গত
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩ হাজার ৪৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬৮
মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবান জেলায়। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো
হয়েছে।
পূর্বাভাসে
জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা
থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি
ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
কমবে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
সমুদ্রবন্দরের
সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩
নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত
মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি অবস্থানে
থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যা আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। বাপাউবো জানায়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে উক্ত সময়ে এ অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ঝালুখালি, ভোগাই-কংশ, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা) পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংস্থাটি
জানায়, আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য
অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪
ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায় এই সময় এ অঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর (মুহুরী,
ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু এবং মাতামুহুরী) পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চলের
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।