক্যাল বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্রী বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এখন সুস্থ। তিনি এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন। সেজন্য তার সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সব প্রস্তুতি শেষে তাকে বিকালের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি জানান, মূলত শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সাধারণ কেবিনে দেওয়া হয়েছিল।

তবে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার দুপুরে  বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা আমাকে জানায়নি। তবে গত দুদিন আগে সাবেক বিচারপতি মানিককে বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে আমাকে বলা হয়েছিল।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে সাবেক বিচারপতি মানিককে আজ বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দেওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাকে কোথায় নেওয়া হবে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে তাকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সিলেট কারাগারে নিয়ে আসা হবে।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন (কারা হাসপাতাল) ডা. মো. ইনামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, কয়েদি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে (৭৪) ইনজুরি আউটসাইড অবস্থায় সতর্কতার সঙ্গে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করতে সুপারিশ করা হয়।

কারা সূত্র জানায়, ঢাকার আদাবর থানায় পোশাকশ্রমিক হত্যার ঘটনায় করা মামলায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে শুনানির দিন গত ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেদিন তাকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ড তাকে ছাড়পত্র দেয়নি।

এ ছাড়া গত বুধবার (২৮ আগস্ট) তাকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই কেবিনটি প্রিজন সেল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

জানা যায়, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে গত ২৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী ও আইনজীবী শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং লাঞ্ছিত করেন। সেখান থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রিমান্ড শেষে কারাগারে ইনু-মেনন-পলক-মামুন

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফরিদপুরে সংঘর্ষ: হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চান শামা ওবায়েদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির পদ স্থগিত নেতা শামা ওবায়েদ। হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

রোববার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন শামা ওবায়েদ।

শামার বিবৃতিতে বলা হয়, দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব মেনে চলছি। আমি শামা ওবায়েদ, স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমার অবস্থান তুলে ধরছি।

প্রথমত, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের জন্মস্থান এবং আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সাংগঠনিকভাবে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত তাকে আমি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। ২৪ আগস্ট আমাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষ এবং পরবর্তী মামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই আমি।

দ্বিতীয়ত, গেলো ১৮ বছর আওয়ামী লীগের সময় গুম, খুন, জেল, জুলুমসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এখনও চলমান। গেলো জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণহত্যাকে উপেক্ষা করে ছাত্রজনতা ও গণতন্ত্রকামী সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রবল প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যায়। যার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করে। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে দেশি-বিদেশি সবার সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত আছে।

রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন তা এখনও শুকায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্মস্থান তথা আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দা সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখনও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোই এখন আমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা।

এখানে কোনো রাজনৈতিক বিভাজন, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মনোনয়ন বিজয় তোরণ নির্মাণ বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তারে শোডাউন কাম্য নয়।

গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি পালন করে যাচ্ছি। ২১ আগস্টের সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও নামসহ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সংঘর্ষকারীদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।

তৃতীয়ত, দেশে বিদেশে অবস্থানরত আমার শুভানুধ্যায়ীদের নানা ধরনের উৎকণ্ঠা, উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে আমার নিজের অবস্থান তুলে ধরলাম। সবাইকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ১/১১ এর অবৈধ সরকারের নির্যাতনের শিকার গুরুতর আহত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্য, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রামরত সব পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সর্বোপরি বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পর্ক রক্তের।

যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দল নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সচেষ্ট থাকবো।

নিউজ ট্যাগ: শামা ওবায়েদ

আরও খবর



শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার অভিযোগকারী আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থা গতকাল রাত থেকে তদন্ত শুরু করেছে।

এর আগে গতকাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম এই আবেদন দায়ের করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বাগেরহাটের আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবিরের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই আবেদন করেন। একই অপরাধে ব্যক্তির পাশাপাশি দল এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে আবেদনে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এছাড়াও আছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো.হারুন অর রশিদ। পাশাপাশি নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও  ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তা, সদস্যদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪