দেশবাসী ও বিশ্বের
নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি
মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইজতেমার প্রথম পর্ব।
আজ রোববার টঙ্গীর
তুরাগ নদীর তীরে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়,
যা শেষ হয় প্রায় ২৫ মিনিট পর। এ সময় তুরাগ তীরসহ আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।
আখেরি মোনাজাত
পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের কাকরাইলের শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।
মোনাজাতের সময় যে যেখানে দাঁড়িয়ে বা বসেছিলেন সেখান থেকে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে।
অনেকে কান্নায় বুক ভাসান। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের
কারণে দেশ-বিদেশের আরও কোটি মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে।
এদিন আখেরি
মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মানুষজন ইজতেমা ময়দানের
উদ্দেশে রওনা হন। তবে অনেকে ময়দানে পৌঁছাতে না পেরে রাস্তায় দাঁড়িয়েই মোনাজাতে অংশ
নিয়েছেন। অনেকে অংশ নিয়েছেন খোলা মাঠ, যানবাহন, বহুতল ভবন ও বাসার ছাদ থেকে। আবার মোনাজাতে
অংশ নিতে আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানের আশপাশে আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান নিয়েছেন অনেকে।
আখেরি মোনাজাত
উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। এ ছাড়া
উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুরসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট,
বিপণিবিতান, অফিসসহ সবকিছু ছিল বন্ধ।
ধারণা করা হয়,
হজের পরেই মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় জমায়েত হয় বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। আগামী ২০ জানুয়ারি
শুক্রবার বাদ ফজর ফের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব
এবং একইভাবে আগামী ২২ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের
বিশ্ব ইজতেমা।
উল্লেখ্য, গত
১৩ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম
পর্ব।