আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে পেট্রোল পাম্পের মালিকদের একাংশ ধর্মঘটে যাচ্ছে।
ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখতে এ হরতাল ডাকে তারা। বিপিসির সঙ্গে সমঝোতা
না হওয়ায় এই ধর্মঘট হচ্ছে। তবে মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে থাকা অন্য অংশ ধর্মঘট
প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
মালিকরা বলছেন, ডিজেলের দুই ভাগ, পেট্রোলের তিন ভাগ এবং অকটেনের চার ভাগ কমিশন
বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা
করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া পুরনো ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বাড়াতে
হবে।
হরতাল আহ্বানকারী অংশ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন
না করে শুধু সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সৎভাবে বেঁচে থাকার
দাবি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে
এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
ধর্মঘট প্রত্যাহার জানিয়ে অন্য অংশ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প
ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি
মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, মহাসচিব
জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিন পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জায়েদ
আহমেদ তপন ও হুমায়ুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সিলেট বিভাগসহ বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স
অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের উপস্থিতিতে গত ২৯ আগস্ট
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে পেট্রোল পাম্প
মালিকদের সব দাবিদাওয়া বাস্তবায়নে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের
মধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব ধরনের দাবিদাওয়া পূরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আশ্বস্ত
করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলো।
মালিক সমিতির একাংশের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, তারা ধর্মঘটে যাবেন।
এই ধরনের আশ্বাস ২০২০ সাল থেকে তাদের দেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, তারাই বৃহত্তর অংশ।
ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের একাংশের মালিক-শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে
রয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের সদস্য সাড়ে চার হাজারের মতো। আজ তাদের সঙ্গে বিপিসির কোনও
বৈঠক হয়নি বলে জানান তিনি।
অন্য অংশ ধর্মঘট থেকে সরে গেছেন, এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন,
তারা ধর্মঘট ভেঙে দেখাক পারলে। এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাত ৯টার পর তাদের একটি
দাবি ‘কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করা’ মেনে নিয়ে
গ্যাজেট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে কি ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে কি না, জানতে চাইলে মিজানুর রহমান রতন বলেন, শুধু
একটি দাবি মেনে নিয়েছে। মোট দাবি তিনটি। প্রধান দাবি উপেক্ষিত। সবার সঙ্গে কথা বলতে
হবে। রাতের মধ্যে যোগাযোগ করা কঠিন, কাল ধর্মঘট থাকবে। হয়তো পরশু থেকে প্রত্যাহার হতে
পারে।