‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’–এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব
পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে দেশজুড়ে চারা বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে দেশের বেসরকারি খাতে
পরিচালিত সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’।
বর্তমানে ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজশাহী, লালমনিরহাট, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও নোয়াখালীসহ (ভাসানচর) দেশজুড়ে ২২টিরও বেশি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে ‘বনায়ন’ প্রকল্পের কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: হজের পূর্ণ পরিকল্পনা প্রকাশ সৌদির
বাংলাদেশ সরকারের
সঙ্গে একযোগে পরিবেশ দিবসে বনায়ন ২০২৩ সালে ৫০ লাখ গাছের চারা বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় বনায়ন উদ্যোগের এই যাত্রার ৪৩ বছর পূর্ণ হয়েছে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে।
বন বিভাগের দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে বনায়ন প্রকল্পের যাত্রা
শুরু হয়।
এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশজুড়ে ১৮টির বেশি নার্সারিতে এই চারাগুলো তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখতে এই কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক ও অংশীজনদের এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি বনজ, ফলজ ও ঔষধি জাতীয় গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতাকে ‘বহিষ্কার’
এই কর্মকাণ্ডকে
আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কৃষকদের সহযোগিতায় ‘বনায়ন’ ১১৯টির অধিক ঔষধি বাগান তৈরি করেছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) অর্জনে সরাসরি
অবদান রাখছে বনায়ন। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বৃক্ষ দ্বারা
আচ্ছাদনে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এই উদ্যোগ। বৃক্ষরোপণের
ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ‘বনায়ন’ বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার পেয়েছে।
সবুজ বাংলাদেশ
গড়ে তুলতে ‘বনায়ন’ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, বর্ডার
গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
ও সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে।