আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সারাদেশের কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি ২১৬২

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডের সাজা মাথায় নিয়ে দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ২১৬২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২০৯৯ এবং নারী বন্দি ৬৩ জন।

কনডেম সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশের পর কারা মহাপরিদর্শকের (আইজি প্রিজনস) পক্ষে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক শেখ সুজাউর রহমানের প্রতিবেদেন থেকে গণমাধ্যমে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সারাদেশের কারাগারগুলোতে সেলের সংখ্যা ২৬৫৭টি। এরমধ্যে পুরুষ ২৫১২ ও নারীদের জন্য ১৪৫টি।

বন্দিদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনডেম সেলের বন্দিদের কারা বিধি মোতাবেক নির্ধারিত ডায়েটে স্কেল অনুযায়ী খাদ্য প্রদান ও নির্ধারিত পোশাক প্রদানের পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এছাড়া কারাবিধি মোতাবেক আত্মীয়-স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থাও করা হয়। সেই সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা এবং বই পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ধূমপায়ীদের দেওয়া হয় বিড়ি-সিগারেট। বন্দিদের সেল সংলগ্ন আঙিনায় গোসল ও শরীরচর্চার সুযোগ দেওয়া হয়। আপিল দায়ের সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কনডেম সেলে থাকা তিন আসামি।

শুনানির পর হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেমে রাখা সংক্রান্ত জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়া হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে সারাদেশের কারাগারগুলোতে কনডেম সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ও কনডেম সেলের বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা কারা মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন আকারে দিতে নির্দেশ দেন।


আরও খবর



হিট ওয়েভ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের কবলে দেশের বিভিন্ন অংশ। ইতোমধ্যে দেশে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে যে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আগেই সতর্ক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভাল। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতি বছরই বিশ্বে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই হিট স্ট্রোকে। অনেকেই রোদের মধ্য থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে ফেলেন। যা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এতে যেমন ঠাণ্ডা বসে যায় তেমনই কিন্তু স্ট্রোকের (হিট ওয়েভ) সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হিট ওয়েভ বা হিট স্ট্রোক বাঁচতে তাই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তার কয়েকটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো-

স্বভাবিক পানি পান করুন, তাও আবার ধীরে ধীরে।

ঠাণ্ডা পানি পান পরিহার করুন। বরফ/বরফ পানি পুরোপুরিই পরিহার করুন।

যখন তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসে পৌঁছে তখন খুব ঠাণ্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সংকুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে।

যখন বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন। ঠাণ্ডা পানি পান করবেন না। স্বভাবিক তাপের পানি পান করুন বা ঈষৎ গরম পানি এবং ধীরে ধীরে পান করুন।

ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। হাত-মুখ ধোয়ার আগে একটু অপেক্ষা করুন। দেহকে ঘরের তাপের সাথে খাপ খাইতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন হাত-মুখ ধোয়ার আগে বা গোসলের আগে।

অল্প অল্প করে বারে বারে স্বাভাবিক পানি পান করুন। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানির শরবত পান করতে পারেন- যদি তা আপনার জন্য অন্য কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।

প্রচণ্ড গরমে বা যদি আপনি খুবই ক্লান্ত থাকেন তবে ভুলেও বরফ মিশ্রিত পানি বা ফ্রিজের পানি পান করবেন না, যদিও ওই সময় ঠাণ্ডা পানি খুব ভালো লাগে। এটা শরীরে প্রশান্তি ভাব এনে দিলেও হঠাৎই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।


আরও খবর



ইসরায়েলে হামলার নিন্দা জানালেন বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের মাটিতে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। তবে ইরানের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের পর ইরানের হামলার বিষয়ে এক বিবৃতি জারি করেছেন বাইডেন। এতে তিনি ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানান।

বাইডেন বলেছেন, প্রায় সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে আগেই সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ইসরায়েলের নিরাপত্তার ব্যাপরেও তিনি অঙ্গীকার প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বা অবকাঠামোতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে যে কোনো ধরনের হুমকির ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকবো।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

ইরানের হামলা শুরু হওয়ার পরই তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজানো হয়। তবে এঘটনায় এখনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছেন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। কেউ দায়ভার স্বীকার না করলেও এ হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান।


আরও খবর



দৈনিক আসছে হাজার কো‌টি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের আগে রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এবারও ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। ঈদের আগে বে‌শি বে‌শি রেমিট্যান্স পাঠা‌চ্ছেন প্রবাসী বাংলা‌দে‌শিরা।

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ৫ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসেবে এপ্রিলের প্রথম পাঁচ দিনে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, চলতি এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার (৪৫৫ মিলিয়ন)। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে আসে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার। 

 গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা ছিল সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সিয়াম সাধনার মাস রমজান ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে। ঘনিয়ে আসছে খুশির ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

দিন যত এগিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। এতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। ক্যাম্পাসের চিরচেনা কোলাহলেও পড়তে শুরু করেছে ভাটা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকতে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ক্যাম্পাসে এখন প্রতিদিনই শিক্ষার্থী কমছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জিয়া হলসহ ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোর সামনে দাঁড়ালেই এখন ব্যাগ-বস্তা ও বিভিন্ন মালপত্র চোখে পড়ছে। বিশেষত সকাল ও সন্ধ্যা সময় এ দৃশ্যটা বেশি দেখা যাচ্ছে। হলগুলো থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছে গ্রামে ফেরার আনন্দের ঝিলিক। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে তাদের কথাবার্তায়ও।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সিয়াম কবির বের হয়েছেন ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে। পিঠে ও হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হলের গেটে রিকশার অপেক্ষায়। কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ক্লাস ও পরীক্ষার কারণে দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয় না। অনেকদিন পর গ্রামে যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগছে। রমজানের শেষ কয়েকটা দিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে ইফতার ও সেহরি করবো, এটা ভেবে খুব আনন্দ লাগছে।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সুলতানা বলেন, বাড়িতে সবাই অনেক অপেক্ষা করে আছে। শেষ সময়ে এখন যেন আর তর সইছে না। কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবো, নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে। পড়াশোনার কারণে পরিবার ছেড়ে দিনের পর দিন বাইরে থাকতে হয়। মাঝেমাঝে বাবা-মাকে খুব বেশি মিস করি। একে তো বাড়ি যাচ্ছি, তার ওপর ঈদ- সব আনন্দ যেন মিলেমিশে একাকার। খুব ভালো লাগছে।

তবে শিক্ষার্থীদের এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাওয়ার আনন্দঘন দৃশ্যের বিপরীতে কিছু বেদনাঘন চিত্রও রয়েছে। কারণ, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি যাচ্ছেন না। কারও কারও বিসিএস লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। তারাও যাচ্ছেন না। যদিও আবাসিক হলগুলোতে এ ধরনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখন খুবই নয়।


আরও খবর



শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সাংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।


আরও খবর