ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ওপেন করতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চার নম্বরে নেমে একই পথে হাঁটলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টিকে থাকার ম্যাচে বাংলাদেশ গড়ল রেকর্ড সংগ্রহ।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রবিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ইতিহাসে যা তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে এটি। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছে টাইগাররা। সুপার ফেরের আশা জিইয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
এমন ম্যাচে দারুণ খেললেন শান্ত ও মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৯৪ রানের জুটি উপহার দিয়েছেন তারা। মিরাজ রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ায় এই জুটির ছেদ পড়ে।
মাঠ ছাড়ার আগে মিরাজ ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলেছেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। শান্ত ১০৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ১০৪ রান। দুজনই পেয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আর ওয়ানডেতে এনিয়ে পঞ্চম বারের মতো একই ম্যাচে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার পেলেন সেঞ্চুরি।
শেষ দিকে সাকিব আল হাসান ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেছেন। ৪টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছে তিনি। মুশফিকুর রহিম খেলেন ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস।
এ ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন ও হাসান মাহমুদকে সুযোগ দেওয়া হয়।
ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে খেলতে নামেন মিরাজ। এই পরিকল্পনা বেশ বাজেও দেয়। নাঈম ও মিরাজ উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬০ রান।
নাঈম শুরু থেকেই দারুণ খেলছিলেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ বলে মুজিব উর রহমানের গুগলিতে বোল্ড হন তিনি। ৩২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন। তিন বল পরই তাওহিদ হৃদয়কে হারায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়েছিলেন হৃদয়। উঠে এসেছিলেন চার নম্বরে। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি এই ব্যাটার। গুলবাদিন নাইবের বলে স্লিপে হাশমতউল্লাহ শহীদিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শূন্য রানেই। তাতে ১০.৩ ওভারে দলীয় ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মিরাজ ও শান্ত ধাক্কা সামলে দারুণ এক জুটি উপহার দেন। এশিয়া কাপের যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডটা এখন তাদের। আগের সর্বোচ্চ ছিল ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০, ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১০ সালে।
শান্ত-মিরাজ জুটিতে ভর করে এশিয়া কাপে দলীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহও পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২০১৪ সালে। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩২৬ রান করেও অবশ্য হেরেছিল বাংলাদেশ।
আর আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৪ উইকেটে ৩০৬। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল ৮৮ রানে।