আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার এলাকায় গুলিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। তবে পুলিশ সেটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হিসেবে নিয়েছে। অভিযোগপত্রে ৮-১০ অজ্ঞাত পুলিশকে অভিযুক্ত করেছেন তোরাবের বড় ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর আহমদ)। এ সময় সিলেট প্রেসক্লাবসহ প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন শিপন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেটির তদন্ত চলছে। বুধবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত অভিযোগটি আমরা রেখেছি এবং জিডি হিসেবে রেকর্ড করেছি।

এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, কার এবং কোন দিক থেকে আসা গুলিতে বিদ্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন, এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। এখনই নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিবারের লিখিত অভিযোগ ও পুলিশের মামলাকে সমন্বয় করে তদন্ত এগুচ্ছে।

বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় সিলেটের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তুরাবের বড় ভাই আবুল হাসান। অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন শিপন।

অভিযোগে আবুল হাসান উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মহানগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন তুরাব। এক পর্যায়ে বিএনপির মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পিছনে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। মিছিলটি পুরানলেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিকে অবস্থান নেয়। ওই সময় হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনা যায় এবং তুরাব চিৎকার করে মটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন সহকর্মী ও পথচারীরা তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মহানগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় সে মৃত্যুবরণ করে।

গোলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে বলে আবুল হাসান অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন এবং অজ্ঞাত ৮-১০ জন পুলিশকে অভিযুক্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, এটিএম তুরাব দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদের ষ্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: কোটা আন্দোলন

আরও খবর



সাবেক আইজিপি মামুনের ৮ ও শহীদুলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিন ও শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে তাদেরকে আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিন ও শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে উত্তরা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) রেজাউল করিম মল্লিক নিশ্চিত করেছিলেন।

সাবেক এই দুই আইজিপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আবদুল্লাহ আল মামুন আইজিপি ছিলেন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ৬ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। আর শহীদুল হক ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন।


আরও খবর



নতুন জনপ্রশাসন সচিব মোখলেসুর রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মো. মোখলেসুর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে এ পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী মো. মোখলেসুর রহমানকে যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ০২ (দুই) বছর মেয়াদে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করার আহ্বান তারেক রহমানের

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিএনপির নেতাকর্মীদের ইনসাফ ও উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি আমার স্পষ্ট বার্তা, জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন।

বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক ভিডিও বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা কিংবা বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে দেশ এবং জনগণের স্বার্থ সমুন্নত রেখেছে দলটি। এ কারণেই শত প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়েও দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ আর অসংখ্য ছাত্র-জনতার নিদারুণ যন্ত্রণাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তবে গণঅভুত্থানের সাফল্য এবং সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিতে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি সতর্ক থাকলে বাংলাদেশকে আর বিপথে নেওয়া যাবে না। আর পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

তারেক রহমান বলেন, ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৫ বছরের অনাচার অবিচার জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় স্থাপনা গণভবন ছিল দেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী স্মারক। গণভবন বর্তমানে স্বৈরাচারী হাসিনার দুর্নীতি দুঃশাসন, অনাচার, অপকর্মের প্রতীক। এরই মধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে এ গণভবনকে গুম খুন অপহরণ এবং গণহত্যার মিউজিয়াম হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। ২০০৯ সালের পিলখানায় সেনাহত্যা থেকে শুরু করে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৮, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সময় গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ২০২৪ সালে গণঅভুত্থানে শহীদ এবং গুম হওয়া মানুষদের স্মৃতিগুলো এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশে আর কোনো শাসক যাতে স্বৈরাচারী হাসিনার মতো বর্বরোচিত পথ অনুসরণ না করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এ মিউজিয়াম সে বার্তাই বহন করবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের দল বিএনপি মনে করে রাষ্ট্র সংস্কারকে কার্যকর করতে হলে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। সে লক্ষে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি দলীয় রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিএনপি সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সমন্বয় করা পরপর দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন এমনকি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয়ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছে। আমি মনে করি বিএনপি মনে করে জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হলে সেটি বেশি কার্যকর বলেও জনগণ বিশ্বাস করে।

নিউজ ট্যাগ: তারেক রহমান

আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




স্বাধীন কমিশন গঠন করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০০৯ সালে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এজন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনেরও দাবি তাদের।

সোমবার (১৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে দলের দুই শীর্ষনেতা বলেন, ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার বিয়োগান্তক ঘটনাটি যে দেশ ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, তা ভিক্টিমদের কথায় আবারও উঠে এসেছে।

তারা বলেন, সেদিন ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সাহসী সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারান। বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে এত বেশি সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার নিহতের ঘটনা আর কখনও ঘটেনি।

এর আগে, তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি জানান। রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, অনেক দেশপ্রেমিক, সাহসী সেনা কর্মকর্তা বিচার চাইতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক কর্মকর্তার জেল হয়েছে, জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একটি কমিশন করা হোক। যেসব নির্দোষ সৈনিক জেলে আছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেওয়া হোক। গত ১৫ বছরে যে তদন্ত হয়েছে, সেটি তিনি মানেন না। বলেন, স্বাধীন তদন্ত কমিটি করা হলে আরও অনেকের নাম আসবে। পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার স্ত্রী ও স্বজনরাও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। সেদিন বিডিআরের কয়েকশ সদস্য পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালান। প্রায় দুই দিনব্যাপী চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঝিনাইদহের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

সারা দেশের ন্যায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের ফ্যামিলি জোন রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর জেলার বিভিন্নস্থানে হানাহানি, দখল, বাড়িঘর ভাংচুরসহ নানা নৈরাজ্য সংগঠিত হচ্ছে। এমন ক্ষয়ক্ষতিতে ছাত্রসমাজ দারুন ব্যথিত। বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য এ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। জেলায় নৈরাজ্য ঠেকাতে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ। সকল অনৈতিক কর্মকান্ড ছাত্ররা পর্যবেক্ষণ করছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জনগনের নিকট জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও চলমান সংকটে জনমানুষের নিরাপত্তায় অনতিবিলম্বে পুলিশের দায়িত্বে ফেরার আহবান জানান সমন্বয়করা।

সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এলমা খাতুন, আবু হুরাইরা, রিহান হোসেন, শারমিন সুলতানাসহ ১০ সমন্বয়ক ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন আরো বলেন, এ দেশের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারে মানবিক ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে এ আন্দোলনে সফল হয়েছে। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের রাজপথে থেকে তৎকালীন স্বৈরাশাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চলামান রেখেছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আপনার আমাদের এই আন্দোলনে ক্যামেরার পিছন থেকে, আবার কেউ কলম দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামকে সফলতায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রাজনৈতিক সংগঠনের আজ্ঞাবহ না থেকে জনগণ ও আমাদের পাশে আপনারা থাকবেন বলে আমরা আশা করছি।


আরও খবর