চুয়াডাঙ্গায়
আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজার সকল প্রস্ততি শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটা মন্ডপে
প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। প্রতিমা তৈরির কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোয়াঁয় চলছে
রংয়ের আচড়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উৎসবের অপেক্ষায় আছেন মাত্র। তবে এবার ভালো পারিশ্রমিক
মিলছে প্রতিমা তৈরির কারিগরদের। আসন্ন দুর্গা পূজার সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে
কঠোর তৎপর।
জানা গেছে,
এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১২৩ টি পূজা মন্ডপ প্রস্তত হয়ে গেছে। আর কয়দিন পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা
তাদের সব থেকে বড় উৎসবে মাতবে। তবে এবার তাদের মা দুর্গা অশুভ নিয়ে ঘটোকে চড়ে আগমণ
করছে। আর গমন হবে ঘটোকে চড়ে। তবুও তাদের মা দূর্গা আর্শিরবাদ দিয়ে যাবে বলছেন সনাতন
ধর্মাবলম্বীরা। এখন প্রতিমার গায়ে কারিগরদের নিপুন হাতের ছোয়াঁয় রংয়ের আচড়। প্রায় মা
দুর্গার সকল প্রস্ততি শেষের দিকে। এখন শুধু উৎসব পালন করার অপেক্ষায় আছে ওই সকল সনাতন
ধর্মাবলম্বীরা।
আর এদিকে কারিগররা
পড়েছে মহা দুশ্চিন্তায়। তারা এবার প্রতিমা মন্ডপে পূজা তৈরির বিনিময়ে পাচ্ছে ৩৫ হাজার
টাকা। এতে গতবারের থেকে কারিগরদের পারিশ্রমিক কম। বাজারের নিত্যপণ্যের দামের সাথে তারা
পেরে উঠছে না। কারিগরদের এবার মুজুরির পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে তাদের জন্য বড়ই ভালো হতো
বলছেন প্রতিমা তৈরির কারিগর শিল্পিরা।
অপর দিকে দুর্গা পূজার সকল প্রস্ততি শেষের দিকে হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে কঠোর তৎপর। জেলার প্রতিটা পূজা মন্ডপে থাকবে সিসি ক্যামেরা। কোথাও কোনো মন্ডপে যেন বিশৃঙ্খলা না হয় সে জন্য ডিবি সদস্য, ডিএসবি সদস্য, পুলিশ সদস্য থাকবে ২৪ ঘন্টা। মন্ডপে যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে কঠোর তৎপর।
কথা হয় চুয়াডাঙ্গা
সদর উপজেলা দৌলতদিয়ার দক্ষিণ পাড়া বারোয়ারি দূর্গা মন্দিরের কোষাধ্যক্ষ অঞ্জন সাহা
বলেন, সামনে আমাদের আসছে সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। তাই সকল প্রস্ততি শেষের
দিকে। এখন শুধু আমরা উৎসবের অপেক্ষায় আছি। এবার মায়ের কাছে প্রার্থনা করবো যাতে সবকিছু
মঙ্গল হয়। এবার মা দূর্গা আসছে ঘটোকে আগমণ ঘটোকে গমণ হবে। আমরা চাই এবার সবার মনে শান্তি
বর্ষিত হোক। সবাই একে অপরকে আনান্দ ভাগাভাগি করে নেব। এটাই সবার প্রত্যাশা।
প্রতিমা তৈরির
কারিগর শিল্পি উত্তম কুমার পাল বলেন, গতবারের থেকে এবার প্রতিমা তৈরির পারিশ্রমিক কম।
তাই কাজ করাটা কঠিন হয়েছে। সবমিলিয়ে এবার মুজুরি কম হওয়াতে অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। বাজারের
সব জিনিসের দাম বেশি। পূজার কেনাকাটা অনেক খরচ। এদিকে আবার মুজুরি কম। গতবারের মতো
এবার ভালো মুজুরি হলে খুব ভালো হতো।
সনাতন ধর্মালবম্বীদের
পুরোহিত প্রহলাদ চক্রবর্তী বলেন, এবার মা দূর্গা আসছে কিছুটা অশুভ নিয়ে। মা দুর্গার
লিলা খেলা বোঝা বড় দায়। আসা করি এবার মা দূর্গা সকলের আর্শিবাদ দিয়ে যাবে। সকল দুঃখ
কষ্ট মুছে যাবে। প্রত্যাশা করি এবার মা দুর্গা
আগমণ ও গমণে সকলের শান্তি বর্ষিত হবে। সকল সনাতন ধর্মালবম্বিরা একের অপরকে আনান্দ ভাগাভাগি
করে নেবে। এবার মা দূর্গা আসছে ঘটোকে আগমণ ও ঘটোকে গমণ।
চুয়াডাঙ্গা
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আসন্ন দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা
বাহিনী কঠোর তৎপর। প্রতিটা মন্ডপে থাকবে পুলিশ সদস্য। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি
হলে আইনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটা মন্ডপে নজরদারি করবে পুলিশ সদস্য। কোনো রকম
সাম্প্রদায়িক গুজব যেন না হয়। সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আর প্রতিটা মন্ডপে সিসি
ক্যামরার আওতায় থাকবে।